YouVersion Logo
Search Icon

হিজরত 33

33
তুর পর্বত ত্যাগের জন্য মাবুদের হুকুম
1আর মাবুদ মূসাকে বললেন, আমি ইব্রাহিম, ইস্‌হাক ও ইয়াকুবের কাছে কসম খেয়ে যে দেশ তাদের বংশকে দিতে ওয়াদা করেছিলাম, সেই দেশে যাও। তুমি মিসর দেশ থেকে যে লোকদেরকে বের করে এনেছ তাদের সঙ্গে এই স্থান থেকে প্রস্থান কর। 2আমি তোমার আগে এক জন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেব এবং কেনানীয়, আমোরীয়, হিট্টিয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়কে দূর করে দেব। 3দুগ্ধ-মধু-প্রবাহী দেশে যাও; কিন্তু আমি তোমার মধ্যবর্তী হয়ে যাব না, কেননা তুমি একগুঁয়ে জাতি; গেলে হয়তো পথের মধ্যে তোমাকে সংহার করবো।
4এই অশুভ কথা শুনে লোকেরা শোক করলো, কেউ অলঙ্কার পরলো না। 5মাবুদ মূসাকে বলেছিলেন, তুমি বনি-ইসরাইলদেরকে এই কথা বল, তোমরা একগুঁয়ে জাতি, এক নিমিষের জন্য তোমাদের মধ্যে গেলে আমি তোমাদেরকে সংহার করতে পারি; তোমরা এখন নিজ নিজ শরীর থেকে গহনা খুলে ফেল, তাতে জানতে পারব, তোমাদের বিষয়ে আমার কি করা কর্তব্য। 6তখন বনি-ইসরাইলরা হোরেব পর্বত পর্যন্ত যাত্রাপথে নিজ নিজ সমস্ত গহনা খুলে ফেলল।
জমায়েত-তাঁবুু
7আর মূসা তাঁবু নিয়ে শিবিরের বাইরে ও শিবির থেকে দূরে স্থাপন করলেন এবং সেই তাঁবুর নাম জমায়েত-তাঁবু রাখলেন। আর মাবুদের কাছ থেকে কেউ কিছু জানতে চাইলে তাদের প্রত্যেক জন শিবিরের বাইরে অবস্থিত সেই জমায়েত-তাঁবুর কাছে গমন করতো। 8মূসা যখন বের হয়ে সেই তাঁবুর কাছে যেতেন, তখন সমস্ত লোক উঠে প্রত্যেকে নিজ নিজ তাঁবুর দরজার সম্মুখে দাঁড়াতো এবং যে পর্যন্ত মূসা ঐ তাঁবুতে প্রবেশ না করতেন সেই পর্যন্ত তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত। 9আর মূসা তাঁবুতে প্রবেশ করলে পর মেঘস্তম্ভ নেমে তাঁবুর দ্বারে অবস্থিতি করতো এবং মাবুদ মূসার সঙ্গে আলাপ করতেন। 10সমস্ত লোক তাঁবুর দ্বারে অবস্থিত মেঘস্তম্ভ দেখতো ও সমস্ত লোক উঠে প্রত্যেকে নিজ নিজ তাঁবুর দরজার কাছে থেকে সেজ্‌দা করতো। 11আর মানুষ যেমন তার বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করে, তেমনি মাবুদ মূসার সঙ্গে সামনা সামনি আলাপ করতেন। পরে মূসা শিবিরে ফিরে আসতেন কিন্তু নূনের পুত্র ইউসা নামে তাঁর যুব পরিচারক তাঁবুর মধ্য থেকে বাইরে যেতেন না।
আল্লাহ্‌ মাবুদের ওয়াদা
12আর মূসা মাবুদকে বললেন, দেখ, তুমি আমাকে বলছো এই লোকদেরকে নিয়ে যাও কিন্তু আমার সঙ্গী করে যাঁকে প্রেরণ করবে, তাঁর পরিচয় আমাকে দাও নি। তবুও বলছো আমি নাম দ্বারা তোমাকে জানি এবং তুমি আমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হয়েছ। 13ভাল, যদি তোমার দৃষ্টিতে আমি অনুগ্রহের পাত্র হয়ে থাকি তবে আরজ করি, আমি যেন তোমাকে জেনে তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হই, এজন্য আমাকে তোমার সমস্ত পথ জানতে দাও এবং এই জাতি যে তোমার লোক তা বিবেচনা কর। 14তখন তিনি বললেন, আমার উপস্থিতি তোমার সঙ্গে গমন করবেন এবং আমি তোমাকে বিশ্রাম দেব। 15তাতে তিনি তাঁকে বললেন, তোমার উপস্থিতি যদি সঙ্গে না যান তবে এই স্থান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যেও না। 16কেননা আমি ও তোমার এই লোকেরা যে তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছি, তা কিসে জানা যাবে? আমাদের সঙ্গে তোমার গমন দ্বারা কি নয়? এর দ্বারাই আমি ও তোমার লোকেরা ভূমণ্ডলস্থ যাবতীয় জাতি থেকে বিশিষ্ট।
17পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, এই যে কথা তুমি বললে, তাও আমি করবো, কেননা তুমি আমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছে এবং আমি নাম দ্বারা তোমাকে জানি। 18তখন তিনি বললেন, আরজ করি, তুমি আমাকে তোমার মহিমা দেখতে দাও। 19আল্লাহ্‌ বললেন, আমি তোমার সম্মুখে আমার মহত্ত্ব প্রকাশ করবো ও মাবুদের নাম ঘোষণা করবো। আমি যাকে রহম করি, তাকে রহম করবো ও যার প্রতি করুণা করি, তার প্রতি করুণা করবো। 20আরও বললেন, তুমি আমার মুখ দেখতে পাবে না, কেননা মানুষ আমাকে দেখলে বাঁচতে পারে না। 21মাবুদ বললেন, দেখ, আমার কাছে একটি স্থান আছে; তুমি ঐ শৈলের উপরে দাঁড়াবে। 22তাতে তোমার কাছ দিয়ে আমার মহিমা গমনকালে আমি তোমাকে শৈলের একটি ফাটলে রাখবো ও আমার গমনের শেষ পর্যন্ত হাত দিয়ে তোমাকে আচ্ছন্ন করবো; 23পরে আমি হাত উঠালে, তুমি আমার পিছন ভাগ দেখতে পাবে কিন্তু আমার মুখ দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়।

Currently Selected:

হিজরত 33: BACIB

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in