YouVersion Logo
Search Icon

১ রাজাবলি 10

10
শেবা দেশের রাণীর আগমন
(২ বংশা 9:1-12)
1শলোমনের সুখ্যাতির#10:1 হিব্রু: প্রভু পরমেশ্বরের নামের মহিমার জন্য শলোমনের কীর্তিকলাপের সুখ্যাতি। কথা শেবা দেশের রাণীর কাছেও পৌঁছাল। তিনি কূট প্রশ্ন করে তাঁকে যাচাই করতে এলেন জেরুশালেমে। 2সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট একদল দাস-দাসী লোক-লস্কর। উটের পিঠে বোঝাই করে আনলেন সুগন্ধি মশলা, প্রচুর সোনাদানা ও বহুমূল্য মণিমাণিক্য। শলোমনের কাছে গিয়ে তাঁর মনে যত কিছু প্রশ্ন ছিল—সব জিজ্ঞাসা করলেন। 3শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন। কোন প্রশ্নের উত্তরই তাঁর কাছে কঠিন ছিল না। 4শেবার রাণী শলোমনের প্রজ্ঞার পরিচয় পেলেন। দেখলেন তাঁর গড়া রাজপ্রাসাদ। 5দেখলেন তাঁর ভোজের আসরে পরিবেশিত খাদ্যসম্ভার, কর্মচারীদের বাসস্থান, প্রাসাদের কর্মচারীদের শ্রেণীবিন্যাস, তাদের পোষাক-পরিচ্ছদ, পানপাত্র বাহকদের দল এবং প্রভুর মন্দিরে হোমবলির বহর। সব দেখে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। 6রাজা শলোমনকে তিনি বললেন, দেশে থাকতে আমি আপনার প্রজ্ঞা ও কীর্তি সম্বন্ধে যা কিছু শুনেছিলাম সবই সত্যি। 7কিন্তু এখানে এসে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন দেখছি, এর অর্ধেক কথাও আমি শুনিনি। আমি যে খ্যাতি শুনেছি, আপনার প্রজ্ঞা ও সমৃদ্ধি তার চেয়েও অনেক বেশি। 8আপনার পত্নীরা#10:8 হিব্রু: প্রজারা কত সৌভাগ্যবতী! কত সৌভাগ্যবান আপনার কর্মচারীরা, যারা সর্বদা আপনার সেবা করে এবং নিয়ত শোনে আপনার প্রাজ্ঞ বাণী। 9ধন্য আপনার আরাধ্য প্রভু পরমেশ্বর! ইসরায়েলের সিংহাসনে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করে তিনি দেখিয়েছেন যে তিনি আপনার প্রতি কত প্রসন্ন। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী, সেইজন্যই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন, যাতে তারা ন্যায়বিচার পায় ও দেশে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
10রাণী যা কিছু এনেছিলেন, সব রাজা শলোমনকে উপহার দিলেন। তিনি এনেছিলেন একশো কুড়ি তালন্ত সোনা, প্রচুর সুগন্ধি মশলা ও মণিমাণিক্য। শেবার রাণী যত সুগন্ধি মশলা রাজা শলোমনকে উপহার দিয়েছিলেন, তত সুগন্ধি মশলা আর কোনদিন তিনি পান নি।#মথি 12:42; লুক 11:31 11(হীরামের নৌবহর ওফির থেকে সোনা আনবার সময় সেইসঙ্গে প্রচুর চন্দনকাঠ আর মণি নিয়ে আসত। 12সেই চন্দন কাঠ দিয়ে রাজা মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের জানালার গরাদ তৈরী করিয়ে ছিলেন। ইসরায়েল দেশে এমন চন্দন কাঠ আর কখনও আমদানী হয়নি, এমনটি আর কখনও দেখাও যায়নি)।
13রাজা শলোমনের কাছে শেবার রাণী যা চাইলেন, তিনি সবই দিলেন তাঁকে। তা ছাড়াও রাজার ভাণ্ডার থেকে প্রচুর দানসামগ্রী তাঁকে দেওয়া হল। তারপর রাণী তাঁর লোক-লস্কর নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।
