YouVersion Logo
Search Icon

১ বাদশাহ্‌নামা 8

8
বায়তুল-মোকাদ্দসের সাক্ষ্য-সিন্দুক
1এর পর বাদশাহ্‌ সোলায়মান দাউদ-শহর, অর্থাৎ সিয়োন থেকে মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি নিয়ে আসবার জন্য ইসরাইলের বৃদ্ধ নেতাদের, গোষ্ঠী-সর্দারদের ও ইসরাইলীয় বংশের প্রধান লোকদের জেরুজালেমে তাঁর কাছে উপস্থিত করলেন। 2তাতে এথানীম মাসে, অর্থাৎ সপ্তম মাসে ঈদের সময়ে ইসরাইলের ঐ সমস্ত লোক বাদশাহ্‌ সোলায়মানের কাছে উপস্থিত হলেন। 3ইসরাইলের সব বৃদ্ধ নেতারা উপস্থিত হলে পর ইমামেরা সিন্দুকটি তুলে নিলেন। 4তাঁরা এবং লেবীয়রা মাবুদের সিন্দুক, মিলন-তাম্বু এবং সমস্ত পবিত্র পাত্র বয়ে নিলেন। 5বাদশাহ্‌ সোলায়মান ও তাঁর কাছে জমায়েত হওয়া সমস্ত বনি-ইসরাইলরা সিন্দুকটির সামনে সামনে থেকে এত ভেড়া ও গরু কোরবানী দিলেন যে, সেগুলোর সংখ্যা গোণা গেল না।
6তারপর ইমামেরা মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকটি নির্দিষ্ট জায়গায়, বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিতরের কামরায়, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে কারুবীদের ডানার নীচে নিয়ে রাখলেন। 7তাতে কারুবীদের মেলে দেওয়া ডানায় সিন্দুক ও তা বহন করবার ডাণ্ডাগুলো ঢাকা পড়ল। 8এই ডাণ্ডাগুলো এত লম্বা ছিল যে, সেগুলোর মাথা ভিতরের কামরার সামনের প্রধান কামরা, অর্থাৎ পবিত্র স্থান থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্র স্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না। সেগুলো আজও সেখানে রয়েছে। 9বনি-ইসরাইলরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর মাবুদ তুর পাহাড়ে তাদের জন্য যখন ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন তখন মূসা সিন্দুকের মধ্যে যে পাথরের ফলক দু’টি রেখেছিলেন সেই দু’টি ছাড়া আর কিছুই তার মধ্যে ছিল না।
10পবিত্র স্থান থেকে ইমামেরা বের হয়ে আসবার পরেই মাবুদের ঘরের ভিতরটা মেঘে ভরে গেল। 11সেই মেঘের জন্য ইমামেরা এবাদত-কাজ করতে পারলেন না, কারণ মাবুদের মহিমায় তাঁর ঘরটা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
12তখন সোলায়মান বললেন, “মাবুদ, তুমি বলেছিলে তুমি ঘন মেঘে বাস করবে। 13আমি এখন তোমার জন্য একটা চমৎকার ঘর তৈরী করেছি; এটা হবে তোমার চিরকালের বাসস্থান।”
14এই বলে বাদশাহ্‌ জমায়েত হওয়া সমস্ত বনি-ইসরাইলদের দিকে ঘুরে তাদের দোয়া করলেন। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিল। 15তারপর তিনি বললেন, “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্‌র প্রশংসা হোক। তিনি আমার পিতা দাউদের কাছে নিজের মুখে যা ওয়াদা করেছিলেন তা নিজেই পূর্ণ করলেন। তিনি বলেছিলেন, 16‘আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের মিসর থেকে বের করে আনবার পর আমি বনি-ইসরাইলদের কোন গোষ্ঠীর শহর বেছে নিই নি যেখানে নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য বাসস্থান হিসাবে একটা ঘর তৈরী করা যায়। কিন্তু আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের শাসন করবার জন্য আমি দাউদকে বেছে নিয়েছি।’
17“ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্‌র জন্য একটা ঘর তৈরী করবার ইচ্ছা আমার পিতা দাউদের অন্তরে ছিল। 18কিন্তু মাবুদ আমার পিতা দাউদকে বলেছিলেন, ‘আমার জন্য একটা ঘর তৈরী করবার ইচ্ছা যে তোমার অন্তরে আছে তা ভাল। 19তবে ঘরটি তুমি তৈরী করবে না, করবে তোমার ছেলে, যে তোমার নিজের সন্তান। সে-ই আমার জন্য সেই ঘর তৈরী করবে।’
