YouVersion Logo
Search Icon

১ শামুয়েল 23

23
কিয়ীলা শহরের উদ্ধার
1লোকেরা দাউদকে গিয়ে বলল, “দেখুন, ফিলিস্তিনীরা কিয়ীলা শহরটা আক্রমণ করেছে এবং সেখানকার খামারগুলোর শস্য লুট করছে।” 2দাউদ তখন মাবুদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি গিয়ে ঐ ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ করব?”
জবাবে মাবুদ তাঁকে বললেন, “জ্বী, যাও। ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ করে কিয়ীলা রক্ষা কর।”
3কিন্তু দাউদের লোকেরা বলল, “এই এহুদা এলাকাতেই আমরা ভয়ে ভয়ে আছি; তার উপর কিয়ীলাতে ফিলিস্তিনী সৈন্যদের আক্রমণ করতে যাওয়া কি আরও ভয়ের ব্যাপার নয়?”
4তখন দাউদ আবার মাবুদকে জিজ্ঞাসা করলেন আর মাবুদ জবাবে তাঁকে বললেন, “তুমি কিয়ীলাতে যাও, আমি তোমার হাতে ফিলিস্তিনীদের তুলে দেব।” 5দাউদ তখন তাঁর লোকদের নিয়ে কিয়ীলাতে গেলেন এবং ফিলিস্তিনীদের সংগে যুদ্ধ করে তাদের গরু-ভেড়া সব নিয়ে আসলেন। তিনি ফিলিস্তিনীদের অনেক লোককে হত্যা করে কিয়ীলার লোকদের রক্ষা করলেন।
6অহীমেলকের ছেলে অবিয়াথর কিয়ীলাতে দাউদের কাছে পালিয়ে আসবার সময় সংগে করে মহা-ইমামের এফোদখানা নিয়ে এসেছিলেন।
তালুত হযরত দাউদকে তাড়া করলেন
7দাউদ কিয়ীলাতে আছেন শুনে তালুত বললেন, “আল্লাহ্‌ দাউদকে এবার আমার হাতে তুলে দিয়েছেন, কারণ শহরের দরজাগুলো হুড়কা দিয়ে বন্ধ করা যায় এমন একটা জায়গায় ঢুকে সে নিজেই নিজেকে আটক করে ফেলেছে।” 8কিয়ীলাতে গিয়ে দাউদ ও তাঁর লোকদের ঘেরাও করবার জন্য তালুত তাঁর সমস্ত সৈন্যদের যুদ্ধ করবার ডাক দিলেন।
9দাউদ যখন জানতে পারলেন যে, তালুত তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তখন তিনি ইমাম অবিয়াথরকে বললেন, “আপনার এফোদটা এখানে নিয়ে আসুন।” 10পরে তিনি বললেন, “হে বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্‌, তোমার গোলাম আমি নিশ্চয় করে জেনেছি যে, তালুত আমারই দরুন কিয়ীলা ধ্বংস করবার জন্য এখানে আসবার পরিকল্পনা করছেন। 11কিয়ীলার লোকেরা কি আমাকে তাঁর হাতে তুলে দেবে? আমি যেমন শুনেছি সেইভাবে তালুত কি সত্যিই এখানে আসবেন? হে বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্‌, তোমার এই গোলামকে তুমি তা বলে দাও।”
মাবুদ বললেন, “জ্বী, সে আসবে।”
12তখন দাউদ আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “কিয়ীলার লোকেরা কি আমাকে ও আমার লোকদের তালুতের হাতে তুলে দেবে?”
