YouVersion Logo
Search Icon

ইফিষীয় 6

6
ছেলেমেয়ে ও মা-বাবার জন্য শিক্ষা
1ছেলেমেয়েরা, প্রভু যেভাবে চান সেইভাবেই তোমরা মা-বাবার বাধ্য হয়ে চল, কারণ সেটাই হওয়া উচিত। 2পাক-কিতাবে প্রথম যে হুকুমের সংগে ওয়াদা রয়েছে তা এই- “তোমার পিতা-মাতাকে সম্মান কর, 3যেন তোমার উন্নতি হয় এবং তুমি অনেক দিন পর্যন্ত এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে পার।” 4তোমরা যারা বাবা, তোমরা তোমাদের ছেলেমেয়েদের বিরক্ত করে তুলো না, বরং প্রভুর শাসন ও শিক্ষায় তাদের মানুষ করে তোল।
গোলাম ও মালিকের জন্য শিক্ষা
5তোমরা যারা গোলাম, তোমরা যেমন মসীহের বাধ্য তেমনি ভয় ও সম্মানের সংগে দিল থেকে তোমাদের এই দুনিয়ার মালিকদের বাধ্য হয়ো। 6মানুষকে খুশী করবার মনোভাব নিয়ে তোমাদের মালিকদের চোখের সামনেই কেবল তাদের বাধ্য হয়ো না; তার চেয়ে বরং মসীহের গোলাম হিসাবে আল্লাহ্‌র ইচ্ছা মনেপ্রাণে পালন করে তোমরা মালিকদের বাধ্য হয়ো। 7তোমরা যেন মানুষের সেবা করছ না কিন্তু প্রভুর সেবা করছ সেইভাবে সন্তুষ্ট মনে তোমাদের মালিকদের সেবা কোরো, কারণ তোমরা জান যে, 8প্রত্যেকেই তার সব ভাল কাজের জন্য প্রভুর কাছ থেকে পুরস্কার পাবে- তা সে গোলামই হোক, আর স্বাধীনই হোক।
9তোমরা যারা মালিক, তোমরাও তোমাদের গোলামদের প্রতি ঠিক সেই রকম ব্যবহার কর। তাদের ভয় দেখানো ছেড়ে দাও, কারণ তোমরা তো জান যে, তাদের ও তোমাদের একই মালিক এবং তিনি বেহেশতে আছেন; তাঁর চোখে সবাই সমান।
ইবলিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
10শেষে বলি, প্রভুর সংগে যুক্ত হয়ে তাঁরই দেওয়া মহা শক্তিতে শক্তিমান হও। 11যুদ্ধের জন্য আল্লাহ্‌র দেওয়া সমস্ত সাজ-পোশাক পরে নাও, যেন তোমরা ইবলিসের সব চালাকির বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পার। 12আমাদের এই যুদ্ধ তো কোন মানুষের বিরুদ্ধে নয়, বরং তা অন্ধকার রাজ্যের সব শাসনকর্তা ও ক্ষমতার অধিকারীদের বিরুদ্ধে, অন্ধকার দুনিয়ার শক্তিশালী রূহ্‌দের বিরুদ্ধে, আর আকাশের সমস্ত ভূতদের বিরুদ্ধে। 13তাই তোমরা যুদ্ধের জন্য আল্লাহ্‌র দেওয়া সমস্ত সাজ-পোশাক পরে নাও, যেন ইবলিস যেদিন আক্রমণ করবে সেই দিন তোমরা তাকে রুখে দাঁড়াতে পার এবং সব কিছু শেষ করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পার। 14এইজন্য সত্য দিয়ে কোমর বেঁধে, বুক রক্ষার জন্য সৎ জীবন দিয়ে বুক ঢেকে, 15আর শান্তির সুসংবাদ তবলিগের জন্য পা প্রস্তুত রেখে দাঁড়িয়ে থাক। 16এছাড়া ঈমানের ঢালও তুলে নাও; সেই ঢাল দিয়ে তোমরা ইবলিসের সব জ্বলন্ত তীর নিভিয়ে ফেলতে পারবে। 17মাথা রক্ষার জন্য আল্লাহ্‌র দেওয়া নাজাত মাথায় দিয়ে পাক-রূহের ছোরা, অর্থাৎ আল্লাহ্‌র কালাম গ্রহণ কর। 18পাক-রূহের দ্বারা পরিচালিত হয়ে মনেপ্রাণে সব সময় মুনাজাত কর। এইজন্য সজাগ থেকে আল্লাহ্‌র সমস্ত বান্দাদের জন্য সব সময় মুনাজাত করতে থাক।
19আমার জন্যও মুনাজাত কর যেন আমি যখন কথা বলি তখন আল্লাহ্‌ আমাকে এমন ভাষা যুগিয়ে দেন যাতে আমি সাহসের সংগে তাঁর দেওয়া সুসংবাদের গোপন সত্য তবলিগ করতে পারি। 20এই সুসংবাদ তবলিগের জন্য আমি শিকলে বাঁধা পড়েও মসীহের দূতের কাজ করছি। মুনাজাত কর যেন জেলের মধ্যে থেকে যেভাবে সেই সুসংবাদ আমার তবলিগ করা উচিত সেইভাবে সাহসের সংগে তা করতে পারি।
শেষ কথা
21আমি কেমন আছি এবং আমার দিন কিভাবে কাটছে তা প্রিয় ভাই ও প্রভুর বিশ্বস্ত সেবাকারী তুখিকের কাছ থেকে জানতে পারবে। 22আমাদের সম্বন্ধে যেন তোমরা জানতে পার আর তিনি যেন তোমাদের উৎসাহ দিতে পারেন সেইজন্যই আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠালাম।
23পিতা আল্লাহ আর হযরত ঈসা মসীহ্‌ ভাইদের শান্তি, বিশ্বাস ও মহব্বত দান করুন। 24আমাদের হযরত ঈসা মসীহের প্রতি যাদের স্থির মহব্বত আছে তাদের সকলের উপর আল্লাহ্‌র রহমত থাকুক।

Currently Selected:

ইফিষীয় 6: MBCL

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in