১ করিন্থীয় ভূমিকা
ভূমিকা
দক্ষিণ গ্রীসের মধ্যে করিন্থ শহরটা ছিল ব্যবসার একটা প্রধান কেন্দ্র। প্রাচীন কালে এখানকার বাসিন্দাদের নীতিহীন জীবনের কথা সবাই জানত। হযরত পৌলের দ্বিতীয় তবলিগ-যাত্রার সময় তিনি প্রথমবার এই শহরে এসেছিলেন (প্রেরিত ১৮ রুকু)। করিন্থীয় জামাতের কাছে তাঁর প্রথম চিঠিখানা ছিল সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাবার মত। হযরত পৌল যখন এই জামাতের গুরুতর সমস্যার খবর পেয়েছিলেন তখন জামাতের বয়স ছিল প্রায় তিন বছর। হযরত পৌল তাঁর চিঠির মধ্যে ব্যাখ্যা করেছেন কেমন করে একজন ঈমানদার গুনাহে পূর্ণ জীবনের পরিবর্তে আল্লাহ্র প্রতি ভয়পূর্ণ জীবন কাটাতে পারে। বিয়ে, বিবেকের পরিচালনা, জামাতে শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপার, পাক-রূহের দান এবং পুনরুত্থান সম্বন্ধে তাদের যত প্রশ্ন ছিল হযরত পৌল সেগুলোর জবাব দিয়েছেন। ১৩ রুকুতে হযরত পৌল মহব্বত সম্বন্ধে এমন একটা চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন যা এই দুনিয়ার অন্য কোন সাহিত্যের মধ্যে পাওয়া যায় না।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) ভূমিকা (১:১-৯ আয়াত)
(খ) জামাতের মধ্যে দলাদলি (১:১০-৪:২১ আয়াত)
(গ) জামাতের লোকদের মধ্যে জেনা (৫,৬ রুকু)
(ঘ) বিবাহের ব্যাপার (৭ রুকু)
(ঙ) মূর্তিপূজার সংগে ঈমানদারদের সম্বন্ধ (৮:১-১১:১ আয়াত)
(চ) জামাতীয় জীবন ও এবাদত (১১:২-১৪:৪০ আয়াত)
(ছ) যারা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে না তাদের কাছে হযরত পৌলের জবাব (১৫ রুকু)
(জ) হযরত পৌলের চিঠির শেষ কথা (১৬ রুকু)
Currently Selected:
১ করিন্থীয় ভূমিকা: MBCL
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006