20“মাবুদ তাঁর ওয়াদা রক্ষা করেছেন। আমার পিতা যে পদে ছিলেন আমি সেই পদ পেয়েছি। মাবুদের ওয়াদা অনুসারে আমি ইসরাইলের সিংহাসনে বসেছি এবং ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্‌র জন্য আমি এই ঘরটি তৈরী করেছি। 21আমি সেখানে সেই সাক্ষ্য-সিন্দুকটি রাখবার জায়গা ঠিক করেছি যার মধ্যে রয়েছে মাবুদের দেওয়া ব্যবস্থা, যা তিনি মিসর থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের বের করে আনবার পর তাঁদের জন্য স্থাপন করেছিলেন।”
বায়তুল-মোকাদ্দস প্রতিষ্ঠার মুনাজাত
22তারপর সোলায়মান সেখানে জমায়েত হওয়া বনি-ইসরাইলদের সামনে মাবুদের কোরবানগাহের কাছে দাঁড়িয়ে আসমানের দিকে হাত তুললেন। 23তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্‌, ইসরাইলের মাবুদ, উপরে বেহেশতে কিংবা নীচে দুনিয়াতে তোমার মত মাবুদ আর কেউ নেই। তোমার যে গোলামেরা মনেপ্রাণে তোমার পথে চলে তুমি তাদের পক্ষে তোমার অটল মহব্বতের ব্যবস্থা রক্ষা করে থাক। 24তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছিলে তা তুমি রক্ষা করেছ। তুমি মুখে যা বলেছ কাজেও তা করেছ, আর আজকে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
25“এখন হে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্‌, তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছিলে তা রক্ষা কর। তুমি বলেছিলে যদি তাঁর ছেলেরা তাঁর মত করে তাদের সব কাজে তোমার ইচ্ছামত চলে তবে ইসরাইলের সিংহাসনে বসবার জন্য তাঁর বংশে লোকের অভাব হবে না। 26হে ইসরাইলের আল্লাহ্‌, যে ওয়াদা তুমি তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে করেছিলে তা সফল হোক।
27“কিন্তু সত্যিই কি আল্লাহ্‌ দুনিয়াতে বাস করবেন? আসমানে, এমন কি, আসমানের সমস্ত জায়গা জুড়েও যখন তোমার স্থান অকুলান হয় তখন আমার তৈরী এই ঘরে কি তোমার জায়গা হবে? 28তবুও হে আমার মাবুদ আল্লাহ্‌, তোমার গোলামের মুনাজাত ও অনুরোধে তুমি কান দাও। তোমার গোলাম আজ তোমার কাছে কাকুতি-মিনতি করে যে মুনাজাত করছে তা তুমি শোন। 29যে জায়গার বিষয় তুমি বলেছ, ‘এই জায়গায় আমার বাসস্থান হবে,’ সেই জায়গার দিকে, অর্থাৎ এই বায়তুল-মোকাদ্দসের দিকে তোমার চোখ দিনরাত খোলা থাকুক; আর এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গোলাম যখন মুনাজাত করবে তখন তুমি তা শুনো। 30এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গোলাম ও তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলরা যখন অনুরোধ করবে তখন তাতে তুমি কান দিয়ো। তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তা তুমি শুনো এবং তাদের মাফ কোরো।
31“কোন লোককে অন্যের বিরুদ্ধে অন্যায় করবার দোষে দোষী করা হলে তার নিজের উপর বদদোয়া ডেকে আনবার জন্য যদি তাকে কসম খেতে বাধ্য করা হয় এবং সে গিয়ে তোমার এই ঘরের কোরবানগাহের সামনে সেই কসম খায়, 32তবে তুমি বেহেশত থেকে সেই কথা শুনো এবং সেইমত কাজ কোরো। তখন তোমার গোলামদের তুমি বিচার করে দোষীর কাজের ফল তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে তাকে দোষী বলে প্রমাণ কোরো আর নির্দোষীকে তার কাজ অনুসারে ফল দিয়ে তাকে নির্দোষ বলে প্রমাণ কোরো।
33“তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করবার দরুন যখন তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলরা শত্রুর কাছে হেরে গিয়ে আবার তোমার কাছে ফিরে আসবে এবং বায়তুল-মোকাদ্দসে তোমার গৌরব করে তোমার কাছে মুনাজাত ও অনুরোধ করবে, 34তখন বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো এবং তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্‌ মাফ করে যে দেশ তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছ সেখানে আবার তাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
