দ্বিতীয় বিবরণ 28
28
বাধ্যতা ও আশীর্বাদ
(লেবীয় 26:3-13; দ্বি.বি. 7:12-24)
1তোমরা যদি তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের অনুশাসন সযত্নে পালন কর, তাঁর নির্দেশ যা আমি আজ তোমাদের দিলাম যদি নিখুঁতভাবে পালন কর তাহলে তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর পৃথিবীর সকল জাতির চেয়ে তোমাদের উন্নত করবেন,#দ্বি.বি. 11:13 2এবং তোমাদের উপরে আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। আশীর্বাদগুলি এই: 3তোমাদের নগর ও ক্ষেতখামারগুলি হবে আশীর্বাদপূত। 4তোমাদের সন্তান-সন্ততি, ক্ষেতের ফসল ও পশুপালের গোবৎস ও মেষশাবকগুলিও হবে আশীর্বাদযুক্ত। 5তোমাদের ঝুড়ি ও ময়দা মাখার পাত্রগুলির উপরেও নেমে আসবে আশীর্বাদ। 6তোমরা যখন ঘরের বাইরে যাবে ও ফিরে আসবে, তখনও তোমাদের উপরে থাকবে তাঁর আশীর্বাদ। 7যারা তোমাদের বিরোধিতা করবে, প্রভু পরমেশ্বর সেই শত্রুদের পরাস্ত করবেন, তোমরা স্বচক্ষে দেখবে সেই পরাজয়। তারা তোমাদের আক্রমণ করতে এলে দিশেহারা হয়ে চারদিক দিয়ে তাদের পালাতে হবে। 8প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের শস্য ভাণ্ডার ও তোমাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টাকে আশীর্বাদযুক্ত করবেন এবং তিনি যে দেশ তোমাদের দান করছেন সেই দেশে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।
9প্রভু তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব পবিত্র প্রজামণ্ডলীরূপে তোমাদের প্রতিষ্ঠিত করবেন যদি তোমরা তাঁর নির্দেশ পালন করে তাঁর পথে চল। 10পৃথিবীর সর্ব জাতি যখন দেখবে যে প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের তাঁর নিজস্ব প্রজারূপে আখ্যাত করেছেন, তারা তখন তোমাদের সমীহ করবে। 11প্রভু পরমেশ্বর যে দেশ তোমাদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে দিয়েছিলেন, সেই দেশে তিনি তোমাদের সন্তান সন্ততি, পশুপাল এবং ক্ষেতের ফসল প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করে তোমাদের সমৃদ্ধিশালী করবেন। 12তিনি তাঁর ঐশ্বর্যভাণ্ডার স্বরূপ আকাশ উন্মুক্ত করে যথাসময়ে তোমাদের দেশে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের সর্বপ্রকার কৃষিকর্মে আশীর্বাদ দান করবেন। অনেক জাতিকে তোমরা ঋণ দেবে, কিন্তু তোমাদের ঋণ নিতে হবে না। 13প্রভু পরমেশ্বর জাতিবৃন্দের মাঝে তোমাদের স্থান দেবেন শীর্ষে, তোমরা থাকবে সবার উপরে, নীচে কখনই নয়, যদি তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশ, যা আমি আজ তোমাদের জানালাম, সব সযত্নে পালন কর। 14আমি আজ তোমাদের যে সব নির্দেশ দিলাম তা থেকে কোন অবস্থায় তোমরা বিচ্যুত হবে না এবং অন্য কোন দেবতার পূজা করবে না বা অনুগামী হবে না।
15কিন্তু যদি তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কথায় কর্ণপাত না কর, তাঁর যে সব নির্দেশ ও অনুশাসন আজ আমি তোমাদের দিলাম তা যদি সযত্নে পালন না কর তাহলে তোমাদের উপরে নেমে আসবে এই সমস্ত অভিশাপ:
16তোমাদের নগর ও ক্ষেতখামারগুলি হবে অভিশপ্ত। 17তোমাদের ঝুড়ি ও ময়দা মাখার পাত্র হবে অভিশপ্ত। 18তোমাদের সন্তানসন্ততি, ক্ষেতের ফসল ও পশুপালের গোবৎস ও মেষশাবকগুলি হবে অভিশপ্ত। 19ঘরের বাইরে যাওয়া ও ফেরার সময় তোমাদের উপর নেমে আসবে তাঁর অভিশাপ। 20প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের সর্ব কর্ম প্রচেষ্টাকে অভিশপ্ত, বিভ্রান্ত ও ব্যর্থ করবেন, যত দিন না তাঁকে পরিত্যাগ করার অপরাধে সম্পূর্ণভাবে তোমরা ধ্বংস ও অচিরে বিনষ্ট না হও। 