BibleProject | আগমনী ভাবনাSample

যীশু বলেন যে প্রকৃত ভালোবাসার চূড়ান্ত মানদণ্ড নির্ভর করে, আপনি যাকে সহ্য করতে পারেন না তার সাথে আপনি কেমন ব্যবহার করেন তার উপর, বা যীশুর কথায় “আপনার শত্রুকে ভালোবাসা উচিত এবং প্রতিদানে কোনো কিছু প্রত্যাশা না করেই তার ভালো করা উচিত।” যীশুর কাছে এই ধরণের ভালোবাসাই ঈশ্বরের চরিত্রের হুবহু প্রকাশ।

পড়ুন:

লূক ৬:২৭-৩৬

চিন্তা করুন:

এই অংশে আপনি কী কী লক্ষ্য করেছেন? অংশটি পড়ার সময় আপনার মনে কী কী প্রশ্ন, চিন্তা-ভাবনা ও অনুভূতি জেগেছে?

এমন একটি অভিজ্ঞতার কথা মনে করুন বা সেই ঘটনার কথা বলুন, যখন আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ প্রতিদানে কোনো কিছু প্রত্যাশা না করেই শত্রুর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন বা দেখিয়েছিল।

এরকমভাবে যারা ভালোবাসে তাদের জন্য যীশু কী প্রতিজ্ঞা করেছেন (৩৫ পদ দেখুন)?

ঈশ্বর নিজে অকৃতজ্ঞ ও মন্দ লোকদের প্রতি কীভাবে দয়া দেখান তা লক্ষ্য করুন। এই বিষয়টি ঈশ্বরের চরিত্র সম্পর্কে আমাদের কী বলে? যারা অকৃতজ্ঞ ও মন্দ তাদের সাথে যদি ঈশ্বর খারাপ আচরণ করতেন তাহলে পৃথিবীটা কেমন হত তা একবার কল্পনা করুন। কেউ কি বেঁচে থাকতে পারত?

৩৬ পদে ঈশ্বরকে কীভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা লক্ষ্য করুন। ভালোবাসা ও দয়ার মধ্যে কী সম্পর্ক আছে?

আজকে যীশুর কথাগুলো নির্দিষ্টভাবে আপনাকে কীভাবে চ্যালেঞ্জ বা উৎসাহিত করছে? এমন কোন্‌ একটি উপায় আছে, যার মাধ্যমে আপনি আজকে স্বক্রিয়ভাবে এই চ্যালেঞ্জ বা উৎসাহের প্রতি সাড়া দিতে পারেন?

আপনার পাঠ ও চিন্তাকে প্রার্থনায় পরিণত করুন। ঈশ্বরের দয়ালু ভালোবাসার জন্য তাঁর প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এই ভালোবাসা থেকে আপনি কীভাবে অন্যদেরকে বঞ্চিত করে রেখেছেন সেই বিষয়ে সৎ ও স্বচ্ছ থাকুন। যারা আপনার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে তাদের জন্য প্রার্থনা করুন এবং ঈশ্বরের অবিরত সাহায্য চান যেন আপনি তাঁর মত করে অন্যদের ভালোবাসতে পারেন।