দ্বিতীয় বিবরণ 20

20
যুদ্ধ সংক্রান্ত বিধি
1তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি দেখ তাদের অশ্ব, রথ ও সৈন্য সংখ্যা তোমাদের চেয়ে বেশী, তাহলে ভয় পেয়ো না, কেননা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর যিনি মিশর থেকে তোমাদের উদ্ধার করে এনেছেন, তিনিই তোমাদের সঙ্গে আছেন। 2তোমাদের যুদ্ধযাত্রার সময় পুরোহিত এসে লোকদের বলবে, 3‘হে ইসরায়েল, শোন, তোমরা আজ শত্রুদের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করতে যাচ্ছ, তোমাদের হৃদয় যেন দুর্বল না হয়, তোমরা ভয় করো না, কম্পমান হয়ো না, শঙ্কিত হয়ো না শত্রুদের দেখে, 4কেননা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের জয়যুক্ত করার জন্য তোমাদের পক্ষ হয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন।
5তারপর সৈন্যধ্যক্ষেরা সৈন্যদের সম্বোধন করে বলবে,’ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন বাড়ি তৈরী করে তা প্রতিষ্ঠা না করে থাকে তাহলে সে বাড়ি ফিরে যাক, কারণ সে যদি যুদ্ধে মারা যায় তাহলে অন্য লোকে তার গৃহ প্রতিষ্ঠা করবে। 6যদি কেউ দ্রাক্ষাকুঞ্জ রচনা করে তার ফল আস্বাদন না করে থাকে তাহলে সেও বাড়ি ফিরে যাক, কারণ সে যুদ্ধে মারা গেলে অন্য লোকে তার ফল ভোগ করবে। 7বিবাহের সম্বন্ধ স্থির হয়েছে অথচ বিবাহ হয়নি এমন যদি কেউ থাকে তবে সেও বাড়ি ফিরে যাক, কারণ সে যুদ্ধে মারা গেলে অন্য লোক সেই কন্যাকে গ্রহণ করবে।’ 8এছাড়াও সৈন্যাধ্যক্ষেরা সৈন্যদের আরও বললেন, ‘দুর্বলচিত্ত ভীরু কেউ যদি থেকে থাকে তবে সেও বাড়ি ফিরে যাক, তা না হলে তার সহযোদ্ধাদের চিত্তও তার মত দুর্বল হয়ে পড়বে।’ 9সৈন্যাধ্যক্ষেরা সৈন্যদের কাছে এসব কথা বলার পর তারা সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করার জন্য নায়কদের নিযুক্ত করবে।
10তোমরা যখন কোন নগর আক্রমণ করতে যাবে তখন প্রথমে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেবে, 11যদি সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে তারা তোমাদের জন্য নগরদ্বার উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে সেই নগরের সমস্ত অধিবাসী তোমাদের দাস হবে এবং বেগার খাটাবে। 12কিন্তু যদি সেই নগর আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণ না করে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে তোমরা নগর অবরোধ করবে। 13তারপর যখন তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর সেই নগর তোমাদের অধিকারে আনবেন তখন তোমরা নগরের সমস্ত পুরুষদের খড়্গাঘাতে বধ করবে, 14কিন্তু নারী, শিশু, পশুপাল এবং নগরের অন্যান্য সম্পদ তোমরা লুন্ঠিত সম্পদরূপে নিজেদের জন্য গ্রহণ করবে। তোমাদের শত্রুদের লুন্ঠিত সম্পদ যা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের দেবেন, তোমরা ভোগ করবে। 15তোমাদের কাছাকাছি জাতিসমূহের নগরগুলি ছাড়া দূরবর্তী নগর সম্পর্কে তোমরা এই নীতি অনুসরণ করবে। 16কিন্তু এই সমস্ত জাতির যে নগরগুলি তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর তোমাদের অধিকার করতে দেবেন সেগুলির মধ্যে কোন প্রাণীকে তোমরা জীবিত রাখবে না। 17তোমাদের ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী হিত্তীয়, ইমোরী, কনানী, পরিষী, হিব্বীয় ও যিবুষী জাতির সকলকে তোমরা নিঃশেষে ধ্বংস করবে। 18তা না হলে তারা তাদের দেবতাদের উপাসনার নামে যে সব ঘৃণ্য আচরণ করে সেগুলি তোমাদেরও করতে শিখাবে, আর তোমরা তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করবে।
19তোমরা যখন কোন নগর অধিকার করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে দীর্ঘকাল সেটি অবরোধ করে রাখবে তখন সেখানকার কোন বৃক্ষ তোমরা কুঠারাঘাতে ছেদন করবে না। তোমরা তার ফল ভোগ করবে, কিন্তু ছেদন করবে না। কারণ দেশের বৃক্ষরাজি মানুষ নয় যে তোমরা সেগুলিও ছেদন করবে। 20কিন্তু যে সব বৃক্ষের ফল খাওয়ার যোগ্য নয় বলে তোমরা জান, সেগুলি তোমরা ধ্বংস ও ছেদন করতে পারবে। যুদ্ধরত নগরটির পতন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সেগুলি অবরোধের কাজে ব্যবহার করতে পার।

Markierung

Teilen

Kopieren

None

Möchtest du deine gespeicherten Markierungen auf allen deinen Geräten sehen? Erstelle ein kostenloses Konto oder melde dich an.