21যে দেশ তোমরা অধিকার করতে যাচ্ছ সেই দেশ থেকে তোমাদের সমূলে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত প্রভু পরমেশ্বর মহামারীর দ্বারা তোমাদের পীড়ন করবেন। 22তিনি তোমাদের ক্ষয়রোগ, জ্বর, প্রদাহ, প্রচণ্ড তাপ, খরা, ঝড়, উদ্ভিদ বিধ্বংসী ছত্রাক রোগের দ্বারা আঘাত করবেন। বিনষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এগুলির দ্বারা তোমরা বিপর্যস্ত হবে। 23তোমাদের মাথার উপরে আকাশ হবে তাম্রবর্ণ এবং নীচে পায়ের তলার মাটি হবে লোহার মত কঠিন। 24প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের দেশে বারি ধারার পরিবর্তে ধূলি বর্ষণ করবেন, তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত আকাশ থেকে ধূলিবৃষ্টি হবে।
25প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের শত্রু হস্তে পরাজিত করবেন। তোমরা তাদের আক্রমণ করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পালাতে বাধ্য হবে। পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যে তোমরা হবে বিভীষিকা স্বরূপ। 26তোমাদের মৃতদেহ হবে আকাশের পাখি ও বন্য পশুদের ভক্ষ্য, সেগুলিকে তাড়িয়ে দেওয়ার কেউ থাকবে না। 27প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের মিশরীয় স্ফোটক, ক্ষত, পাঁচড়া ও চুলকানির দ্বারা পীড়িত করবেন, 28আরোগ্যের কোন উপায় থাকবে না। প্রভু তোমাদের উন্মত্ততা, দৃষ্টিহীনতা ও মানসিক বৈকল্যের দ্বারা আঘাত করবেন, তার ফলে 29তোমরা প্রকাশ্য দিবালোকে অন্ধের মত পথ হাতড়ে বেড়াবে কিন্তু পথ খুঁজে পাবে না। দিনের পর দিন তোমরা শুধু উৎপীড়িত ও লুন্ঠিত হবে, তোমাদের উদ্ধার করার কেউ থাকবে না। 30তোমরা বিবাহের সম্বন্ধ স্থির করবে কিন্তু অন্য লোকে তোমাদের বাগ্দত্তা বধূর সতীত্ব হরণ করবে। তোমরা বাড়ি তৈরী করবে, কিন্তু সেখানে বাস করতে পারবে না, তোমরা দ্রাক্ষাকুঞ্জ রচনা করবে কিন্তু তার ফল ভোগ করতে পারবে না। 31তোমাদের চোখের সামনে তোমাদের বৃষ হনন করা হবে কিন্তু তোমরা তার মাংস ভক্ষণ করতে পারবে না। তোমাদের সামনে থেকেই তোমাদের গর্দভ অপহৃত হবে, তোমরা তা আর ফিরে পাবে না। তোমাদের মেষপাল শত্রুরা দখল করে নেবে, সেগুলিকে উদ্ধার করার কেউ থাকবে না। 32তোমাদের চোখের সামনেই তোমাদের পুত্র-কন্যাদের অন্য জাতির হাতে তুলে দেওয়া হবে, তোমরা সারাদিন তাদের আশায় পথ চেয়ে থেকে হতাশ হবে, এ কাজে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা তোমাদের থাকবে না। 33তোমাদের অপরিচিত এক জাতি তোমাদের ক্ষেতের ফসল ও তোমাদের শ্রমের ফল ভোগ করবে, আর তোমরা ক্রমাগত উৎপীড়িত ও নিষ্পেষিত হতে থাকবে। 34সেই দৃশ্য দেখে তোমরা উন্মাদ হয়ে যাবে, 35যন্ত্রণাদায়ক বিস্ফোটক দ্বারা প্রভু তোমাদের হাঁটু ও পা আক্রান্ত করবেন, সেই রোগ আরোগ্যের কোন উপায় তোমাদের থাকবে না, তোমাদের পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত সেই ক্ষত বিস্তৃত হবে। 36প্রভু তোমাদের এবং যে রাজাকে তোমরা নিযুক্ত করবে তাকে এমন এক জাতির অধীনে সমর্পণ করবেন যাদের তোমরা কিম্বা তোমাদের পিতৃপুরুষেরা কেউ কখনও জান না এবং সেখানে তোমরা প্রভুকে পরিত্যাগ করে পাথর ও কাঠের তৈরী দেবতাদের পূজা করবে। 37প্রভু পরমেশ্বর যে সব জাতির মধ্যে তোমাদের বিক্ষিপ্ত করবেন, তারা তোমাদের দুরবস্থা দেখে আতঙ্কিত হবে, তোমরা হবে তাদের কাছে তাচ্ছিল্য ও উপহাসের পাত্র। 38তোমরা ক্ষেতে অনেক বীজ বপন করবে কিন্তু শস্য সংগ্রহ করবে সামান্যই কারণ পঙ্গপাল সেই শস্য গ্রাস করবে। 39তোমরা দ্রাক্ষাকুঞ্জ রচনা করবে, তার পরিচর্যাও করবে কিন্তু তোমরা দ্রাক্ষাসুরা পান করতে পারবে না কিম্বা সেখান থেকে দ্রাক্ষা সংগ্রহ করতে পারবে না, কারণ কীটে সব নষ্ট করে দেবে। 