YouVersion Logo
Search Icon

২ রাজাবলি 8

8
শূনেমী মহিলা সম্পত্তি ফিরে পেলেন
1নবী ইলিশায় শূনেমের যে মহিলার পুত্রকে পুনর্জীবিত করেছিলেন, তাঁকে তিনি বলেছিলেন, পরমেশ্বর দুর্ভিক্ষ পাঠাচ্ছেন। সাত বছর দুর্ভিক্ষ চলবে। কাজেই তুমি পরিবারের সকলকে নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাক।#২ রাজা 4:8-37 2নবী ইলিশায়ের কথামত সেই মহিলা সপরিবারে বিদেশে, ফিলিস্তিয়ায় চলে গেলেন। সাত বৎসর সেখানে থাকলেন।
3সাত বছর কেটে গেলে তিনি ফিলিস্তিয়া থেকে ইসরায়েল দেশে ফিরে এলেন এবং রাজার কাছে তাঁর ঘরবাড়ি ও জমিজমা ফেরৎ পাবার জন্য আবেদন জানাতে গেলেন। 4রাজার কাছে গিয়ে দেখলেন, ইলিশায়ের ভৃত্য গেহসির সঙ্গে রাজা কথা বলছেন। রাজা তাকে বলছেন, নবীর অলৌকিক কীর্তি কাহিনীর কথা আমাকে বল। 5ইলিশায় কি ভাবে মৃতকে পুনর্জীবন দান করেছিলেন, সেই কথা যখন গেহসি বলছিল, ঠিক সেই সময় এই মহিলা তাঁর ঘর-বাড়ি ও জমিজমা ফিরে পাওয়ার আবেদন নিয়ে উপস্থিত হলেন। গেহসি রাজাকে বরললেন, এই সেই মহিলা, যাঁর ছেলেকে ইলিশায় বাঁচিয়েছিলেন। 6রাজা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সেই ঘটনার কথা বললেন। রাজা তখন একজন কর্মচারীকে ডেকে বললেন, এঁর সমস্ত সম্পত্তি ফিরিয়ে দাও এবং যেদিন ইনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন সেই দিন থেকে এ পর্যন্ত তাঁর জমি থেকে যা কিছু পাওনা হয়েছে—সব তাঁকে কড়ায়-গণ্ডায় ফিরিয়ে দাও।
ইলিশায় ও সিরিয়ার রাজা বেনহদদ
7সিরিয়ার রাজা বেনহদদ একবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় ইলিশায় গিয়েছিলেন দামাসকাসে। ইলিশায়ের আগমন সংবাদ পেয়ে 8বেনহদদ হসায়েল নামে তাঁর এক কর্মচারীকে বললেন, তুমি কিছু উপহার নিয়ে নবীর কাছে যাও এবং আমি সুস্থ হব কিনা এ সম্বন্ধে পরমেশ্বরের কাছে জানার জন্য তাঁকে অনুরােধ কর। 9হসায়েল তখন দামাসকাসের সমস্ত সেরা জিনিস চল্লিশটা উটের পিঠে বােঝাই করে নবী ইলিশায়ের কাছে গেলেন। তাঁর সাথে দেখা করে হসায়েল বললেন, আপনার সেবক রাজা বেনহদদ আপনার কাছে আমাকে জানতে পাঠিয়েছেন যে তিনি সুস্থ হবেন কিনা?
