আদিপুস্তক ভূমিকা

ভূমিকা
‘আদি’ শব্দের অর্থ ‘উৎপত্তি’। বিশ্বসৃষ্টি, মানব জাতির উৎপত্তি,পাপের শুরু ও এই পৃথিবীতে দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগের শুরু এবং মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের সম্পর্কের কথা পুস্তকটিতে বলা হয়েছে। আদি পুস্তককে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।
1 । 1-11 অধ্যায়: পৃথিবী সৃষ্টি এবং মানব জাতির আদি কালের কাহিনী। এই অংশে আছে আদম ও হবা, কয়িন ও হেবল, নোহ ও জল প্লাবন এবং ব্যাবিলনের মিনারের বিবরণ।
2 । 12-50 অধ্যায়: ইসরায়েল জাতির পূর্বসূরীদের ইতিহাস। প্রথম জন ছিলেন অব্রাহাম। ঈশ্বরের উপরে অখণ্ড বিশ্বাস ও অকুন্ঠ বাধ্যতার জন্য তাঁর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারপর থেকে কাহিনী এগিয়ে চলেছে। তাঁর পুত্র ইসহাক, পৌত্র যাকোব (ইসরায়েল যাঁর অপর নাম) ও যাকোবের দ্বাদশ পুত্র—যাঁরা ইসরায়েলের দ্বাদশ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। যাকোবের পুত্রদের মধ্যে অন্যতম, যোষেফের দিকে বিশেষ মনোযোগ এখানে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে সেইসব ঘটনার কথা, যার ফলে যাকোব এবং তাঁর অন্যান্য পুত্রেরা তাঁদের পরিবার-পরিজনসহ মিশরে এসে বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
পুস্তকটিতে মানবজাতির কাহিনী বর্ণনার অবসরে ঈশ্বরের কার্য বিবরণ অতি সুন্দর শৈলীতে রচিত সাহিত্যের সর্বপ্রথম রচনা। পুস্তকটি শুরু হয়েছে ঈশ্বরের সৃষ্টি বিবরণ দিয়ে এবং শেষ হয়েছে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে, যে প্রতিশ্রুতি ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের প্রতি অসীম ভালবাসার নিদর্শনরূপে রক্ষা করে চলবেন। সমগ্র পুস্তকে ঈশ্বরই মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি অন্যায়কারীদের বিচার ও দণ্ডদান করেন, তাঁর প্রজাদের নেতৃত্ব দান ও সাহায্য করেন এবং ইস্রায়েল জাতির জীবনের ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। এই সুপ্রাচীন পুস্তকটি ইসরায়েল জাতির জাতীয় জীবনের বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করার জন্য এবং সেই বিশ্বাসকে জাগ্রত রাখার জন্য রচিত হয়েছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা—
বিশ্বজগত ও মানবসৃষ্টির বিবরণ 1:1—2:25
পাপ ও দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগের সূত্রপাত 3:1-24
অাদম থেকে নোহ 4:1—5:32
নোহ এবং জলপ্লাবন 6:1—10:32
ব্যাবিলনের মিনার 11:1-9
শেম থেকে অব্রাহাম 11:10-32
পিতৃপুরুষঃ অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোব 12:1—35:29
এষৌর বংশধরগণ 36:1-43
যোষেফ ও তাঁর ভাইয়েরা 37:1—45:28
মিশরে ইসরায়েলীরা 46:1—50:26

Qhakambisa

Dlulisela

Kopisha

None

Ufuna ukuthi okuvelele kwakho kugcinwe kuwo wonke amadivayisi akho? Bhalisa noma ngena ngemvume