35“তোমার বিরুদ্ধে তোমার বান্দাদের গুনাহ্‌ করবার দরুন যখন আকাশ বন্ধ হয়ে বৃষ্টি পড়বে না, তখন তারা যদি এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গৌরব করে ও তোমার কাছে মুনাজাত করে এবং তোমার কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে গুনাহ্‌ থেকে ফেরে, 36তবে তুমি বেহেশত থেকে তা শুনো এবং তোমার গোলামদের, অর্থাৎ তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্‌ মাফ করে দিয়ো। জীবনে ঠিক ভাবে সৎ পথে চলতে তাদের শিক্ষা দিয়ো এবং সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তুমি তাদের দিয়েছ সেই দেশের উপর বৃষ্টি দিয়ো।
37“যদি দেশে দুর্ভিক্ষ কিংবা মহামারী দেখা দেয়, যদি ফসল শুকিয়ে-যাওয়া রোগ কিংবা ছাৎলা-পড়া রোগ হয়, যদি ফসলে ফড়িং বা পংগপাল লাগে, যদি শত্রু তাদের কোন শহর ঘেরাও করে- যে কোন রকম বিপদ কিংবা রোগ দেখা দিক না কেন, 38তখন যদি তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের কেউ অনুতপ্ত হয়ে মনের কষ্টে এই এবাদত-খানার দিকে হাত বাড়িয়ে কোন মুনাজাত বা অনুরোধ করে, 39তবে তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো। তুমি তাকে মাফ কোরো ও সেইমত কাজ কোরো; তার সব কাজ অনুসারে বিচার কোরো, কারণ তুমি তো তার দিলের অবস্থা জান্ত কেবল তুমিই সমস্ত মানুষের দিলের খবর জান। 40তুমি তা কোরো যাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের তুমি যে দেশ দিয়েছ সেখানে সারা জীবন তোমার বান্দারা তোমাকে ভয় করে চলে।
41-42“এছাড়া তোমার বান্দা বনি-ইসরাইল নয় এমন কোন বিদেশী তোমার মহান নাম এবং তোমার শক্তিশালী ও বাড়িয়ে দেওয়া হাতের কথা শুনে তোমার এবাদতের জন্য যখন দূর দেশ থেকে এসে বায়তুল-মোকাদ্দসের দিকে ফিরে মুনাজাত করবে, 43তখন তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো। সে যা চায় তার জন্য তা কোরো যেন দুনিয়ার সমস্ত লোক তোমাকে জানতে পারে এবং তোমার নিজের বান্দা বনি-ইসরাইলদের মত তারাও তোমাকে ভয় করতে পারে আর জানতে পারে যে, আমার তৈরী এই ঘর তোমারই ঘর।
44“তুমি যখন তোমার বান্দাদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠাবে তখন তারা যেখানেই থাকুক না কেন সেখান থেকে যদি তোমার বেছে নেওয়া এই শহরের দিকে ও তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে মুনাজাত করে, 45তবে বেহেশত থেকে তুমি তাদের মুনাজাত ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের পক্ষ নিয়ো।
46“তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করবে- অবশ্য গুনাহ্‌ করে না এমন লোক নেই- আর তুমি তাদের উপর রাগ করে শত্রুর হাতে তাদের তুলে দেবে ও শত্রুরা তাদের বন্দী করে কাছে বা দূরে তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে, 47তখন বন্দী হয়ে থাকা সেই দেশে যদি তারা তওবা করে এবং অনুতপ্ত হয়ে তোমাকে অনুরোধ করে বলে, ‘আমরা গুনাহ্‌ করেছি, অন্যায় করেছি এবং খারাপভাবে চলেছি,’ তবে তুমি তাদের মুনাজাত শুনো। 48ঐ দেশে যদি তারা মনেপ্রাণে তোমার দিকে ফেরে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ তুমি দিয়েছ সেই দেশের দিকে, তোমার বেছে নেওয়া শহরের দিকে, তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে তোমার কাছে মুনাজাত করে, 49তবে তুমি তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের পক্ষ নিয়ো। 50তোমার যে বান্দারা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করেছে সেই বান্দাদের তুমি মাফ কোরো এবং তোমার বিরুদ্ধে করা তাদের সমস্ত দোষও মাফ কোরো। তাদের যারা বন্দী করে নিয়ে গেছে সেই লোকদের মন এমন কোরো যাতে তারা তাদের প্রতি দয়া করে; 51কারণ বনি-ইসরাইলরা তো তোমারই বান্দা, তোমারই সম্পত্তি যাদের তুমি মিসর থেকে বের করে এনেছ, বের করে এনেছ লোহা গলানো চুলার ভিতর থেকে।
