YouVersion Logo
Search Icon

যিরমিয় 15

15
যিহুদীয়াবাসীর ধ্বংস
1তখন প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বললেন, মোশি ও শমুয়েলও যদি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আবেদন জানাত, তাহলেও আমি এদের উপর দয়া করতাম না। ওদের দূর করে দাও আমার চোখের সামনে থেকে, চলে যাক ওরা। #যাত্রা 32:11-14; গণনা 14:13-19; ১ শমু 7:5-9 2ওরা যখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে যে,
‘কোথায় যাব আমরা?’ তখন তাদের বলবে, প্রভু পরমেশ্বর এই কথা বলছেন,
মহামারীতে মৃত্যুই যাদের জন্য নির্ধারিত,
মহামারীর গ্রাসে পড়ুক ওরা! যুদ্ধে মরণ যাদের জন্য নির্দিষ্ট,
যুদ্ধের কবলেই পড়ুক তারা! দুর্ভিক্ষে মৃত্যু যাদের শেষ পরিণতি,
দুর্ভিক্ষ গ্রাস করুক তাদের! বন্দীত্বই যাদের জীবনের বিধিলিপি,
বন্দীশালাই হোক তাদের শেষ পরিণাম!#13:10
3আমি, প্রভু পরমেশ্বর, তাদের বিরুদ্ধে চারটি ভয়ঙ্কর সংহারক পাঠাতে মনস্থ করেছি। তারা যুদ্ধে নিহত হবে, কুকুরে তাদের টেনে নিয়ে যাবে, পাখিরা ছিঁড়ে খাবে আর অবশিষ্টদের খেয়ে শেষ করবে বন্য জন্তুরা। 4হিষ্কিয়ের পুত্র মনঃশি যখন যিহুদীয়ার রাজা ছিল, সেই সময় জেরুশালেমে সে যা করেছে, তার প্রতিফল স্বরূপ আমি সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে তাদের আতঙ্কজনক করে তুলব।#২ রাজা 21:1-16; ২ বংশা 33:1-9
5প্রভু পরমেশ্বর বলেন,
হে জেরুশালেম, কে তোমাকে দয়া করবে,
কে কাঁদবে তোমার জন্য?
তোমার কুশল জানার জন্য কে এসে দাঁড়াবে তোমার কাছে?
6তেমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছ,
মুখ ফিরিয়েছ আমার দিক থেকে।
সেই হেতু আমি বিস্তার করেছি বাহু,
তোমাদের দুমড়ে মুচড়ে পিষে ফেলেছি,
কারণ ক্রোধ সংবরণ করতে করতে আমি ধৈর্য হারিয়েছি।
7দেশের প্রতিটি জনপদে বাতাসের মুখে খড়কুটোর মত
আমি তোমাদের দিয়েছি উড়িয়ে,
আমার প্রজা—তোমাদের ধ্বংস করেছি আমি,
হত্যা করেছি তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের,
কারণ মন্দ পথ পরিহার করনি তোমরা।
8সমুদ্রতীরে বালুকারাশির চেয়েও তোমাদের দেশে
আমি বিধবার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছি,
তোমাদের যুবকেরা যখন যৌবনের চরম শিখরে,
তখনই তাদের করেছি নিধন,
তাদের জননীদেরও যন্ত্রণায় বিদ্ধ করেছি আমি,
নিদারুণ আতঙ্ক ও যন্ত্রণা দিয়ে অকস্মাৎ আঘাত করেছি তাদের।
9সাতটি সন্তানের জননী সবাইকে হারিয়ে মূর্ছা গেছে,
শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে তার,
তার দিবালোক ডুবে গেছে রাতের অন্ধকারে।
সে হতমান, ব্যথিত হৃদয়!
