আদিপুস্তক 2

2
1এইভাবে বিশ্বসৃষ্টির কাজ সম্পূর্ণ হল । 2ঈশ্বর তাঁর আরব্ধ কর্ম সম্পূর্ণ করে সপ্তম দিবসে সকল কর্ম থেকে বিরত হয়ে বিশ্রাম নিলেন।#হিব্রু 4:4-10 #যাত্রা 20:11 3সপ্তম দিবসকে ঈশ্বর বিশেষ দিনরূপে প্রতিষ্ঠা দান করলেন, কারণ ঐ দিন ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির সকল কর্ম থেকে বিরত হয়ে বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন।#2:3 অর্থাৎ আশীর্বাদ করে পবিত্র করলেন। 4এই হল আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিকাহিনী ।
প্রথম নরনারীর বিবরণ
5প্রভু পরমেশ্বর যখন আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন তখন পৃথিবীতে কোন উদ্ভিদ ছিল না, প্রান্তরে তখনও উৎপন্ন হয়নি কোন তৃণলতা কারণ প্রভু পরমেশ্বর তখনও পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত করেননি এবং 6কৃষিকর্ম করার জন্য কোন মানুষও তখন ছিল না । ভূগর্ভ থেকে উৎসারিত জলধারায় সিঞ্চিত হত সমগ্র ধরাতল। 7প্রভু পরমেশ্বর তখন মাটি দিয়ে মানুষ#2:7 মানুষ : ‘মানুষ’ ও ‘মাটি’- এই শব্দ দুটির অর্থবোধক হিব্রু শব্দ ‘আদাম’ ও ‘আদামা’ এবং ‘নর’ ও ‘নারী’ যথাক্রমে হিব্রু= ‘ঈশ’ ও ‘ঈশা’। গড়লেন এবং তার নাসিকায় আপন প্রশ্বাসে প্রাণবায়ু সঞ্চারিত করলেন । তখন মানুষ পরিণত হল এক সজীব সত্তায়।#১ করি 15:45
8তারপর প্রভু পরমেশ্বর পূর্বদিকে, এদনে এক উদ্যান রচনা করে সেখানে তাঁর সৃষ্ট মানুষকে রাখলেন । 9প্রভু পরমেশ্বর ধরাপৃষ্ঠে সর্বপ্রকার সুখাদ্য উৎপাদক সুদৃশ্য বৃক্ষরাজি উৎপন্ন করলেন । সেই উদ্যানের মাঝখানে সৃষ্টি করলেন জীবন বৃক্ষ এবং সৎ ও অসৎ জ্ঞানদায়ী বৃক্ষ।#প্রকা 2:7; 22:2,14 10উদ্যানে জলসেচের জন্য এদন থেকে প্রবাহিত হল একটি নদী সেখান থেকে বেরিয়ে সেই নদী চারটি ধারায় ভাগ হয়ে গেল । 11প্রথম নদীটির নাম পীশোন, এটি সমগ্র হবীলা দেশ বেষ্টন করে প্রবাহিত । এখানে সোনা পাওয়া যায় । 12এই দেশের সোনা উৎকৃষ্ট এবং এখানে গুগগুল ও গোমেদ মণি পাওয়া যায় । 13দ্বিতীয় নদীর নাম গীহোন, এটি সমগ্র কুশ দেশ বেষ্টন করে প্রবাহিত। 14তৃতীয় নদীর নাম হিদ্দেকল, (টাইগ্রিস) এটি আসিরিয়া দেশের পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত। চতুর্থ নদীটির নাম ফরাৎ (ইউফ্রেটিস)।
15প্রভু পরমেশ্বর মানুষকে এদন উদ্যানে কৃষিকর্ম ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত করলেন। 16প্রভু পরমেশ্বর মানুষকে নির্দেশ দিলেন, তুমি এই উদ্যানের যে কোন ফল খেতে পার কিন্তু সৎ এবং অসৎ জ্ঞানদায়ী যে বৃক্ষটি রয়েছে, তার ফল খেও না। 17যেদিন সেই বৃক্ষের ফল তুমি খাবে, নিশ্চিত জেন, সেই দিনই হবে তোমার মৃত্যু। 18তারপর প্রভু পরমেশ্বর বললেন, মানুষের একা থাকা ভাল নয়, আমি তাকে তার যোগ্য এক সঙ্গিনী দেব।
19প্রভু পরমেশ্বর মৃত্তিকা থেকে ভূচর সকল পশু ও খেচর সকল পাখি সৃষ্টি করলেন এবং সেই মানুষটি#2:19 মানুষটিঃ হিব্রু আদম শব্দের অর্থ মানুষ। প্রথম সৃষ্ট মানুষ এবং মানবজাতির আদি পিতার ব্যক্তিগত নাম হিসাবেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তাদের কি নাম রাখবেন, তা জানার জন্য তাদের তাঁর কাছে নিয়ে এলেন। তিনি যে প্রাণীর যে নাম রাখলেন, তার সেই নামই থাকল।
20তিনি প্রত্যেক গৃহপালিত পশু, পাখি ও বন্যপশুর নামকরণ করলেন কিন্তু মানুষের যোগ্য কোন সঙ্গিনী তাদের মধ্যে পাওয়া গেল না। 21তখন প্রভু পরমেশ্বর আদমকে ঘোর নিদ্রায় অভিভূত করলেন এবং নিদ্রিত অবস্থায় তাঁর পঞ্জর থেকে একখানি অস্থি খুলে নিয়ে মাংস দিয়ে সেই স্থান পূরণ করলেন। 22প্রভু পরমেশ্বর আদমের দেহ থেকে খুলে নেওয়া পঞ্জরাস্থি দ্বারা এক নারী সৃষ্টি করলেন এবং তাকে আদমের কাছে নিয়ে এলেন। 23আদম তখন বললেন,
এবার আমি পেলাম তাকে
যে আমার একান্ত আপন,
আমারই অস্থি থেকে যার উদ্ভব!
সম্ভূতা সে নরের সত্তা থেকে
নারী হবে তার নাম।
24এই কারণেই মানুষ তার পিতামাতাকে পরিত্যাগ করে স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয় এবং তারা দুজনে হয় একাঙ্গ।#মথি 9:5; মার্ক 10:7-8; ১ করি 6:16; ইফি 5:31
25আদম ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন উলঙ্গ। কিন্তু তখন তাঁদের কোন লজ্জাবোধ ছিল না।

Айни замон обунашуда:

আদিপুস্তক 2: BENGALCL-BSI

Лаҳзаҳои махсус

Паҳн кунед

Нусха

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in