২ রাজাবলি 14

14
যিহুদীয়ার রাজা অমৎসিয়
(২ বংশা 25:1-24)
1ইসরায়েল রাজ যিহোয়াহাসের পুত্র রাজা যিহোয়াশের#14:1 হিব্রু পাঠান্তর: যোয়াশ। রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে রাজা যোয়াশের পুত্র অমৎসিয় যিহুদীয়ার রাজা হন। 2তখন তাঁর বয়স ছিল পঁচিশ বছর। তিনি ঊনত্রিশ বছর রাজত্ব করেন। 3তাঁর রাজধানী ছিল জেরুশালেমে। তাঁর মা যিহোয়াদিন ছিলেন জেরুশালেমের কন্যা। প্রভু পরমেশ্বরের প্রীতিজনক কাজই তিনি করতেন। কিন্তু তাঁর পূর্বপুরুষ রাজা দাউদের মত তিনি ছিলেন না। বরং তাঁর পিতা যোয়াশেরই অনুসরণ করেছিলেন। 4দেবপূজার পীঠস্থানগুলি তিনি ধ্বংস করেন নি। প্রজারা আগের মতই সেইসব স্থানে হোমবলি উৎসর্গ করত, ধূপ-ধুনো দিত।
5রাজশক্তি হাতের মুঠোর মধ্যে পাকাপাকিভাবে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অমৎসিয় তাঁর পিতা রাজা যোয়াশের হত্যাকারী রাজকর্মচারীদের হত্যা করলেন। 6কিন্তু তিনি এই হত্যাকারীদের সন্তানদের হত্যা করলেন না। কারণ মোশির বিধান শাস্ত্রে পরমেশ্বরের এই আদেশ লেখা আছে, “সন্তানদের দায়ে পিতাদের মৃত্যুদণ্ড হবে না অথবা পিতাদের দায়ে সন্তানদেরও মৃত্যুদণ্ড হবে না। কিন্তু প্রত্যেকে নিজের পাপের ফলে মৃত্যুদণ্ড পাবে।”#14:6 প্রত্যেকে... মৃত্যুদণ্ড পাবে।–দ্বি.বি. 24: 16 দ্রষ্টব্য।
7অমৎসিয় লবণ উপত্যকার যুদ্ধে দশ হাজার ইদোমী সৈন্যকে বধ করে সেলা শহর অধিকার করলেন এবং তার নাম দিলেন যোকথীল। আজও তার সেই নামই আছে। “
8তারপর অমৎসিয় ইসরায়েলরাজ যিহোয়াশের কাছে যুদ্ধের আহ্বান#14:8 আলোচনা সভা জানিয়ে দূত পাঠালেন। 9কিন্তু রাজা যিহোয়াশ তার উত্তরে বলে পাঠালেনঃ একদিন লেবাননের একটা কাঁটা ঝোপ সীডার গাছের কাছে বলে পাঠাল যে, তোমার মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে দাও। তারপর একটা বুনো জানোয়ার সেই ঝোপের পাশ দিয়ে যাবার সময় ঝোপটাকে মাড়িয়ে দিয়ে চলে গেল। 10তুমি ইদোম জয় করেছ, ঠিক কথা। তবে তাতে তোমার অহঙ্কার খুব বেড়ে গেছে। যে যশ-খ্যাতি তুমি পেয়েছে,তাই নিয়ে খুশী থাক এবং বাড়িতেই থাক। কেন অযথা বিপদ ডেকে আনছ? এতে তোমার নিজেরও সর্বনাশ হবে, সেই সাথে যিহুদীয়ারও সর্বনাশ হবে।
11কিন্তু অমৎসিয় তাঁর কথা শুনলেন না। তখন ইসরায়েলরাজ যিহোয়াশ সসৈন্যে যুদ্ধযাত্রা করলেন এবং যিহুদীয়ার বেথশেমেশে দুই রাজার মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ বেধে গেল। 12ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর কাছে যিহুদীয়া সেনাবাহিনী পরাজিত হল। সৈন্যেরা যে যার বাড়িতে পালিয়ে গেল। 13রাজা যিহোয়াশ অমৎসিয়কে বন্দী করলেন এবং জেরুশালেমে গিয়ে ইফ্রয়িম দ্বার থেকে কোণের দ্বার পর্যন্ত জেরুশালেমের প্রায় চারশো হাত#14:13 প্রায় দুশো মিটার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেললেন। 14তারপর সেখান থেকে সমস্ত সোনারূপো, মন্দিরের সমস্ত জিনিসপত্র, রাজকোষের সমস্ত ধনরত্ন এমনকি জামিনস্বরূপ কিছু লোককেও বন্দী করে শমরিয়ায় নিয়ে গেলেন।
