YouVersion Logo
Search Icon

সখরিয় ভূমিকা

ভূমিকা
নির্বাসন থেকে ফিরে আসা যিহূদাবাসীদের উদ্দেশে ভাববাদী সখরিয় যে ভাববাণীগুলি বলেছিলেন, তার সূচনা হয় পারস্যের রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে। (520 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে) এই পুস্তকটির মূল অংশ দুটি। প্রথমটিতে রয়েছে, ভাববাণীগুলির দুটি করে পর্ব, প্রাথমিকভাবে যেগুলির আঙ্গিক প্রতীকাত্মক স্বপ্নদর্শনের বিবরণ। দ্বিতীয়টির মূল অংশের অধিকাংশই দেশের নেতৃবৃন্দ সম্বন্ধে কাব্যিক ধাঁচের ভাববাণী।
অনুতাপ করার সাধারণ আহ্বান জানানোর পর মন্দির পুনর্নির্মাণের ব্যাপারে লোকদের অনুপ্রাণিত করতে গিয়ে সখরিয় আটটি দর্শনের একটি বিন্যাস লিপিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ও শেষ দর্শনে চারটি ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের ঘোড়া ও তাদের সওয়ারিদের পৃথিবীতে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দর্শনে দেখানো হয়েছে শত্রুতাপূর্ণ বিদেশিরা আর কখনও দেশের পক্ষে হুমকিস্বরূপ হবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম দর্শনের বিষয়বস্তু লোকদের পাপমোচন। দুটি কেন্দ্রীয় মূল দর্শনে বলা হয়েছে ঈশ্বর মহাযাজক যিহোশূয় ও যিহূদার কর্মকর্তা সরুব্বাবিলকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। সব মিলিয়ে মূল বাণী হল, মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা ঈশ্বর যথাস্থানে প্রস্তুত করে রেখেছেন।
দ্বিতীয় পর্বের ভাববাণীর ছয়টি অংশ। নির্বাসনের দুর্বিপাক এবং মন্দির ধ্বংসের পর থেকে লোকেরা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে উপবাস করে আসছিল। তাই এখানে লোকদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ন্যায়বিচার রক্ষা করে চলে, কারণ সেটাই প্রকৃত উপবাস এবং মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজে মন দেয়। এরপর সখরিয় ঘোষণা করেছেন, তাদের সব উপবাস এক সানন্দ উদ্‌যাপন হয়ে উঠবে।
পুস্তকটির চূড়ান্ত পর্বে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছে, ঈশ্বর দাউদের বংশে এক ধার্মিক রাজাকে পাঠাবেন। সেদিন সদাপ্রভু সব শত্রুর উপরে বিজয়ী হবেন এবং সমগ্র পৃথিবীর রাজা হবেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in