তৌরাত ১: পয়দা নামা তৌরাত শরিফর পরিচিতি

তৌরাত শরিফর পরিচিতি
আল্লা পাকর নাজিল করা আছমানি কিতাব অকলর মাজর হকল পয়লা কিতাব অইলো, হজরত মুছা (আঃ) অর উপরে নাজিল অওয়া তৌরাত শরিফ বা তৌরাত কিতাব। ই কিতাব হিব্রু মানি ইবরানি ভাষায় নাজিল অইছে, অউ ভাষায় ‘তোরাহ্’ মানি ‘নছিয়ত’। অউ তৌরাত কিতাব নাজিল অইছে অনুমান ৩৫০০ বছর আগে। আছমানি কিতাব অকলর মাজে ইকটা অইলো হকল থাকি পুরান কিতাব, আর বাদ-বাকি হকল আছমানি কিতাবে অউ তৌরাত কিতাব থাকিউ তালিম দেয়।
তৌরাত শরিফর পাচখান ছিপারা আছে, অউ ছিপারা অকলর বিষয় সংক্ষেপ অইলো:
১। পয়দা নামা: আছমান-জমিন পয়দা থাকি দুনিয়ার পুরান ইতিহাস। বাদে আল্লা পাকে হজরত ইব্রাহিম (আঃ) আর তান বংশধররে পছন্দ করছইন, এরার মাজে তান নাতি হজরত ইয়াকুব (আঃ) অইলাগি বনি ইছরাইল জাতির মুল বাফ।
২। হিজরত: বনি ইছরাইল জাতি ফেরাউনর গুলাম অইছইন, বাদে হজরত মুছা (আঃ) অর আতানে আল্লা পাকে তারারে মিসর দেশ থাকি আজাদ করিয়া বার করছইন কেনান দেশ যাওয়ার নিয়তে। মরুভুমিত আইয়া তারা এক কাবা ঘর বানাইছইন যার নাম অইলো পবিত্র মিলন-তাম্বু।
৩। আল-লেবিয়ান: হউ কাবা ঘরর এবাদতির নিয়ম-কানুন আর পয়লা ইতিহাস।
৪। শুমারি: মিসর দেশ থাকি বারনির দুই বছরর সময়, বেশির ভাগ বনি ইছরাইল নাফরমান বনিগেছইন। এরলাগি অউ নাফরমান অকল না মরা পর্যন্ত ৩৮ বছর মরুভুমির মাজে ঘুরাঘুরিত আছিল, খালি তারার আওলাদ অকল জিন্দা রইলা।
৫। দুছরা-বয়ানি: ৪০ বছরর সময় বনি ইছরাইল জাতি কেনান দেশর সীমানাত আওয়ার বাদে, আল্লায় হজরত মুছা (আঃ) রে কইছইন তান দেওয়া হুকুম-আহকাম আর নছিয়ত হিরবার বনি ইছরাইল জাতিরে মন করাইবার লাগি। এর বাদে তান খাদিম হজরত ইউছা (আঃ) রে তান খলিফা হিসাবে বওয়াইয়া হজরত মুছা (আঃ) দুনিয়া থাকি বিদায় অইগেলা।
পয়দা নামা ছিপারার পরিচিতি
তৌরাত শরিফর পয়লা ছিপারা অইলো ‘পয়দা নামা’। অউ ছিপারার পয়লা আয়াতো আছে “পয়লাউ আল্লা,” আর হেশ আয়াতো আছে হজরত ইউছুফ (আঃ) অর মউত। আর হাছাউ আমরা দুনিয়া পয়দা থনে হজরত ইউছুফ (আঃ) পর্যন্ত বউত নবীর বয়ানি ই ছিপারাত পাই। পয়দা নামার মুল বিষয় অইলো, আদম জাতিয়ে ইবলিছ-শয়তানর ভুল পরামিশ হুনিয়া হারি নাফরমান বনিগেলা। বাদে আল্লা পাকে অউ নাফরমানি থাকি মুক্তি পাওয়ার লাগি এক পথ দেখাইলা, যাতে আদম জাতি হিরবার তান দিদার-দরশন পাইতা পারইন।
অউ পথরে দুই নমুনায় দেখাইল অইছে। পয়লা, আল্লায় নানান নবীর লগে তান দিদার পাওয়ার ওয়াদা-চুক্তি করলা, আর হউ নবীর উম্মতেও এর নিয়ামত-ফজিলত পাইলা। আর দুছরা নমুনা অইলো, আল্লা পাকে ওয়াদা করলা, তান পাঠাইল হউ নবী অকলর ছিলছিলা থাকি অলা এক পবিত্র জন ই দুনিয়াত আইবা, আইলে এন উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতিয়ে আল্লার দয়া আর রহম-বরকত পাইবা, মানষে দুনিয়া আর আখেরাতো নাজাত পাইবা। যেমন, আদম-হাওয়ার ছামনে তাইন শয়তানরে কইলা, “বেটি মানষর বংশে তুমার কল্লা গুড়া করবো” (৩ রুকু ১৫ আয়াত)। মানি, হউ পবিত্র জনে শয়তানর হকল খেমতা আর বল-শক্তিরে বিনাশ করবা, এইন জনম লইবা এক বেটি মানষর ঘরো, বাদে আরক কিতাবো আল্লায় জানাইছইন এন জনম অইবো আবিয়াতি এক সতী নারীর ঘরো। আর হজরত ইব্রাহিম (আঃ) রে কইলা, “তুমার বংশর উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতিয়ে বরকত হাছিল করবা” (২২:১৮ আয়াত)। বাদে তাইন হজরত ইব্রাহিমরে জানাইছইন, হউ পবিত্র আওলাদ আইবা তান হুরু পুয়া হজরত ইছহাক (আঃ) অর পুয়া ইয়াকুব নবীর খান্দানো।
আল্লায় হজরত ইয়াকুব (আঃ) রে নয়া নাম দিছলা হজরত ইছরাইল, এরলাগি ইয়াকুবর বংশধররে কওয়া অয় ‘বনি ইছরাইল’, মানি হজরত ইছরাইলর আওলাদ অকল। পয়দা নামা ছিপারার হেশ অংশত আছে, হজরত ইউছুফ (আঃ) কিলা মিসর দেশো গুলাম বনলা আর বাদে মিসর দেশর রাজা বনিয়া নিদানর আত থাকি জান বাচানির লাগি, তান নিজর বাবা আর ভাইয়াইনরেও অউ মিসরো আনছইন। অউ নমুনায় বনি ইছরাইল মিসরো বসত করা শুরু অইলো।
এরমাজে আছে,
হজরত আদম (আঃ) —দুনিয়ার পয়দা ১—৫ রুকু
হজরত নুহ (আঃ) —পানির গজব ৬—১০ রুকু
হজরত ইব্রাহিম (আঃ) —আল্লার ওয়াদা ১১—২৩ রুকু
হজরত ইছহাক (আঃ) —হিরবার আল্লার ওয়াদা ২৪—২৬ রুকু
হজরত ইয়াকুব (আঃ) —বনি ইছরাইলর শুরু ২৭—৩৬ রুকু
হজরত ইউছুফ (আঃ) —বনি ইছরাইল মিসর দেশো আইলা ৩৭—৫০ রুকু

Kiemelés

Megosztás

Másolás

None

Szeretnéd, hogy a kiemeléseid minden eszközödön megjelenjenek? Regisztrálj vagy jelentkezz be