YouVersion Logo
Search Icon

1 যোহন ভূমিকা

ভূমিকা
প্রেরিতশিষ্য যোহন বৃদ্ধ বয়সে এই পত্রখানি রচনা করেন। তাই পত্রটিতে তিনি নয় বার বিশ্বাসীদের “প্রিয় বৎসেরা” বা “প্রিয় সন্তানেরা” বলে উল্লেখ করেছেন। এর উদ্দেশ্য, তারা যে পরিত্রাণ লাভ করেছিল, সেই বিষয়ে তারা যেন নিঃসন্দেহ হয় (5:13)। পরিত্রাণের নিশ্চয়তা থাকলে পিতা ঈশ্বর ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে সহভাগিতা স্থাপন করা যায়, প্রকৃত আনন্দ অনুভূত হয় এবং পাপের উপর বিজয়লাভ করা সম্ভব হয়। ভণ্ড শিক্ষকদের থেকে সাবধান থাকার জন্য যোহন পরামর্শ দিয়েছেন। পিতর ও যোহন, উভয় প্রেরিতশিষ্য মণ্ডলীতে নির্ভেজাল শিক্ষাদান সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং সতর্ক থাকতে বলেছেন, যেন কোনোভাবেই মণ্ডলীতে ভ্রান্তশিক্ষার অনুপ্রবেশ না ঘটে। বর্তমান সময়ে আমাদের সেইরকমই করা প্রয়োজন।
কিছু বলা বা করার চেয়ে পত্রটিতে সহভাগিতার উপরে বেশি গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে (1–2)। শেষ তিনটি অধ্যায়ে (3–5) যোহন পুত্র হওয়ার উপরে গুরুত্ব দিয়েছেন। “ঈশ্বর থেকে জাত” শব্দগুচ্ছ বেশ কয়েকবার এই পত্রে উল্লিখিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ঈশ্বরের সন্তানদের তিনটি গুণ অবশ্যই থাকবে: ঐশ-ইচ্ছা পালন করা (3), ভাইবোনেদের ভালোবাসা (4) এবং প্রকৃত সত্যকে বিশ্বাস করা (5)।
“ঈশ্বর জ্যোতি,” তাই তাঁর সন্তানেরাও জ্যোতিতে বিচরণ করবে। “ঈশ্বর প্রেম,” তাই তাঁর সন্তানেরাও ভালোবাসা উদ্বেল হবে। “ঈশ্বরের আত্মা সত্যময়,” তাই তাঁর সন্তানেরাও সত্য বিশ্বাস করে তা পালন করবে।
রচয়িতা: প্রেরিতশিষ্য যোহন (নামটির অর্থ, “সদাপ্রভু করুণাময়”)
রচনার স্থান: ইফিষ নগর।
রচনাকাল: আনুমানিক 97 খ্রীষ্টাব্দ।
মূল বিষয়বস্তু: খ্রীষ্টিয়ানেরা ঈশ্বরের সন্তান।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in