YouVersion Logo
Search Icon

হিজরত 21

21
গোলামদের প্রতি ব্যবহারের নিয়ম
1তুমি এসব শাসন তাদের সম্মুখে রাখবে।
2তুমি ইবরানী গোলাম ক্রয় করলে সে ছয় বছর গোলামী করবে, পরে সপ্তম বছরে বিনামূল্যে মুক্ত হয়ে চলে যাবে। 3সে যদি একাকী আসে তবে একাকী যাবে; আর যদি সস্ত্রীক আসে তবে তার স্ত্রীও তার সঙ্গে যাবে। 4যদি তার মালিক তার বিয়ে দেয় এবং সেই স্ত্রী তার জন্য পুত্র বা কন্যা প্রসব করে তবে সেই স্ত্রী ও তার সন্তানদের উপরে তার মালিকের স্বত্ব থাকবে, সে একাকী চলে যাবে। 5কিন্তু ঐ গোলাম যদি স্পষ্টভাবে বলে, আমি আমার মালিক এবং আমার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে ভালবাসি, মুক্ত হয়ে চলে যাব না, 6তা হলে তার মালিক তাকে আল্লাহ্‌র কাছে নিয়ে যাবে এবং সে তাকে কপাটের কিংবা বাজুর কাছে উপস্থিত করবে। সেই স্থানে তার মালিক গুঁজি দ্বারা তার কান বিদ্ধ করবে; তাতে সে চিরকাল সেই মালিকের গোলাম থাকবে।
7আর কেউ যদি আপন কন্যাকে বাঁদী হিসেবে বিক্রি করে তবে গোলামেরা যেমন যায়, সে সেরকম যাবে না। 8তার মালিক তাকে নিজের জন্য নিরূপণ করলেও যদি তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয় তবে সে তাকে মুক্ত হতে দেবে; তার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করাতে অন্য জাতির কাছে তাকে বিক্রি করার অধিকার তার হবে না। 9আর যদি সে আপন পুত্রের জন্য তাকে নিরূপণ করে তবে সে তার সঙ্গে কন্যার মত ব্যবহার করবে। 10যদি সেই পুত্র অন্য আর এক জন স্ত্রীকেও বিয়ে করে তবে ওর খোরাক-পোশাক এবং সহবাসের বিষয় ত্রুটি করতে পারবে না। 11আর যদি সে তার প্রতি এই তিনটি কর্তব্য না করে তবে সেই স্ত্রী অমনি মুক্ত হয়ে চলে যাবে; টাকা লাগবে না।
হিংস্রতার বিরুদ্ধে নিয়ম
12কেউ যদি কোন মানুষকে এমন আঘাত করে যে, তার মৃত্যু হয় তবে অবশ্য প্রাণদণ্ড হবে। 13আর যদি কোন ব্যক্তি অন্যকে খুন করতে চেষ্টা না করে কিন্তু আল্লাহ্‌ তাকে তার হাতে তুলে দেন তবে যে স্থানে সে পালাতে পারে, এমন স্থান আমি তার জন্য নিরূপণ করবো। 14কিন্তু যদি কেউ দুঃসাহস করে ছলে তার প্রতিবেশীকে খুন করার জন্য তার উপর চড়াও হয় তবে সেই ব্যক্তি যদি কোরবানগাহ্‌র কাছে গিয়েও আশ্রয় নেয় তবে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে তার প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
15আর যে কেউ তার পিতাকে বা তার মাতাকে প্রহার করে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
16আর কেউ যদি কোন মানুষকে চুরি করে বিক্রি করে, কিংবা তার হাতে যদি তাকে পাওয়া যায় তবে তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
17আর যে কেউ তার পিতা বা তার মাতাকে বদদোয়া দেয় তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
