জবুর ভূমিকা
ভূমিকা
পবিত্র জবুর শরীফে ১৫০টি কাওয়ালী আছে। এর মধ্যে হযরত দাউদ (আঃ) কমপক্ষে ৭৩টি কাওয়ালী লিখেছিলেন; যাঁদের নাম জানা যায় না তাঁরা লিখেছিলেন ৪৯টি কাওয়ালী। এছাড়া হযরত আসফ (আঃ) ১২টি, কারুনের ছেলেরা ১০টি, বাদশাহ্ সোলায়মান (আঃ) ২টি, হযরত মূসা (আঃ) 1টি, হযরত এথন ১টি, হযরত হেমন ১টি এবং হযরত উযায়ের (আঃ) 1টি কাওয়ালী লিখেছিলেন।
জবুর শরীফ হল একত্রিত করা কতগুলো কাওয়ালী বা কবিতা। এগুলো বাদ্যযন্ত্রের সংগে গাইবার জন্য লেখা হয়েছিল, তেলাওয়াত করবার জন্য নয়। এগুলোকে প্রায়ই বলা হয় “হযরত দাউদ (আঃ)-এর জবুর” কিন্তু সমস্ত জবুর শরীফের মাত্র অর্ধেক কাওয়ালী হযরত দাউদ (আঃ)-এর রচিত। অবশ্য অন্যান্য লেখকদের চেয়ে হযরত দাউদ (আঃ)-এর রচনা বেশী। হযরত মূসা (আঃ)-এর সময় থেকে হযরত উযায়ের (আঃ)-এর সময় পর্যন্ত এক হাজার বছরেরও বেশী সময় লেগেছিল জবুর শরীফের কাওয়ালীগুলো লিখতে। হযরত দাউদ (আঃ)-এর সময় থেকে বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের সময় পর্যন্ত, তিনশো বছরের মধ্যে জবুর শরীফের বেশীর ভাগ কাওয়ালী লেখা হয়েছিল (১০০০-৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ)।
বায়তুল-মোকাদ্দসে ও মজলিস-খানায় এবাদতের সময় ব্যবহারের জন্য প্রাচীন রূহানী গজল বই ছিল জবুর শরীফ। জবুর শরীফ পাঁচটি সিপারায় বিভক্ত। প্রত্যেক সিপারায় আল্লাহ্র প্রশংসা করে শেষ হয়েছে। পঞ্চম সিপারাটি শেষ হয়েছে ১৫০ রুকুর পুরো কাওয়ালীটি দিয়ে। জবুর শরীফের কোন কোন রুকুর উপরে যে শিরোনাম বা অন্যান্য কথা লেখা আছে সেগুলো খুবই প্রাচীন এবং খুব সম্ভব তা পাক-কিতাবের অংশ। কাওয়ালীগুলোর উপরে লেখা অজানা শব্দ বা নামের ব্যাখ্যার জন্য টীকা দেখুন।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) প্রথম সিপারা (১-৪১ রুকু)
(খ) দ্বিতীয় সিপারা (৪২-৭২ রুকু)
(গ) তৃতীয় সিপারা (৭৩-৮৯ রুকু)
(ঘ) চতুর্থ সিপারা (৯০-১০৬ রুকু)
(ঙ) পঞ্চম সিপারা (১০৭-১৫০ রুকু)
Currently Selected:
জবুর ভূমিকা: MBCL
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006