YouVersion Logo
Search Icon

বিচারপতি ও জননায়কদের বিবরণ 5

5
দেবোরা ও বারাকের বিজয়গাথা
1সেই দিন দেবোরা ও অবিনোয়ামের পুত্র বারাক এই গাথাটি গেয়েছিলেনঃ
2ইসরায়েলী নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছেন
জনগণ স্বেচ্ছায় উৎসর্গ করেছে নিজেদের,
প্রভুর জয়গান কর।
3শোন হে রাজন্যবর্গ, মন দিয়ে শোন
পরমেশ্বরের উদ্দেশে আমি গাইব গান
ইসরায়েলের আরাধ্য ঈশ্বরের উদ্দেশে
আমি করব সঙ্গীতাঞ্জলি নিবেদন।
4সেয়ীর থেকে যেদিন তুমি নেমে এলে হে প্রভু
ইদোমের দেশ থেকে করলে অভিযান,
পৃথিবী সেদিন হল কম্পমান,
আকাশ হল বর্ষণমুখর
মেঘপুঞ্জ করল বারি বর্ষণ।
5তুমিই ইসরায়েলের সেই আরাধ্য ঈশ্বর
যাঁর উপস্থিতিতে সিনাই হয়েছিল শিহরিত,
তোমারই সাক্ষাতে গিরিরাজী হল কম্পিত।#যাত্রা 19:18
6অনাতের পুত্র শামগরের আমলে,
যায়েলের সময়ে বন্ধ ছিল
কাফেলার আসা যাওয়া।
পথিক চলত গলিপথে।
7ইসরায়েলে যেদিন কোন নেতা ছিল না,
ছিল না কোন জননায়ক সেদিন,
হে দেবোরা ইসরায়েলের জননী হয়ে
তুমি#5:7 পাঠান্তরে: আমি হলাম আবির্ভূতা হলে আবির্ভূতা।
8যেদিন তারা বেছে নিয়েছিল
নতুন আরাধ্য দেবতা,
সেদিন তাদের নগর হয়েছিল আক্রান্ত।
অস্ত্র ধরে শত্রুকে করে প্রতিহত,
ছিল না এমন কেউ!
চল্লিশ হাজার ইসরায়েলীর মাঝে।
9আমার সমস্ত সহানুভূতি
ইসরায়েলী সেনানায়কদেরই পক্ষে,
জনতার মধ্যে থেকে স্বেচ্ছায় যারা
এগিয়ে এসেছিল তাদের পক্ষে।
প্রভুর জয়গান কর তোমরা।
10তোমরা যারা শ্বেত গর্দভের পিঠে
নরম আসনে আরোহণ কর,
তোমরা যারা পথচারী,
সকলে ঘোষণা#5:10 অথবা ভেবে দেখ কর একথা।
11ঐ শোন, ইঁদারার কাছে উঠছে সঙ্গীতধ্বনি,
লোকে সেখানে গাইছে প্রভুর জয়গান,
গাইছে ইসরায়েল জননায়কের বিজয় মহিমা।
প্রভুর প্রজাবৃন্দ সমবেত হয়েছে নগর তোরণে।
12চল, দেবোরা, এগিয়ে চল,
মুখরিত হও জয়গানে! এগিয়ে চল!
অবিনোয়ামের পুত্র বারাক! ওঠ,
ধরে নিয়ে যাও তোমার বন্দীদের!
13এগিয়ে এল বিশ্বস্ত সেনাপতিরা,
প্রভুর সেই প্রজাবৃন্দ,
দুর্ধর্ষ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে
আমার#5:13 অথবা তাঁর পতাকাতলে।
14ইফ্রয়িমের সৈন্যদল সমবেত হল উপত্যকায়#5:14 অথবা অমালেক অঞ্চলে
বিন্যামীন গোষ্ঠী করল তাদের অনুসরণ।
মাখির গোষ্ঠী থেকে এলেন সেনানায়কেরা,
সবুলুন গোষ্ঠী থেকে এল পতাকাবাহীরা।
15ইষাখর গোষ্ঠীর নেতারা যোগ দিল
দেবোরা ও বারাকের সঙ্গে
তাঁদের অনুসরণ করে ছুটে এল উপত্যকায়।
কিন্তু রূবেণ কুলে দেখা দিল মতভেদ।
তারা মনস্থির করতে পারল না —
তারা আসবে কিনা!
