YouVersion Logo
Search Icon

আদিপুস্তক 9

9
1ঈশ্বর নোহ এবং তাঁর পুত্রদের আশীর্বাদ করে বললেন, তোমরা প্রজাবন্ত হও এবং বৃদ্ধিলাভ করে পৃথিবী পরিপূর্ণ কর।#আদি 1:28 2পৃথিবীর সকল পশু, আকাশের সকল পাখী, ভূচর যাবতীয় সরীসৃপ ও সমুদ্রের মৎস্যকুল তেমাদের ভয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত হবে। তোমাদের হাতেই তাদের সকলকে সমর্পণ করা হয়েছে। 3সঞ্চরণশীল সমস্ত প্রাণীই হবে তোমাদের ভক্ষ্য। হরিৎ উদ্ভিদ্‌রাজির মত সেগুলিও আমি তোমাদের দিলাম। 4কেবল তোমরা কাঁচা মাংস অর্থাৎ রক্তসমেত মাংস ভক্ষণ করো না।#আদি 17:10-14; লেবীয় 19:26; দ্বি.বি. 12:16-23; 15:23; আদি 1:26; যাত্রা 20:13 5কারণ রক্তই জীবন। তোমাদের রক্তপাত ও জীবনহানির প্রতিশোধ আমি অবশ্যই নেব। কোন পশু যদি মানুষের রক্তপাত ঘটায়, আমি তার প্রতিশোধ নেব এবং মানুষের ক্ষেত্রে কেউ যদি অন্যের জীবনহানি করে তবে আমি তারও প্রতিশোধ নেব। 6মানুষের রক্তপাত যে করবে তারও রক্তপাত হবে মানুষের হাতে কারণ ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হয়েছে মানুষ। 7তোমরা প্রজাবন্ত হও, বৃদ্ধিলাভ কর, প্রচুর সন্তান লাভ করে পৃথিবীতে আধিপত্য কর।#আদি 1:28
8-9ঈশ্বর নোহ ও তাঁর পুত্রদের আরও বললেন, দেখ, তোমাদের ও তোমাদের ভাবী বংশধরদের সঙ্গে এবং যাবতীয় 10প্রাণী, পাখি, গৃহপালিত ও বন্যপশু — পৃথিবীর যত প্রাণী তোমাদের সঙ্গে জাহাজ থেকে বেরিয়ে এসেছে, তাদের সঙ্গে আমি এক সন্ধি চুক্তি স্থাপন করব। 11তার শর্ত হবে এই যে, আর কখনো জলপ্লাবনে সমস্ত প্রাণী বিনষ্ট হবে না এবং আর কখনো পৃথিবীবিধ্বংসী প্লাবন হবে না। 12ঈশ্বর আরও বললেন, তোমাদের ও তোমাদের সঙ্গে যত প্রাণী আছে তাদের সঙ্গে পুরুষানুক্রমে স্থায়ী যে সন্ধি চুক্তি আমি স্থাপন করলাম, তার নিদর্শন হবে এইঃ 13আকাশের গায়ে আমি আমার ধনু স্থাপন করব, আর তা-ই হব পৃথিবীর সঙ্গে স্থাপিত আমার সন্ধি চুক্তির প্রতীক। 14যখন আমি পৃথিবীর উপরে মেঘসঞ্চার করব তখন মেঘের গায়ে সেই ধনু দেখা যাবে। 15আর তখনই আমি তোমাদের এবং সকল জাতের জীবজন্তুর সঙ্গে স্থাপিত সন্ধিচুক্তির কথা স্মরণ করব এবং সর্বজীব বিধ্বংসী প্লাবন আর হবে না। 16মেঘের গায়ে সেই ধনু দেখা দিলে আমি তার দিকে দৃষ্টিপাত করব আর পৃথিবীতে সকল জাতের প্রাণীর সঙ্গে ঈশ্বরের চিরস্থায়ী যে সন্ধিচুক্তি স্থাপিত হয়েছে, তার কথা স্মরণ করব। 17ঈশ্বর নোহকে বললেন, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে স্থাপিত আমার সন্ধি চুক্তির এইটিই হবে নিদর্শন।
নোহের তিন পুত্রের কাহিনী
18জাহাজ থেকে নোহের যে পুত্রেরা বেরিয়ে এসেছিল তাদের নাম শেম, হাম ও যাফত। হাম ছিল কনানের পিতা। 19নোহের এই তিনটিই পুত্র ছিল, এঁদের বংশধরদের দ্বারাই পৃথিবী প্রজাবন্ত হয়েছিল।
20নোহ ছিলেন কৃষিজীবী। তিনিই সর্বপ্রথম দ্রাক্ষা উদ্যান রচনা করেছিলেন। 21একদিন তিনি দ্রাক্ষারস পান করে মত্ত হয়ে নগ্ন অবস্থায় তাঁবুর মধ্যে পড়েছিলেন। 22কনানের পিতা হাম তাঁর পিতাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে বাইরে গিয়ে তার দুই ভাইকে সে কথা জানাল। 23শেম ও যাফত তখন নিজেদের কাধে বস্ত্র নিয়ে পিছনে হেঁটে পিতার কাছে গিয়ে তাঁর দেহ ঢেকে দিল। বিপরীত দিকে মুখ করে থাকায় তারা পিতার বিবস্ত্র অবস্থা দেখল না। 24সুরার নেশা কেটে যাওয়ার পর নোহ তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের আচরণের কথা জানতে পারলেন। 25তখন তিনি বললেন,
‘অভিশপ্ত হোক কনান,
সে হবে তার ভ্রাতাদের দাসানুদাস।’
26তিনি আরও বললেন,
ধন্য প্রভু, শেম-এর আরাধ্য ঈশ্বর,
কনান হোক তার দাস।
27যাফতকে#9:27 যাফতঃ হিব্রু = বর্ধিষ্ণু শব্দের মত। ঈশ্বর করুন বর্ধিষ্ণু
শেম-এর শিবিরে সে করুক বসতি
আর কনান হোক তার দাস।’
28প্লাবনের পরে নোহ তিনশো পঞ্চাশ বছর জীবিত ছিলেন। 29মৃত্যুকালে নোহের বয়স হয়েছিল নয়শো পঞ্চাশ বছর।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in