আদিপুস্তক 3 سے مشہور بائبلی آیات

شئیر

নারী দেখলেন, বৃক্ষটি সুন্দর, ফলগুলিও লোভনীয় এবং জ্ঞানলাভের জন্য বাঞ্ছনীয়ও বটে। তিনি তখন ঐ গাছের ফল পেড়ে খেলেন এবং তাঁর স্বামীকেও দিলেন, আর তিনিও সেই ফল খেলন।

প্রভু পরমেশ্বরের সৃষ্ট ভূচর প্রাণীদের মধ্যে সর্প ছিল সবচেয়ে চতুর। সে নারীকে বলল, ঈশ্বর কি সত্যিই বলেছেন, ‘তোমরা এই উদ্যানের কোন ফল খেও না’?

তোমার ও নারীর মাঝে, তোমার বংশে ও নারীর বংশে আমি সৃষ্টি করব বিরোধ। সে তোমার মস্তক চূর্ণ করবে, আর তুমি দংশন করবে তার পাদমূলে।

নারীকে তিনি বললেন, আমি তোমার গর্ভযন্ত্রণা অতিশয় বৃদ্ধি করব, বেদনার্ত হয়ে তুমি সন্তান প্রসব করবে। স্বামীর প্রতি থাকবে তোমার আসক্তি এবং সে তোমার উপরে করবে কর্তৃত্ব।

যতদিন না তুমি ফিরে যাবে মৃত্তিকা বক্ষে ততদিন ঘর্মাক্ত কলেবরে তোমাকে করতে হবে অন্নসংস্থান। মৃত্তিকা থেকে তোমার উৎপত্তি, ধূলিমাত্র তুমি, ধূলিতেই করবে প্রত্যাবর্তন। পরে আদম তাঁর স্ত্রীর নাম রাখলেন হবা

আর আদমকে প্রভু পরমেশ্বর বললেলন, ঐ গাছের ফল খেতে আমি তোমায় নিষেধ করেছিলাম, আমার নিষেধ না শুনে তুমি তোমার স্ত্রীর কথায সেই গাছের ফল খেয়েছ। সেইহেতু, তোমার পক্ষে ভূমি হল অভিশপ্ত, আজীবন কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে তোমাকে ভোগ করতে হবে এর ফসল।

প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তুমি যে উলঙ্গ সে কথা তোমাকে কে বলল? যে গাছের ফল খেতে আমি তোমাকে নিষেধ করেছিলাম, তুমি কি তার ফল খেয়েছ?

এই ভাবে ঈশ্বর মানুষকে বিতাড়িত করলেন এবং জীবনবৃক্ষের পথে পাহারা দেওয়ার জন্য এদন উদ্যানের পূর্বদিকে স্বর্গদূতদের নিযুক্ত করলেন ও চারিদিকে ঘূর্ণায়মান জ্বলন্ত এক খড়্গ স্থাপন করলেন।

কেননা তিনিই হলেন জীবিত সকল মানুষের মাতা।