16তারা মেষপালের সাথে পিছনে
রয়ে গেল কেন?
রাখালের বাঁশী শুনবে বলে?
না। রূবেণ গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে গেল।
তারা ঠিক করতে পারল না —
যুদ্ধে যোগ দেবে কিনা!
17গাদ থেকে গেল জর্ডনের ওপারে,
আর দান গোষ্ঠী? তারাও রয়ে গেল
জাহাজের আড়ালে,
আশের বংশ সাগর উপকূলে
অনড় হয়ে রইল,
খাঁড়িতে করল আত্মাগোপন।
18কন্তু সবুলুন ও নপ্তালী গোষ্ঠীর লোকেরা
রণক্ষেত্রে প্রাণ তুচ্ছ করে
সংগ্রাম করল রণক্ষেত্রে।
19প্রতিপক্ষের রাজন্যবর্গ এলেন যুদ্ধ করতে,
যোগ দিলেন কনানী নৃপতিরাও তাঁদের সাথে।
তানাকে — মেগিদ্দোর নদীতীরে
চলল ঘোরতর সংগ্রাম।
এ যুদ্ধে তাঁরা লুঠ করলেন না কোন ধন সম্পদ।
20স্বর্গমর্ত্যে চলল যুদ্ধের আলোড়ন,
নক্ষত্ররাজিও করলো যুদ্ধ ঘোষণা
সিসেরার বিরুদ্ধে।
21কীশোনের স্রোতে ভেসে গেল শত্রুদল,
খরস্রোতা পুণ্যতোয়া কীশোন!
আমি এগিয়ে যাব বীরদর্পে।
22তীব্রবেগে অশ্বারোহী বাহিনী
হল ধাবমান, অশ্বক্ষুরে ধ্বনিত হল
প্রচণ্ড আওয়াজ।
23প্রভুর দূত বলেন,
‘মেরোজকে শাপ দাও,
শাপ দাও সেখানের অধিবাসীদের,
তারা এগিয়ে আসেনি
প্রভুর সহায়তা করতে,
শত্রুসেনার বিরুদ্ধে করেনি
প্রভুকে সাহায্য।’
24নারী সমাজে ধন্য যায়েল,
কেনী হেবরের পত্নী,
তাম্বু বাসিনী নারীকুলে তিনিই পরম ধন্যা।
25সিসেরা জল চেয়েছিল,
তিনি তাকে দিলেন দুধ।
অভিজাত সমাজে ব্যবহৃত পাত্রে
তিনি এনে দিয়েছিলেন ক্ষীর।
26তিনি এক হাতে নিলেন তাঁবুর খোঁটা,
আর এক হাতে নিলেন হাতুড়ি,
আঘাত করলেন সিসেরাকে।
ভেঙ্গে গেল তার মাথার খুলি,
রগে আঘাত করে তার মাথা
এফোঁড় ওফোঁড় করে দিলেন।
27সে এলিয়ে পড়ল, তাঁর পায়ের তলায়।,
নিথর হয়ে গেল তার দেহ
যেখানে সে এলিয়ে পড়েছিল,
সেখানেই রচিত হল তাঁর শেষ শয্যা।
সেখানেই মরে পড়ে রইল সে।
28সিসেরা-জননী পথ চেয়ে বসেছিলেন বাতায়নে,
চিৎকার করে উঠলেন তিনি,
তার রথ ফিরতে দেরী করছে কেন?
তার অশ্বের গতি কেন এত ধীর?
29তাঁর বুদ্ধিমতী সহচরীরা
তাঁকে বুঝাতে লাগল
তিনি নিজেও মনকে প্রবোধ দিয়ে
বললেন,
30ওরা হয়তো লুঠপাট করছে,
ভাগ করছে লুণ্ঠিত সম্পদ
সকলেই পেল বুঝি এক বা একাধিক রমণীরত্ন।
সিসেরার ভাগে হয়তো পড়েছে
রঙীন বস্ত্রসম্ভার,
রঙীন সূচীশিল্পশোভিত বস্ত্রখণ্ড,
মনোহর কণ্ঠভূষণ!
31এভাবেই বিধ্বস্ত হোক
তোমার বৈরীদল, হে পরমেশ্বর!
কিন্তু তোমার ভক্তবৃন্দ ভাস্বর হয়ে উঠুক
উদীয়মান সূর্যের মত।”
এর পরে চল্লিশ বছর দেশে শান্তি স্থায়ী হয়েছিল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in