40সারা দেশে তোমরা জলপাই গাছের চারা লাগাবে কিন্তু তার তেল তোমরা ব্যবহার করতে পারবে না কারণ তোমাদের জলপাই সব অকালে ঝরে পড়বে। 41তোমাদের পুত্র ও কন্যা জন্মাবে কিন্তু তারা তোমাদের হবে না, বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। 42তোমাদের গাছপালা ও ক্ষেতের ফসল সবই পঙ্গপালের গ্রাসে যাবে। 43তোমাদের মধ্যে বিদেশী যে থাকবে সে তোমাদের চেয়ে ক্রমশঃই উন্নত হতে থাকবে আর তোমরা ক্রমশঃ অবনতির পথে নেমে যাবে। 44সে তোমাদের ঋণ দেবে, কিন্তু অপরকে ঋণ দেওয়ার মত ক্ষমতা তোমাদের থাকবে না। তার স্থান হবে তোমাদের শীর্ষে আর তোমরা হবে তার অধীন। 45এই সব অভিশাপ তোমদের উপর নেমে আসবে, যতদিন না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও, ততদিন এর হাত থেকে তোমাদের অব্যাহতি নেই। কারণ তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের কথায় কর্ণপাত কর নি, তিনি যে সব নির্দেশ ও অনুশাসন তোমাদের দিয়েছিলেন, তা তোমরা পালন কর নি। 46এগুলি তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের কাছে যুগে যুগে ঈশ্বরের উদাহরণ স্বরূপ হয়ে থাকবে।
47যেহেতু তোমরা সর্ব বিষয়ে প্রাচুর্য সত্ত্বেও সানন্দে ও প্রফুল্লচিত্তে তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর ভজনা কর নি, 48সেই হেতু তিনি তোমাদের শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত করবেন, তোমরা তাদের দাসত্ব করবে। তখন তোমরা ক্ষুধায়, তৃষ্ণায়, বিবস্ত্র অবস্থায় চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাবে। তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তিনি তোমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেবেন লোহার জোয়াল। 49পৃথিবীর সুদূর প্রান্ত থেকে প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করবেন এক জাতিকে, তারা ঈগল পাখির মত তোমাদের উপর ছোঁ মারবে, তাদের ভাষা হবে তোমাদের কাছে দুর্বোধ্য, 50তারা হবে কঠোর প্রকৃতির লোক, বৃদ্ধদের তারা সম্মান করবে না, শিশুদের প্রতিও তাদের থাকবে না দয়ামায়া। 51তারা তোমাদের পালের পশু ও ক্ষেতের ফসল গ্রাস করবে, যতদিন না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও। তারা তোমাদের ফসল, সুরা, তেল, বাথানের গরু বাছুর, পালের ভেড়া কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না যতদিন না তোমরা সম্পূর্ণ ধ্বংস হও।
52তারা তোমাদের সমস্ত নগর অবরোধ করবে এবং সারা দেশের উঁচু ও সুরক্ষিত যে সব প্রাচীরের উপর তোমরা ভরসা করতে, সেগুলি ভেঙ্গে ফেলবে। তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের যে দেশ দিয়েছিলেন, সেই দেশের সমস্ত জনপদগুলিতে তারা তোমাদের অবরোধ করবে। 53তোমরা তখন শত্রুদের দ্বারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ক্ষুধায় অতিষ্ঠ হয়ে নিজেদের পুত্র-কন্যাদেরও মাংস ভক্ষণ করবে যাদের ঈশ্বরের দান স্বরূপ তোমরা পেয়েছিলে। 54তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে সহৃদয় ও সুশিক্ষিত ব্যক্তি সে-ও তার ভাই কিম্বা প্রিয়তমা পত্নী, কিম্বা তার অবশিষ্ট সন্তানদেরও তার খাদ্যের ভাগ দেবে না, 55এমনকি সে যখন তার নিজের সন্তানের মাংস ভক্ষণ করবে, তখন তারও কোন অংশ সে এদের কাউকে দেবে না, কারণ তোমাদের সমস্ত জনপদে শত্রুদের দ্বারা অবরুদ্ধ ও উৎপীড়িত হয়ে তার তখন কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না। 56তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজাত কোমলাঙ্গী রমণী, যে মাটিতে পা রাখে না পাছে পায়ে ব্যথা লাগে, 57সে-ও তার নবজাত সন্তানকে, প্রসবান্তিক গর্ভ পুষ্পের ভাগও তার প্রিয়তম স্বামী কিম্বা তার পুত্র কন্যাকে দেবে না, কারণ তোমাদের সমস্ত জনপদ শত্রুদের দ্বারা অবরুদ্ধ ও উৎপীড়িত হওয়ার ফলে খাদ্যাভাবে সে নিজেই গোপনে তা ভক্ষণ করবে।#২ রাজা 6:28-29; বিলাপ 4:10