52“তোমার গোলামের ও তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের অনুরোধের প্রতি তুমি মনোযোগ দিয়ো, আর যখন তারা তোমাকে ডাকবে তখন তুমি তাদের কথা শুনো। 53হে আল্লাহ্‌ মালিক, আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর থেকে বের করে আনবার সময় তোমার গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে তোমার ঘোষণা অনুসারে তোমার নিজের সম্পত্তি হবার জন্য দুনিয়ার সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তুমি বনি-ইসরাইলদের আলাদা করে নিয়েছ।”
54মাবুদের কাছে এই সব মুনাজাত ও মিনতি শেষ করবার পর সোলায়মান মাবুদের কোরবানগাহের সামনে থেকে উঠলেন; এতক্ষণ তিনি হাঁটু পেতে বেহেশতের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলেন। 55তিনি উঠে দাঁড়িয়ে জমায়েত হওয়া সমস্ত বনি-ইসরাইলদের জোর গলায় এই বলে দোয়া করলেন, 56“সমস্ত প্রশংসা মাবুদের, যিনি তাঁর ওয়াদা অনুসারে তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের বিশ্রাম দিয়েছেন। তাঁর গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে তিনি যে সব মেহেরবানী করবার ওয়াদা করেছিলেন তার একটা কথাও তিনি খেলাপ করেন নি। 57আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের সংগে ছিলেন তেমনি তিনি আমাদের সংগেও থাকুন। তিনি যেন কখনও আমাদের ছেড়ে না যান কিংবা ছেড়ে না দেন। 58আমরা তাঁর সব পথে চলবার জন্য এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে তিনি যে সব হুকুম, নিয়ম ও নির্দেশ দিয়েছিলেন তা মেনে চলবার জন্য তিনি আমাদের দিল তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত রাখুন। 59আমি যে সব কথা বলে মাবুদের কাছে মুনাজাত করেছি তা দিনরাত আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র মনে থাকুক যাতে তিনি তাঁর গোলামের ও তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের প্রতিদিনের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা করেন। 60এতে দুনিয়ার সমস্ত জাতিই জানতে পারবে যে, আল্লাহ্‌ই মাবুদ এবং তিনি ছাড়া মাবুদ আর কেউ নেই। 61আজকে যেমন মাবুদের নিয়ম ও হুকুম মেনে চলবার জন্য তোমাদের অন্তর সম্পূর্ণভাবে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র দিকে আছে তেমনি সব সময় থাকুক।”
বায়তুল-মোকাদ্দসের উদ্বোধন
62তারপর বাদশাহ্‌ ও তাঁর সংগে সমস্ত বনি-ইসরাইল মাবুদের সামনে কোরবানী দিলেন। 63সোলায়মান বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ বিশ হাজার ভেড়া দিয়ে যোগাযোগ-কোরবানী দিলেন। এইভাবে বাদশাহ্‌ ও সমস্ত বনি-ইসরাইল মাবুদের ঘর উদ্বোধন করলেন।
64সেই একই দিনে বাদশাহ্‌ মাবুদের ঘরের সামনের উঠানের মাঝখানের অংশ পবিত্র করলেন। সেখানে তিনি পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী দিলেন এবং যোগাযোগ-কোরবানীর চর্বি কোরবানী দিলেন, কারণ মাবুদের সামনে থাকা কোরবানগাহ্‌টা এই সব কোরবানী দেবার পক্ষে ছোট ছিল।
65এইভাবে সোলায়মান ও তাঁর সংগে সমস্ত বনি-ইসরাইল সেই সময় আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র সামনে সাত দিন ও আরও সাত দিন, মোট চৌদ্দ দিন ধরে একটা উৎসব করলেন। তারা ছিল এক বিরাট জনসংখ্যা; তারা হামা এলাকা থেকে মিসরের শুকনা নদী পর্যন্ত সমস্ত এলাকা থেকে এসে যোগ দিয়েছিল। 66তার পরের দিন বাদশাহ্‌ লোকদের বিদায় দিলেন। মাবুদ তাঁর গোলাম দাউদ ও তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের প্রতি যে সব মেহেরবানী করেছেন তার জন্য আনন্দিত ও খুশী হয়ে লোকেরা বাদশাহ্‌কে শুকরিয়া জানিয়ে বাড়ী চলে গেল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in