15যিহোয়াশের অন্যান্য সমস্ত কার্যবিবরণ, তাঁর শৌর্য বীর্য এবং যিহুদীয়ারাজ অমৎসিয়ের সঙ্গে যুদ্ধ, তাঁর বীরত্বের বিবরণ ‘ইসরায়েলের রাজকাহিনী’তে লেখা আছে। 16যিহোয়াশের মৃত্যুর পর তাঁকে শমরিয়ায় ইসরায়েল রাজপরিবারের সমাধিক্ষেত্রে সমাধি দেওয়া হয়। তাঁর পুত্র দ্বিতীয় যারবিয়াম তাঁর পরে রাজা হন।
যিহুদীয়ারাজ অমৎসিয়র মৃত্যু
(২ বংশা 25:25-28)
17ইসরায়েলরাজ যিহোয়াশের মৃত্যুর পর আরও পনেরো বৎসর বেঁচেছিলেন যিহুদীয়ারাজ অমৎসিয়। 18রাজা অমৎসিয়র অন্যান্য সমস্ত কার্যবিবরণী ‘যিহুদীয়া রাজবংশের ইতিহাসে’ লেখা আছে। 19রাজা অমৎসিয়কে হত্যা করার জন্য জেরুশালেমে ষড়যন্ত্র চলছিল, তাই তিনি পালিয়ে গেলেন লাখীশে। কিন্তু শত্রুরা তাঁর পিছু নিল এবং সেখানে গিয়ে তাঁকে হত্যা করল। 20তাঁর মৃতদেহ ঘোড়ায় করে জেরুশালেমে আনা হল এবং সেই দাউদ নগরেই রাজপরিবারের সমাধিক্ষেত্রে সমাধি দেওয়া হল। 21তারপর যিহুদীয়ার লোকেরা অমৎসিয়ের ষোল বছরের ছেলে উৎসিয়কে#14:21 হিব্রু: অসরিয় রাজা করল। 22পিতার মৃত্যুর পর উৎসিয় এলাত শহরটি আবার উদ্ধার করেন এবং নতুন ভাবে গড়ে তোলেন।
ইসরায়েলরাজ দ্বিতীয় যারবিয়াম
23যোয়াশের পুত্র যিহুদীয়ারাজ অমৎসিয়ের রাজত্বের পঞ্চদশ বৎসরে রাজা যিহোয়াশের পুত্র যারবিয়াম ইসরায়েলের রাজা হন। তিনি একচল্লিশ বছর রাজত্ব করেন। শমরিয়া ছিল তাঁর রাজধানী। 24তিনিও তাঁর পূর্বপুরুষ নবাটের পুত্র রাজা যারবিয়ামের মত পরমেশ্বরের দৃষ্টিতে অপ্রীতিজনক কাজ করতেন। তাঁর পূর্বপুরুষ যারবিয়াম ইসরায়েলকে কুপথে পরিচালিত করেছিলেন। 25তিনি উত্তরে হামাথ গিরিপথ থেকে দক্ষিণে মরুসাগর পর্যন্ত সমস্ত এলাকা পুনরাধিকার করেন। গাৎ-হেফের নিবাসী অমিত্তয়ের পুত্র নবী যোনার মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রভু পরমেশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এইভাবে তা সফল হয়েছিল।#যোনা 1:1
26পরমেশ্বর ইসরায়েলীদের নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশা দেখেছিলেন। ক্রীতদাস অথবা স্বাধীন কেউই রেহাই পায়নি। তাদের সহায় কেউ ছিল না। 27ইসরায়েলীদের চিরতরে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার ইচ্ছা প্রভু পরমেশ্বরের ছিল না। তাই তিনি রাজা দ্বিতীয় যারবিয়ামের দ্বারা তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
28দ্বিতীয় যারবিয়ামের অন্যান্য সমস্ত কার্যবিবরণ, তাঁর বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ এবং যিহুদীয়ার কবল থেকে দামাস্‌কাস্‌ ও হামাথ পুনরুদ্ধারের সমস্ত কাহিনী ‘ইসরায়েলী রাজকাহিনীতে’ লেখা আছে। 29যারবিয়ামের মৃত্যুর পর তাঁকে রাজপরিবারের সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর পুত্র সখরিয় রাজা হন।

Markierung

Teilen

Kopieren

None

Möchtest du deine gespeicherten Markierungen auf allen deinen Geräten sehen? Erstelle ein kostenloses Konto oder melde dich an.