YouVersion Logo
Search Icon

কলসীয় ভূমিকা

ভূমিকা
হযরত পৌল বেশীর ভাগ চিঠি লিখেছিলেন প্রধান প্রধান শহরের বিভিন্ন জামাতের কাছে। কলসী অবশ্য সেই রকম কোন শহর ছিল না। কেবল তাই নয়, হযরত পৌল নিজে কখনও কলসী শহরে যান নি। যাদের কখনও দেখেন নি সেই সব নতুন ঈমানদারদের উৎসাহ দেবার জন্য তিনি এই চিঠি লিখেছিলেন। হযরত পৌল জানতে পেরেছিলেন যে, কলসীর জামাতে ওস্তাদেরা ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। তারা সত্যিকারের ঈসায়ী এবাদতের সংগে অনেক নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করছে। তারা ফেরেশতাদের এবাদতের, কিছু কিছু খাবার বাদ দেওয়ার এবং খৎনা করানোর উপর জোর দিচ্ছে। হযরত পৌল তাদের লিখেছিলেন যে, নাজাত পাবার জন্য এগুলোর প্রয়োজন নেই, কারণ ঈসা মসীহ্‌ই সম্পূর্ণভাবে নাজাত করেন। তা ছাড়া এগুলোর উপর নির্ভর করলে এবং সেইভাবে চললে লোকে মসীহের কাছ থেকে দূরে চলে যায়। হযরত পৌলের লেখা এই চিঠির সংগে ইফিষীয়দের কাছে লেখা চিঠির অনেক মিল আছে। তবে পার্থক্য হল ইফিষীয় সিপারা লেখা হয়েছিল সঠিক ঈমানে পাকা ঈমানদারদের কাছে, কিন্তু কলসীয় সিপারা নতুন ঈমানদারদের কাছে একই শিক্ষা অন্যভাবে দেবার জন্য লেখা হয়েছিল।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) হযরত পৌলের সালাম, শুকরিয়া ও মুনাজাত (১:১-১৪ আয়াত)
(খ) হযরত ঈসা মসীহের প্রাধান্য (১:১৫-২৩ আয়াত)
(গ) হযরত পৌলের সাহাবী-পদ (১:২৪-২৯ আয়াত)
(ঘ) ভুল শিক্ষা সম্বন্ধে সাবধান করা (২ রুকু)
(ঙ) মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে ঈমানদারের নতুন জীবন (৩:১-৪:৬ আয়াত)
(চ) হযরত পৌলের শেষ সালাম ও শিক্ষা (৪:৭-১৮ আয়াত)

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in