পয়দায়েশ 5

5
হযরত আদম (আঃ)-এর বংশের কথা
1এই হল আদমের বংশের কথা। মানুষ সৃষ্টি করবার সময় আল্লাহ্‌ তাঁকে তাঁর নিজের মত করে সৃষ্টি করলেন; 2সৃষ্টি করলেন পুরুষ এবং স্ত্রীলোক করে এবং তাঁদের দোয়া করলেন। সৃষ্টির সময়ে তিনি তাঁদের নাম দিলেন “মানুষ”। 3একশো ত্রিশ বছর বয়সে আদমের একটি ছেলের জন্ম হল। ছেলেটি বাইরে এবং ভিতরে তাঁরই মত হয়েছিল। আদম তার নাম দিলেন শিস। 4শিসের জন্মের পর আদম আরও আটশো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল। 5মোট ন’শো ত্রিশ বছর বেঁচে থাকবার পর আদম ইন্তেকাল করলেন।
6শিসের একশো পাঁচ বছর বয়সে তাঁর ছেলে আনুশের জন্ম হল। 7আনুশের জন্মের পর শিস আরও আটশো সাত বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 8মোট ন’শো বারো বছর বেঁচে থাকবার পর শিস ইন্তেকাল করলেন।
9আনুশের নব্বই বছর বয়সে তাঁর ছেলে কীনানের জন্ম হল। 10কীনানের জন্মের পর আনুশ আরও আটশো পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 11মোট ন’শো পাঁচ বছর বেঁচে থাকবার পর আনুশ ইন্তেকাল করলেন।
12কীনানের সত্তর বছর বয়সে তাঁর ছেলে মাহলাইলের জন্ম হল। 13মাহলাইলের জন্মের পর কীনান আরও আটশো চল্লিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 14মোট ন’শো দশ বছর বেঁচে থাকবার পর কীনান ইন্তেকাল করলেন।
15মাহলাইলের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে ইয়ারুদের জন্ম হল। 16ইয়ারুদের জন্মের পর মাহলাইল আরও আটশো ত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 17মোট আটশো পঁচানব্বই বছর বেঁচে থাকবার পর মাহলাইল ইন্তেকাল করলেন।
18ইয়ারুদের একশো বাষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে ইনোকের জন্ম হল। 19ইনোকের জন্মের পর ইয়ারুদ আরও আটশো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 20মোট ন’শো বাষট্টি বছর বেঁচে থাকবার পর ইয়ারুদ ইন্তেকাল করলেন।
21ইনোকের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে মুতাওশালেহের জন্ম হল। 22মুতাওশালেহের জন্মের পর তিনশো বছর পর্যন্ত আল্লাহ্‌র সংগে ইনোকের যোগাযোগ-সম্বন্ধ ছিল। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 23ইনোক মোট তিনশো পঁয়ষট্টি বছর এই দুনিয়াতে ছিলেন। 24তারপর তাঁকে আর দেখা গেল না। আল্লাহ্‌র সংগে তাঁর যোগাযোগ-সম্বন্ধ ছিল বলে আল্লাহ্‌ তাঁকে নিজের কাছেই নিয়ে গিয়েছিলেন।
25মুতাওশালেহের একশো সাতাশি বছর বয়সে তাঁর ছেলে লামাকের জন্ম হল। 26লামাকের জন্মের পর মুতাওশালেহ আরও সাতশো বিরাশি বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল। 27মোট ন’শো উনসত্তর বছর বেঁচে থাকবার পর মুতাওশালেহ ইন্তেকাল করলেন।
28লামাকের একশো বিরাশি বছর বয়সে তাঁর একটি ছেলের জন্ম হল। 29তিনি বললেন, “আমাদের সব পরিশ্রমের মধ্যে, বিশেষ করে মাবুদ মাটিকে বদদোয়া দেবার পর তার উপর আমাদের যে পরিশ্রম করতে হয় তার মধ্যে এই ছেলেটিই আমাদের সান্ত্বনা দেবে।” এই বলে তিনি তাঁর নাম দিলেন নূহ্‌। 30নূহের জন্মের পর লামাক আরও পাঁচশো পঁচানব্বই বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। 31মোট সাতশো সাতাত্তর বছর বেঁচে থাকবার পর লামাক ইন্তেকাল করলেন।
32নূহের বয়স পাঁচশো বছর পার হয়ে গেলে পর তাঁর ছেলে সাম, হাম আর ইয়াফসের জন্ম হয়েছিল।

하이라이트

공유

복사

None

모든 기기에 하이라이트를 저장하고 싶으신가요? 회원가입 혹은 로그인하세요