মাবুদ বললেন, “জ্বী, দেবে।”
13এই কথা শুনে দাউদ তাঁর সংগের প্রায় ছ’শো লোক নিয়ে কিয়ীলা ছেড়ে চলে গেলেন এবং এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে লাগলেন। দাউদ কিয়ীলা থেকে পালিয়ে গেছেন শুনে তালুত আর সেখানে গেলেন না।
14দাউদ মরুভূমির কেল্লার মত জায়গাগুলোতে এবং সীফ মরুভূমির পাহাড়ী জায়গায় থাকতে লাগলেন। দিনের পর দিন তালুত তাঁর খোঁজ করে চললেন কিন্তু আল্লাহ্‌ তাঁর হাতে দাউদকে পড়তে দিলেন না।
15সীফ মরুভূমির হরেশে থাকবার সময় দাউদ শুনলেন যে, তালুত তাঁকে হত্যা করবার জন্য বের হয়েছেন। 16এদিকে তালুতের ছেলে যোনাথন হরেশে দাউদের কাছে গিয়ে তাঁকে আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করতে উৎসাহ দিলেন। 17যোনাথন বললেন, “তুমি ভয় কোরো না; আমার বাবা তালুতের হাতে তুমি ধরা পড়বে না। তুমিই ইসরাইল দেশের উপরে রাজত্ব করবে, আর আমার স্থান হবে তোমার পরেই। আমার বাবাও সেই কথা জানেন।” 18তাঁরা দু’জনেই মাবুদকে সাক্ষী রেখে একটা চুক্তি করলেন। পরে যোনাথন বাড়ী চলে গেলেন কিন্তু দাউদ হরেশেই রয়ে গেলেন।
19এদিকে সীফ গ্রামের লোকেরা গিবিয়াতে তালুতের কাছে গিয়ে বলল, “দাউদ আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। সে হরেশের কাছে যিশীমোনের দক্ষিণে হখীলা পাহাড়ের কেল্লার মত জায়গাগুলোতে থাকে। 20মহারাজ, আপনার ইচ্ছামতই আপনি আসুন। তাকে বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দেওয়াই আমাদের কাজ।”
21জবাবে তালুত বললেন, “মাবুদ তোমাদের দোয়া করুন, কারণ আমার জন্য তোমাদের মমতা আছে। 22তোমরা গিয়ে আরও ভাল করে তার খোঁজ-খবর নাও; সে কোথায় থাকে আর কোথায় যায় এবং সেখানে কে তাকে দেখেছে তা জেনে নাও। আমি শুনেছি সে নাকি খুব চালাক। 23তার লুকাবার সমস্ত জায়গাগুলো খুঁজে বের করবে। তারপর সঠিক সংবাদ নিয়ে ফিরে আসলে পর আমি তোমাদের সংগে যাব। সে যদি দেশের মধ্যে থাকে তবে আমি এহুদার সমস্ত বংশগুলোর মধ্য থেকে তাকে খুঁজে বের করবই।”
24সেই লোকেরা তখন তালুতের আগেই রওনা হয়ে সীফে ফিরে গেল। দাউদ তাঁর লোকদের নিয়ে তখন যিশীমোনের দক্ষিণে আরবায় মায়োন মরুভূমিতে ছিলেন। 25তালুত ও তাঁর লোকেরা দাউদের খোঁজ করতে গেলেন। দাউদ সেই খবর পেয়ে সেখান থেকে মায়োন মরুভূমির পাথুরে-পাহাড়ে গিয়ে রইলেন। তালুত সেই খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দাউদের পিছনে তাড়া করলেন।
26তালুত গেলেন পাহাড়ের এই পাশ দিয়ে আর দাউদ তাঁর লোকজন নিয়ে পাহাড়ের ওপাশে গেলেন। তাঁরা তালুতের কাছ থেকে পালাবার জন্য তাড়াহুড়া করছিলেন। এদিকে তালুত ও তাঁর সৈন্যেরা দাউদ ও তাঁর লোকদের ধরে ফেলবার জন্য তাঁদের ঘেরাও করছিলেন। 27এমন সময় একজন লোক এসে তালুতকে খবর দিল, “ফিলিস্তিনীরা দেশ আক্রমণ করেছে, আপনি শীঘ্রই চলে আসুন।” 28এই কথা শুনে তালুত দাউদের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেলেন। এইজন্য লোকে ঐ জায়গাটাকে বলে সেলা-হম্মলকোৎ (যার মানে “আলাদা হওয়ার পাহাড়”)। 29দাউদ সেখান থেকে ঐন্তগদীর কেল্লার মত জায়গাগুলোতে গিয়ে বাস করতে লাগলেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in