YouVersion Logo
Search Icon

যোহনের প্রথম পত্র 3

3
আমরা ঈশ্বরের সন্তান
1ভেবে দেখ, পিতা ঈশ্বর আমাদের কত ভালোই না বেসেছেন যাতে আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলে অভিহিত হই; বাস্তবিক আমরা তাই। জগতের লোক আমাদের চেনে না যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান, কারণ তারা ঈশ্বরকে জানে না। 2প্রিয় বন্ধুরা, এখন তো আমরা ঈশ্বরের সন্তান, আর ভবিষ্যতে আমরা আরো কি হব তা এখনও আমাদের কাছে প্রকাশ করা হয় নি। কিন্তু আমরা জানি যে যখন খ্রীষ্ট পুনরায় আসবেন তখন আমরা তাঁর সমরূপ হব, কারণ তিনি যেমন আছেন, তাঁকে তেমনি দেখতে পাব। 3খ্রীষ্ট শুদ্ধ আর তাঁর ওপরে যে সমস্ত লোক এই আশা রাখে, তারা খ্রীষ্টের মত নিজেদের শুদ্ধ করে।
4যে কেউ পাপ করে, সে বিধি-ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, আর ব্যবস্থা লঙ্ঘন করাই পাপ। 5তোমরা জান, মানুষের পাপ তুলে নেবার জন্যই খ্রীষ্ট প্রকাশিত হলেন; আর খ্রীষ্টের নিজের কোন পাপ নেই। 6যে কেউ খ্রীষ্টে থাকে, সে পাপের জীবন-যাপন করে না। কেউ যদি পাপে জীবন-যাপন করে তবে সে খ্রীষ্টকে কখনও প্রকৃতভাবে উপলদ্ধি করে নি, এমন কি তাঁকে জানেও নি।
7প্রিয় সন্তানরা, সতর্ক থেকো। কেউ যেন তোমাদের বিপথে না নিয়ে যায়। যে কেউ যথার্থ কাজ করে সে নীতিপরায়ণ, ঠিক যেমন খ্রীষ্ট নীতিপরায়ণ। 8দিয়াবল সেই শুরু থেকেই পাপ করে চলেছে। যে ব্যক্তি পাপ করেই চলে সে দিয়াবলের। দিয়াবলের কাজকে ধ্বংস করার জন্যই ঈশ্বরের পুত্র প্রকাশিত হয়েছিলেন।
9যে কেউ ঈশ্বরের সন্তান হয়, সে ক্রমাগত পাপ করতে পারে না, কারণ নরজীবনদায়ী ঈশ্বরের শক্তি সেই ব্যক্তির মধ্যে থাকে। সে ঈশ্বরের সন্তানে পরিণত হয়েছে; তাই সে পাপে জীবন কাটাতে পারে না। 10এভাবেই আমরা দেখতে পারি কারা ঈশ্বরের সন্তান আর কারাই বা দিয়াবলের সন্তান। যারা সত্কর্ম করে না তারা ঈশ্বরের সন্তান নয়, আর যে তার ভাইকে ভালবাসে না সে ঈশ্বরের সন্তান নয়।
পরস্পরকে ভালবাসতে হবে
11তোমরা শুরু থেকে এই বার্তা শুনে আসছ, যে আমাদের পরস্পরকে ভালবাসা উচিত। 12তোমরা কয়িনের#3:12 কয়িন কয়িন আর হেবল আদম ও হবার পুত্র ছিল। কয়িন হেবলকে হিংসা করত এবং তাকে মেরে ফেলেছিল। দ্রষ্টব্য আদি 4:1-16 মতো হয়ো না। কয়িন দিয়াবলের ছিল এবং তার ভাই হেবলকে হত্যা করেছিল। কিসের জন্য সে তার ভাইকে হত্যা করেছিল? কারণ কয়িনের কাজগুলি ছিল মন্দ; কিন্তু তার ভাইয়ের কাজ ছিল ভাল।
13ভাইরা, এই জগত যদি তোমাদের ঘৃণা করে তবে তাতে আশ্চর্য হয়ো না। 14আমরা জানি যে আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছি। আমরা এটা জানি কারণ আমরা আমাদের ভাইদের ও বোনদের ভালবাসি। যে কেউ ভালবাসে না সে মৃত্যুর মধ্যেই থাকে। 15যে কেউ তার ভাইকে ঘৃণা করে সে তো একজন খুনী; আর তোমরা জান কোন খুনী অনন্ত জীবনের অধিকারী হয় না।
16তিনি আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিলেন, এর থেকেই আমরা জানতে পারি প্রকৃত ভালবাসা কি। সেইজন্য আমাদেরও আমাদের ভাই বোনদের জন্য প্রাণ দেওয়া উচিত। 17যার পার্থিব সম্পদ রয়েছে, সে যদি তার কোন ভাইকে অভাবে পড়তে দেখে তাকে সাহায্য না করে, তবে কি করে বলা যেতে পারে যে তার মধ্যে ঐশ্বরিক ভালবাসা আছে? 18স্নেহের সন্তানরা, কেবল মুখে ভালবাসা না দেখিয়ে, এসো, আমরা কাজের মধ্য দিয়ে তাদের সত্যিকারের ভালবাসি।
19-20এর দ্বারা আমরা জানব যে আমরা সত্যের। আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী করে, তবুও ঈশ্বরের সামনে আমাদের বিবেক বিশ্বস্ত থাকবে। কারণ আমাদের বিবেকের থেকে ঈশ্বর মহান, ঈশ্বর তো সবই জানেন।
21প্রিয় বন্ধুরা, যদি আমাদের বিবেকগুলি আমাদের দোষের অনুভূতি না দেয় তবে ঈশ্বরের সামনে আমরা নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারব। 22আর ঈশ্বরের কাছ থেকে যা কিছু চাই না কেন তা আমরা পাব, কারণ আমরা যা তাঁর সন্তোষজনক তাই করছি। 23তাঁর আদেশ হল আমরা যেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের নামে বিশ্বাস করি ও পরস্পরকে ভালবাসি। 24যে ঈশ্বরের আদেশগুলি মান্য করে সে ঈশ্বরে থাকে; আর ঈশ্বর তার অন্তরে থাকেন। ঈশ্বর যে আমাদের অন্তরে আছেন তা আমরা কি করে জানব? যে আত্মাকে ঈশ্বর দিয়েছেন, সেই আত্মাই আমাদের বলছে যে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে আছেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in