তোমরা যারা এখনও বেঁচে আছ তাদেরও আমি নিধন করব শত্রুহস্তে,
আমি, প্রভু পরমেশ্বর, এই কথা বললাম।
যিরমিয়ের অনুযোগ ও পরমেশ্বরের সান্ত্বনা
10আমার মত অসুখী মানুষ আর কেউ নেই! কেন আমার জননী আমাকে এ জগতে এনেছিলেন? এ দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাকে বিবাদ করতে হচ্ছে। আমি কারও কাছে টাকা ধার নিইনি বা কাউকে ধার দিইনি, তবু পত্যেকে আমাকে শাপশাপান্ত করে। 11হে প্রভু পরমেশ্বর, আমি যদি তোমার সেবা না করে থাকি, যদি আমার শত্রুদের দুর্দশা ও বিপদের দিনে তাদের জন্য তোমার কাছে বিনতি না করে থাকি, তাহলে তাদের সমস্ত অভিশাপ আমার উপরে বর্তাক। 12(লোহা কেউ ভাঙ্গতে পারে না। বিশেষ করে উত্তর দেশের ব্রোঞ্জ মেশানো লোহা ভাঙ্গার ক্ষমতা কারও নেই)।
13প্রভু পরমেশ্বর আমাকে বললেনঃ আমার প্রজাদের ধনসম্পদ লুণ্ঠন করার জন্য আমি শত্রু পাঠাব। সারা দেশ জুড়ে যে পাপাচার তারা করেছে, তারই ফলে তাদের এই শাস্তি! 14তাদের অজ্ঞাত এক দেশে আমি তাদের শত্রুদের দাসত্ব করাব। কারণ আমার ক্রোধ আগুনের মত, যে আগুন নেভে না কখনও।
15তখন আমি বললাম, হে প্রভু পরমেশ্বর, তুমি সবই জান। আমাকে স্মরণে রেখো, সাহায্য করো আমায়। আমাকে যারা নিপীড়ন করেছে, তাদের উপরে তুমি প্রতিশোধ নাও। তারা আমাকে হত্যা করবে, আর অসীম ধৈর্যে তুমি থাকবে নীরব হয়ে, এমনটি যেন না হয়। মনে রেখো, তোমারি জন্য আমি দুঃসহ অপমান সহ্য করেছি। 16হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, আমি তোমারই। তোমার বাণী আমার হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছে আনন্দ ও উল্লাসে। 17তোমার ক্রোধে আমাকে তুমি পূর্ণ করেছ। আমি কারও সঙ্গে হাসি আনন্দের আসরে কাল কাটাই না। তোমার আদেশ অনুযায়ী আমি একা থাকি। 18কেন আমাকে এত যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে? এর কি শেষ নেই? কেন আমার ক্ষত নিরাময় হয় না? গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে যাওয়া ঝর্ণার মত তুমি কি আমাকে নিরাশ করতে চাও?
19প্রভু পরমেশ্বর এ কথার উত্তরে বললেন, তুমি যদি ফিরে আস, তাহলে আমি তোমাকে আবার গ্রহণ করব, আবার তুমি আমার সেবক হবে। অবান্তর কথার পরিবর্তে তুমি যদি মূল্যবান বার্তা ঘোষণা কর, তাহলে তুমি আবার আমার প্রবক্তা নবী হতে পারবে। লোকে আবার তোমার কাছে আসবে, তোমাকে যেতে হবে না কারও কাছে। 20এদের কাছে আমি তোমাকে ব্রোঞ্জের সুদৃঢ় প্রাচীরের মত করব। তারা যুদ্ধ করবে তোমার বিরুদ্ধে কিন্তু তোমাকে পরাজিত করতে পারবে না। তোমাকে রক্ষা করার জন্য এবং তোমার নিরাপত্তার জন্য আমি তোমার সঙ্গে থাকব। 21দুর্জন ও হিংসাপরায়ণ লোকদের হাত থেকে আমি তোমাকে উদ্ধার করব। আমি, প্রভু পরমেশ্বর, এই কথা বললাম।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in