১ রাজাবলি 9
9
শলোমনের দ্বিতীয়বার দিব্যদর্শন লাভ
(২ বংশা 7:11-22)
1প্রভু পরমেশ্বরের মন্দির ও রাজপ্রাসাদ নির্মাণের কাজ শেষ হল। শেষ হল রাজা শলোমনের পরিকল্পনা অনুযায়ী আর সমস্ত কাজ।
2তখন গিবিয়োনে প্রভু পরমেশ্বর যেভাবে তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন সেইভাবে আবার তাঁকে দর্শন দিলেন।#১ রাজা 3:5; ২ বংশা 1:7 3প্রভু তাঁকে বললেন, তোমার নিবেদন আমি শুনেছি। তোমার নির্মিত মন্দির আমি পবিত্র করেছি। এখানে চিরকাল আমার আরাধনা হবে আমি সর্বদা এর প্রতি দৃষ্টি রাখব এবং একে রক্ষা করব। 4তোমার পিতা দাউদ যে ভাবে চলত তুমিও যদি সেইভাবে চল, একনিষ্ঠভাবে ন্যায়পথে থেকে আমার সমস্ত আদেশ পালন কর। আমার বিধান ও অনুশাসন মেনে চল 5তাহলে ‘ইসরায়েলের সিংহাসনে আরোহণ করার জন্য তোমার বংশে লোকের অভাব হবে না’—তোমার পিতার কাছে দেওয়া আমার এই প্রতিশ্রুতি আমি পূর্ণ করব#১ রাজা 2:4 6কিন্ত তুমি বা তোমার বংশধরেরা যদি আমার অনুগামী না হও, আমার বিধান ও অনুশাসন অমান্য করে অন্যান্য দেবতার পূজা কর, 7তাহলে আমি আমার প্রজা ইসরায়েলীদের যে দেশ দিয়েছি, সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করব। যে মন্দির আমি আমার উপাসনার জন্য পবিত্র করেছি, সেই মন্দিরও আমি পরিত্যাগ করব। সর্বজাতির কাছে ইসরায়েল হবে বিদ্রূপ ও নিন্দার পাত্র। 8এই মন্দির পরিণত হবে ধ্বংসস্তূপে। পথচারীরা এর কাছ দিয়ে যাবার সময় বিস্ময়ে স্তম্ভিত হবে। তারা জিজ্ঞাসা করবে : প্রভু পরমেশ্বর এই দেশ ও এই মন্দিরের এমন দশা করলেন কেন?#২ রাজা 25:9; ২ বংশা 36:19 9লোকে তখন বলবে: এদের পূর্বপুরুষদের যিনি মিশর থেকে উদ্ধার করে এনেছিলেন, এরা এদের সেই আরাধ্য ঈশ্বর প্রভুকে পরিত্যাগ করে অন্য দেবতাদের আশ্রয় নিয়েছিল এবং তাদের পূজা করেছিল, সেইজন্যই প্রভু পরমেশ্বর এদের এই দুর্দশা করেছেন।
রাজা হীরামের সঙ্গে শলোমনের চুক্তি
(২ বংশা 8:1-2)
10প্রভুর মন্দির ও রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করতে শলোমনের বিশ বছর সময় লেগেছিল। 11টায়ারের রাজা হীরাম এই কাজের জন্য শলোমনের চাহিদা অনুযায়ী সমস্ত সীডার ও দেবদারু কাঠ এবং সোনা সরবরাহ করেছিলেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে রাজা শলোমন হীরামকে গ্যালিলি প্রদেশের কুড়িটি শহর দিয়েছিলেন। 12হীরাম শহরগুলি দেখতে এলেন কিন্তু সেগুলি তাঁর পছন্দ হল না। 13তিনি শলোমনকে বললেন, বন্ধু, এই সব শহর তুমি আমাকে দিলে। এই জন্যই এগুলির নাম তিনি দিলেন ‘কাবুল’#9:13 অর্থাৎ অপদার্থ, আজও এগুলি এই নামেই পরিচিত। 14হীরাম রাজা শলোমনকে কুড়ি তালন্ত#9:14 চার হাজার কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা দিয়েছিলেন।