সাবধান বাণী
58এই পুস্তকে যে সমস্ত বিধান লিপিবদ্ধ করা হল তা যদি তোমরা সযত্নে পালন না কর, যদি তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের মহিমান্বিত ও ভয়াবহ নামের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না কর, 59তাহলে তিনি তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের অকল্পনীয় দুর্দশার মধ্যে ফেলবেন, কঠোর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে সেই দুর্দশা এবং মারাত্মক ও দুরারোগ্য ব্যাধির দ্বারা তিনি আক্রান্ত করবেন তোমাদের।
60তোমরা যার ভয়ে ভীত, মিশরের সেই বাধিগুলি দ্বারা তিনি তোমাদের আক্রান্ত করবেন এবং সেগুলি তোমাদের চিরসঙ্গী হবে। 61তোমাদের ধ্বংস করার জন্য এই বিধান পুস্তকে যে সব ব্যাধি ও দুর্দশার উল্লেখ নেই, সেগুলির দ্বারাও প্রভু তোমাদের আঘাত করবেন। 62তোমরা, একদা আকাশের নক্ষত্ররাজির মত অসংখ্য ছিলে কিন্তু তখন তোমাদের অতি অল্প সংখ্যক লোকই অবশিষ্ট থাকবে কারণ তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের আদেশ পালন কর নি। 63প্রভু যেমন তোমাদের প্রতি প্রসন্ন হয়ে তোমাদের লোকসংখ্যা বৃদ্ধি করেছিলেন ও তোমাদের সমৃদ্ধি দান করেছিলেন, ঠিক তেমনি ভাবেই তিনি তোমাদের ধ্বংস ও উচ্ছেদ সাধন করে প্রীতিলাভ করবেন। যে দেশ তোমরা এখন দখল করতে যাচ্ছ, সেখান থেকে তখন তোমরা সমূলে উচ্ছিন্ন হবে। 64পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সর্বজাতির মাঝে প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের বিক্ষিপ্ত করবেন এবং সেখানে তোমরা কাঠ ও পাথরের তৈরী দেবতাদের পূজা করবে, যাদের পরিচয় তোমরা কিম্বা তোমাদের পিতৃপুরুষেরা কখনও পাও নি। 65এই সব জাতির মাঝে বাস করে তোমরা কখনও শান্তি পাবে না এবং তোমাদের আপন বাসস্থান বলে কিছুই থাকবে না। সেখানে প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের হৃদয়ে উদ্বেগ, দৃষ্টিতে ক্ষীণতা ও প্রাণে বুভুক্ষার সঞ্চার করবেন। 66সেখানে তোমরা সর্বদা অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন যাপন করবে, দিন ও রাত্রি তোমরা ভয়ে ভয়ে কাটাবে, জীবনের কোন নিরাপত্তা থাকবে না তোমাদের। 67তোমাদের মনের ভীতি ও যে সব দৃশ্য তোমরা চোখে দেখবে তার জন্য প্রতিদিন সকালে তোমরা বলবে, ‘হায় ঈশ্বর! এখন যদি সন্ধ্যা হত।’—এবং প্রতি সন্ধ্যায় তোমরা বলবে, ‘হায় ঈশ্বর! এখন যদি সকাল হত—’। 68প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের ক্রন্দনরত অবস্থায় সেই পথেই মিশরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন, যে পথ সম্পর্কে আমি তোমাদের বলেছিলাম, ‘ এ পথে তোমাদের আর কখনও যাত্রা করতে হবে না।’ আর সেখানে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছে নিজেদের ক্রীতদাস ও ক্রীতদাসীদের বিক্রি করতে চাইবে, কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।
Zur Zeit ausgewählt:
দ্বিতীয় বিবরণ 28: BENGALCL-BSI
Markierung
Teilen
Kopieren
Möchtest du deine gespeicherten Markierungen auf allen deinen Geräten sehen? Erstelle ein kostenloses Konto oder melde dich an.
Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L.
Copyright © 2016 by The Bible Society of India
Used by permission. All rights reserved worldwide.