18আর মানুষেরা ঝগড়া করে এক জন অন্যকে পাথরের আঘাত কিংবা ঘুষি মারলে সে যদি না মারা গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকে, 19আর তারপর উঠে লাঠি অবলম্বন করে বাইরে বেড়ায় তবে সেই আঘাতকারী দণ্ড পাবে না; কেবল তার কর্মক্ষতির ও চিকিৎসার ব্যয় তাকে দিতে হবে।
20আর কেউ তার গোলামকে কিংবা বাঁদীকে লাঠি দ্বারা প্রহার করলে সে যদি তার হাতে মারা যায় তবে সে অবশ্য দণ্ডনীয় হবে। 21কিন্তু সে যদি দু’এক দিন বাঁচে তবে তার মালিক দণ্ড ভোগ করবে না, কেননা সে তার সম্পত্তিস্বরূপ।
22আর পুরুষেরা ঝগড়া করে কোন গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রহার করলে যদি তার গর্ভপাত হয় কিন্তু পরে আর কোন বিপদ না ঘটে তবে ঐ স্ত্রীর স্বামীর দাবী অনুসারে অবশ্যই তার অর্থদণ্ড হবে ও সে বিচারকদের বিচার অনুযায়ী টাকা দেবে। 23কিন্তু যদি কোন বিপদ ঘটে তবে তোমাকে এই দায় পরিশোধ করতে হবে; 24প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা, 25পোড়ানোর বদলে পোড়ানো, ক্ষতের বদলে ক্ষত, কালশিরার বদলে কালশিরা।
26আর কেউ তার গোলাম বা বাঁদীর চোখে আঘাত করলে যদি তা নষ্ট হয় তবে তার চোখ নষ্ট হওয়ার জন্য সে তাকে মুক্ত করবে। 27আর আঘাত দ্বারা তার গোলাম কিংবা বাঁদীর দাঁত ভেঙে ফেললে ঐ দাঁতের জন্য সে তাকে মুক্ত করবে। 28আর কোন গরু যদি কোন পুরুষ বা স্ত্রীকে শিং দিয়ে আঘাত করলে পর মারা যায় তবে ঐ গরু অবশ্যই পাথরের আঘাতে মেরে ফেলতে হবে এবং তার গোশ্‌ত অখাদ্য হবে; কিন্তু গরুর মালিক দণ্ড পাবে না।
মালিকের দায়িত্ব-কর্তব্য
29তবে সেই গরুটি আগে শিং দিয়ে আঘাত করতো, এর প্রমাণ পেলেও তার মালিক তাকে সাবধানে না রাখাতে যদি সে কোন পুরুষ কিংবা স্ত্রীকে হত্যা করে তবে সে গরু পাথরের আঘাতে হত্যা করা যাবে এবং তার মালিকেরও প্রাণদণ্ড হবে। 30যদি তার জন্য কাফ্‌ফারা নির্ধারিত হয় তবে সে প্রাণের মুক্তির জন্য নির্ধারিত সমস্ত মূল্য দেবে। 31তার গরু যদি কারো পুত্র বা কন্যাকে শিং দিয়ে আঘাত করে তবে ঐ বিচারানুসারে তার প্রতি করা হবে। 32আর তার গরু যদি কারো গোলাম কিংবা বাঁদীকে শিং দিয়ে আঘাত করে তবে সে তার মালিককে ত্রিশ শেকল রূপা দেবে এবং গরুটিকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে।
33আর কেউ যদি কোন কূপ অনাবৃত করে, কূপ খনন করে আবৃত না করে তবে তার মধ্যে কোন গরু কিংবা গাধা পড়লে, 34সেই কূপের মালিক ক্ষতিপূরণ দেবে, সে পশুর মালিককে মূল্য দেবে কিন্তু ঐ মৃত পশু তারই হবে।
35আর, একজনের গরু অন্য জনের গরুকে শিং দিয়ে আঘাত করলে সেটা যদি মারা যায় তবে তারা জীবিত গরু বিক্রি করে তার মূল্য দু’ভাগ করবে এবং ঐ মৃত গরুও দু’ভাগ করে নেবে। 36কিন্তু যদি জানা যায়, সেই গরু আগে শিং দিয়ে আঘাত করতো ও তার মালিক তাকে সাবধানে রাখে নি তবে সে তার পরিবর্তে অন্য গরু দেবে কিন্তু মৃত গরু তারই হবে।

Currently Selected:

হিজরত 21: BACIB

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in