শলোমনের অন্যান্য কীর্তি
(২ বংশা 8:3-18)
15রাজা শলোমন মন্দির, রাজপ্রাসাদ, মিল্লো, জেরুশালেমের প্রাচীর, হাজোর, মেগিদ্দো এবং গেজের নগর নির্মাণের জন্য বেগার খাটা মজুরদের নিযুক্ত করেছিলেন। 16মিশররাজ ফারাও গেজের নগর আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেন এবং সেখানকার অধিবাসীদের হত্যা করেন। পরে শলোমন যখন তাঁর কন্যাকে বিবাহ করেন, তখন ফারাও তাঁর কন্যাকে নগরটি যৌতুক দেন। 17শলোমন তারপর নগরটি পুনর্নির্মাণ করেন। বেগার মজুরদের দিয়ে শলোমন বেথ-হারোণের নিম্নভূমি, 18বালেথ, যিহুদীয়ার প্রান্তরের তামর, 19তাঁর সমস্ত খাদ্যে ভাণ্ডারের নগরী, রথ ও অশ্ববাহিনীর ঘাঁটি জেরুশালেম, লেবানন এবং রাজ্যের সর্বত্র নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাবতীয় নির্মাণকার্য শেষ করলেন। 20-21বেগার খাটার জন্য শলোমন যে সমস্ত মজুরদের কাজে লাগিয়েছিলেন, তারা ছিল অমোরী, হিত্তিয়, পরিষী, হিব্বিয় এবং যিবুষী জাতির লোক। এদের বংশধরেরা আজও ক্রীতদাসেরই জীবন যাপন করছে। এরা ছিল কনান দেশের আদিম অধিবাসী। ইসরায়েলীরা কনান অধিকার করার পর এদের আর হত্যা করে নি। 22শলোমন কিন্তু ইসরায়েলীদের কাউকে এই বেগারী মজুরের কাজে লাগান নি। তারা নিযুক্ত হয়েছিল তাঁর সৈন্য, কর্মচারী, সৈন্যাধ্যক্ষ, নায়ক এবং তাঁর রথ ও অশ্বারোহী বাহিনীর কর্মী হিসাবে।
23শলোমনের কাজকর্ম তদারকের জন্য পাঁচশো পঞ্চাশজন কর্মাধ্যক্ষ ছিল। এদের অধীনে এই বেগার মজুরেরা কাজ করত।
24ফারাওয়ের কন্যা দাউদ নগর ছেড়ে তাঁর জন্য নির্মিত প্রাসাদে চলে গেলেন। তারপর শলোমন মিল্লো নির্মাণ করলেন
25শলোমন প্রভুর উদ্দেশে যে যজ্ঞবেদী নির্মাণ করেছিলেন, সেখানে তিনি বছরে তিনবার হোম ও স্বস্ত্যয়ন বলি উৎসর্গ করতেন এবং প্রভুর উদ্দেশে সুগন্ধি ধূপ জ্বালাতেন। শলোমনের মন্দির নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হল।#যাত্রা 23:17; 34:23; দ্বি.বি. 16:16 26-27রাজা শলোমন ইদোম দেশে লোহিত সাগরের তীরে এলতের কাছে ইৎসিয়োন গেবরে নৌবহর নির্মাণ করেছিলেন। হীরাম তাঁর কয়েকজন দক্ষ নাবিককে শলোমনের কর্মচারীদের সঙ্গে এইসব জাহাজে পাঠিয়েছিলেন। 28তারা ওফির দেশে গিয়ে সেখান থেকে চারশো কুড়ি তালন্ত#9:28 চোদ্দ হাজার কিলোগ্রাম সোনা রাজা শলোমনের জন্য এনেছিল।
Currently Selected:
১ রাজাবলি 9: BENGALCL-BSI
Highlight
Share
Copy

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Bengali C.L. Bible, পবিএ বাইবেল C.L.
Copyright © 2016 by The Bible Society of India
Used by permission. All rights reserved worldwide.