10ইলিশায় বললেন, তাঁকে গিয়ে বল, আপনি নিশ্চয়ই সুস্থ হবেন! তবে প্রভু পরমেশ্বর আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি মরবেন। 11এই বলে ইলিশায় এক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে রইলেন। তাঁর এই মর্মভেদী দৃষ্টিতে হসায়েল অস্বস্তি বোধ করতে লাগলেন। নবী ইলিশায় তখন কাঁদতে লাগলেন। 12হসায়েল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, প্রভু আপনি কাঁদছেন কেন? ইলিশায় বললেন, আমি কাঁদছি, আমি জানি তুমি ইসরায়েলীদের কী ভয়ঙ্কর অনিষ্ট করবে। তাদের দুর্গগুলি পুড়িয়ে দেবে, যুবকদের হত্যা করবে, শিশুদের আছড়ে মেরে ফেলবে, গর্ভবতী নারীদের উদর চিরে ফেলবে।
13হসায়েল বললেন, আমি একটা তুচ্ছ নগণ্য মানুষ মাত্র। এমন সাঙ্ঘাতিক কাজ করার ক্ষমতা আমার কি করে হবে? ইলিশায় বললেন, প্রভু পরমেশ্বর আমাকে দেখিয়েছেন যে তুমি সিরিয়ার রাজা হবে।#১ রাজা 19:15
14হসায়েল তখন বেনহদদের কাছে ফিরে গেলেন। রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেলন, ইলিশায় তোমাকে কি বললেন? হসায়েল বললেন, তিনি বলেছেন, আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন। 15কিন্তু পরের দিনই হসায়েল একটা কম্বল জলে ভিজিয়ে রাজার মুখে চাপা দিয়ে তাঁকে মেরে ফেললেন। তারপর হসায়েল সিরিয়ার রাজা হলেন।
যিহুদীয়ার রাজা যিহোরাম
(২ বংশা 21:1-20)
16রাজা আহাবের পুত্র ইসরায়েলরাজ যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যিহোশাফটের পুত্র যিহোরাম যিহুদীয়ার রাজা হন। 17তখন তাঁর বয়স ছিল বত্রিশ বছর। জেরুশালেমে তিনি আট বছর রাজত্ব করেন। 18তিনি আহাবের কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন বলে আহাব কুলের ইসরায়েলী রাজাদের মত তিনিও মন্দ পথে চলতেন এবং প্রভু পরমেশ্বর যা ঘৃণা করেন, সেইসব কাজ তিনি করতেন। 19কিন্তু পরমেশ্বর যিহুদীয়াকে ধ্বংস করতে চাননি, কারণ তিনি তাঁর দাস দাউদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তাঁর কুলে বাতি দেবার লোকের অভাব কোনদিন হবে না।#১ রাজা 11:36
20যিহোরামের রাজত্বকালে ইদোম যিহুদীয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করল।#আদি 27:40 21তখন যিহোরাম তাঁর সমস্ত রথীবাহিনী নিয়ে সায়ীরের বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন। সেখানে ইদোমী সৈন্যরা তাঁকে ঘিরে ফেলল। রাত্রিবেলায় তিনি তাঁর রথী সেনাপতিদের নিয়ে ইদোমী সৈন্যদের বেষ্টনী ভেদ করে পালিয়ে গেলেন এবং তাঁর সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যে যার বাড়ি পালিয়ে গেল। 22সেই থেকে ইদোম যিহুদীয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে চলেছে, নতি স্বীকার করেনি। লিব্‌নাও এই সময় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।
23যিহোরামের সমস্ত কাজের বিবরণ যিহুদীয়ার রাজাদের ইতিহাস গ্রন্থে লেখা আছে। 24যিহোরামের মৃত্যুর পর তাঁকে দাউদ নগরে রাজপরিবারের সমাধিতে সমাহিত করা হয়। তারপর তাঁর সিংহাসনে বসলেন তাঁর পুত্র অহসিয়।
যিহুদীয়ার রাজা অহসিয়
25রাজা আহাবের পুত্র ইসরায়েলরাজ যোরামের রাজত্বের দ্বাদশ বছরে যিহোরামের পুত্র অহসিয় যিহুদীয়ার রাজা হন। 26তখন তাঁর বয়স ছিল বাইশ বছর। তিনি মাত্র একবছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর জননী অথলিয় ছিলেন ইসরায়েলের রাজা অম্রির পৌত্রী। 27আহাব কুলের জামাতা হওয়ার দরুণ অহসিয়ও পরমেশ্বরের দৃষ্টিতে যা কিছু ঘৃণিত ছিল আহাব কুলের অনুসরণে তা-ই তিনি করতেন।
28রাজা অহসিয় সিরিয়ার রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজা যোরামের সঙ্গে যোগ দিলেন। রামোৎ-গিলিয়দে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হল। 29যোরাম যুদ্ধে আহত হয়ে শুশ্রূষার জন্য যিষ্‌রিয়েল নগরে গেলেন। অহসিয় তাঁকে দেখতে সেখানে গেলেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in