YouVersion Logo
Search Icon

ইফিষীয় ভূমিকা

ভূমিকা
পৌল তাঁর দ্বিতীয় সুসমাচার প্রচার-অভিযানের সময় ইফিষ নগর পরিদর্শন করেন এবং সেই স্থানে আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লাকে রেখে যান (প্রেরিত 18:19-21)। দু-বছর পরে তিনি ইফিষে ফিরে এসে তিন বছর পরিচর্যা করেন এবং সমস্ত এশিয়া প্রদেশে (অধুনা তুরস্ক অঞ্চলে) সুসমাচার প্রচার করেন (প্রেরিত 19)। কয়েক বছর পরে তিনি যখন রোমে কারাবন্দি ছিলেন, সেখান থেকে ইফিষের বিশ্বাসীদের উদ্দেশে এই পত্রখানি লেখেন।
পৌল ব্যক্ত করেছেন, ঈশ্বর তাঁর মণ্ডলীর মাধ্যমে এই পৃথিবীতে সক্রিয় আছেন এবং সব বিষয় তিনি খ্রীষ্টে সংগ্রথিত করছেন। প্রথম তিন অধ্যায়ে পৌল বর্ণনা করেছেন, তাঁর এই কাজ পরিত্রাণ সাধনের (1), পুনরুজ্জীবন দানের (2:1-10) এবং পুনর্মিলনের (2:11–3:21)। 4–6 অধ্যায়ে, ঈশ্বরের মহৎ অভিপ্রায়ের আধারে পৌল বিশ্বাসীদের দায়িত্ব সম্বন্ধে বিবৃতি দান করেছেন। এই পত্রে “চলা,” বা “চলো” শব্দটির গুরুত্ব লক্ষণীয়।
ইফিষ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ নগর। প্রাচীন বিশ্বের সাতটি বিস্ময়ের অন্যতম ডায়ানার মন্দিরের ধারক হিসেবে তারা গর্ববোধ করত। ইফিষ প্রতিমাপূজায় আসক্ত ছিল, তাই পৌল শয়তানের সমস্ত শক্তির উপর বিজয়লাভের জন্য বিশদ প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন।
খ্রীষ্টীয় জীবনে ঈশতাত্ত্বিক শিক্ষার গুরুত্ব (1–3) ও কর্তব্যপরায়ণতার (4–6), ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব ও মানবসমাজের দায়িত্বের মধ্যে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ভারসাম্য তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের অনুগ্রহ প্রদান করবেন বলে আমরা ঈশ-আদেশ পালন করি না, অনুগ্রহ ইতিমধ্যে প্রদত্ত হয়েছে বলেই, তার প্রত্যুত্তরে আমরা তাঁর আজ্ঞাবহ হই।
রচয়িতা: পৌল
রচনার স্থান: রোম
রচনাকাল: আনুমানিক 64 খ্রীষ্টাব্দ
মূল বিষয়বস্তু: খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যরূপ

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in