রাজা শলোমনের ঐশ্বর্য
(২ বংশা 9:13-28)
14প্রতি বছর শলোমনের ভাণ্ডারে প্রায় ছশো ছেষট্টি তালন্ত#10:14 প্রায় তেইশ হাজার কিলোগ্রাম সোনা জমা পড়ত। 15এ ছাড়াও বণিকদের কাছ থেকে আদায় বাবদ শুল্ক,#10:15 কোন কোন প্রাচীন অনুবাদে শুল্ক। হিব্রু: লোকজন। ব্যবসা বাণিজ্যের লাভ, আরবদেশের রাজন্যবর্গ ও ইসরায়েলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রচুর রাজস্ব আদায় হত। 16শলোমন পেটাই করা সোনা দিয়ে বড় বড় দুশো ঢাল তৈরী করিয়েছিলেন। প্রত্যেকটার ওজন ছিল প্রায় ছশো শেকেল#10:16 সাত কিলোগ্রাম সোনা 17এইসাথে তিনি আরও তিনশো সোনার ঢাল তৈরী করিয়েছিলেন। এগুলির প্রত্যেকটির ওজন ছিল তিন মিনা#10:17 দুই কিলোগ্রাম সোনা সোনা। এই সমস্ত ঢাল তিনি লেবাননের ‘অরণ্য প্রাসাদে’ রেখেছিলেন।
18রাজা শলোমন গজদন্তের একটি বিরাট সিংহাসনও তৈরী করিয়েছিলেন। সেটি আগাগোড়া নিখাদ সোনা দিয়ে মোড়া ছিল। 19-20সিংহাসনে ওঠার জন্য ছটি ধাপ ছিল এবং প্রত্যেক ধাপের দুদিকে দুটি করে মোট বারোটি সিংহমূর্তি ছিল। সিংহাসনের পিছনে একটি বৃষ-মুণ্ড এবং আসনের দুধারের হাতল দুটি ছিল দুটি সিংহ মূর্তি। এ রকম সিংহাসন কোন রাজ্যে কোন কালে ছিল না। 21শলোমনের সমস্ত পানপাত্র ছিল সোনার লেবাননের ‘অরণ্য প্রাসাদের’ সমস্ত বাসনপত্রও ছিল নিখাদ সোনার। শলোমনের আমলে রূপোর কোন দাম ছিল না বলে রূপোর জিনিষ ব্যবহার করা হত না। 22শলোমনের কিছু বাণিজ্য পোত ছিল। হীরামের বাণিজ্য বহরের সঙ্গে এগুলিও সমুদ্রপথে বাণিজ্যে যেত এবং তিন বছর অন্তর সোনা, রূপো, হাতির দাঁত বানর ও ময়ূর নিয়ে আসত।
23ঐশ্বর্যে ও জ্ঞানে শলোমন পৃথিবীর রাজাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। 24ঈশ্বরদত্ত এই প্রজ্ঞার কথা শোনার জন্য সব দেশের মানুষ তাঁর দর্শন প্রার্থী হত। 25তাঁরা প্রত্যেকেই সোনা, রূপোর জিনিস, মহার্ঘ পোশাক, অস্ত্র-শস্ত্র, সুগন্ধি দ্রব্য, মশলা, ঘোড়া ও খচ্চর ইত্যাদি উপহার নিয়ে আসত। বছরের পর বছর এমনটিই চলত। 26চোদ্দ হাজার রথারোহী আর বারো হাজার অশ্বারোহী সৈন্য দিয়ে শলোমন একটি সৈন্যবাহিনী গড়েছিলেন। এর মধ্যে কিছু সৈন্য তিনি জেরুশালেমে রেখেছিলেন এবং বাকী সৈন্যদের নানা শহরের ঘাঁটিতে মোতায়েন রেখেছিলেন।#১ রাজা 4:26 27তাঁর আমলে জেরুশালেমে রূপোর দাম ছিল ইঁট-পাটকেলের মত আর সীডার কাঠ ছিল জলাভূমির জংলী ডুমুর কাঠের মত সস্তা। 28রাজার বাণিজ্য বিভাগের কর্মচারীরা মুসরী#10:28 সম্ভাব্য পাঠ: মুসরী হিব্রু: মিশর ও সাইলিসিয়া#10:28 এই প্রাচীন শহর দুটি দক্ষিণ পূর্ব তুর্কীতে অবস্থিত। শলোমনের সময়ে এ দুটি শহর ছিল অশ্বপ্রজনন কেন্দ্র। থেকে আমদানী করে ঘোড়া এবং#দ্বি.বি. 17:16 29মিশর থেকে আমদানী করা রথ কেনাবেচার কাজ করত। তারা হিত্তিয় ও সিরিয়ার রাজাদের কাছে এক একটি রথ বিক্রী করত ছশো রৌপ্যমুদ্রায় আর প্রতিটি অশ্বের জন্য দাম নিত একশো পঞ্চাশ রৌপ্যমুদ্রা।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in