YouVersion Logo
Search Icon

গীতসংহিতা । 119

119
আলেফ।
1ধন্য তাহারা, যাহারা আচরণে সিদ্ধ,
যাহারা সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-পথে চলে।
2ধন্য তাহারা, যাহারা তাঁহার সাক্ষ্যকলাপ পালন করে;
যাহারা সর্ব্বান্তঃকরণে তাঁহার অন্বেষণ করে।
3আবার তাহারা অন্যায় করে না,
তাহারা তাঁহার সকল পথে গমন করে।
4তুমি আপন নিদেশমালা আদেশ করিয়াছ,
যেন আমরা যত্নপূর্ব্বক তাহা পালন করি।
5আহা! আমার পথ সকল সুস্থির হউক,
যেন আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করি।
6তখন আমি লজ্জিত হইব না,
যখন তোমার আজ্ঞা সকলের প্রতি দৃষ্টি রাখি।
7যখন তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপ শিক্ষা করি,
তখন আমি সরল চিত্তে তোমার স্তব করিব।
8আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব;
আমাকে একেবারে পরিত্যাগ করিও না।
বৈৎ।
9যুবক কেমন করিয়া নিজ পথ বিশুদ্ধ করিবে?
তোমার বাক্যানুসারে সাবধান হইয়াই করিবে।
10আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি,
আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।
11তোমার বচন আমি হৃদয়মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি,
যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।
12ধন্য তুমি, হে সদাপ্রভু,
আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।
13আমি ওষ্ঠাধরে বর্ণনা করিয়াছি
তোমার মুখের সমস্ত শাসন।
14আমি তোমার সাক্ষ্য-পথে আমোদ করিয়াছি,
যেমন ধনসমূহে লোকে আমোদ করে।
15আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিব,
তোমার সকল পথের প্রতি দৃষ্টি রাখিব।
16আমি তোমার বিধিকলাপে হর্ষিত হইব,
তোমার বাক্য ভুলিয়া যাইব না।
গিমল।
17তোমার দাসের মঙ্গল কর, যেন আমি বাঁচি,
তাহা হইলে আমি তোমার বাক্য পালন করিব।
18আমার নয়ন খুলিয়া দেও, যেন আমি দর্শন করি,
তোমার ব্যবস্থায় আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য বিষয় দেখি।
19আমি পৃথিবীতে প্রবাসী,
আমা হইতে তোমার আজ্ঞা সকল লুকাইও না।
20আমার প্রাণ আকাঙ্ক্ষায় ক্ষুণ্ণ হয়
তোমার শাসনকলাপের জন্য, সর্ব্ব সময়ে।
21তুমি সেই শাপগ্রস্ত অহঙ্কারীদিগকে ভর্ৎসনা করিয়াছ,
যাহারা তোমার আজ্ঞা পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়ায়।
22আমা হইতে দুর্নাম ও অপমান দূর কর,
কেননা আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি।
23জনাধ্যক্ষেরাও বসিয়া আমার বিপক্ষে কথা কহিয়াছেন;
তোমার এই দাস তোমার বিধি ধ্যান করে।
24তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমার হর্ষজনক,
সেগুলি আমার মন্ত্রণাদায়ক সুহৃৎ।
দালৎ।
25আমার প্রাণ ধূলিতে সংলগ্ন,
তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
26আমি আপন পথসমূহের কথা বলিলাম, আর তুমি আমাকে উত্তর দিয়াছ,
তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
27তোমার নিদেশ-পথ আমাকে বুঝাইয়া দেও,
আমি তোমার আশ্চর্য্য কর্ম্ম সকল ধ্যান করিব।
28আমার প্রাণ দুঃখে গলিয়া পড়িতেছে,
তোমার বাক্যানুসারে আমাকে উঠাও।
29আমা হইতে মিথ্যার পথ দূর কর,
কৃপা করিয়া তোমার ব্যবস্থা আমাকে দেও।
30আমি বিশ্বস্ততার পথ মনোনীত করিয়াছি,
আমি তোমার শাসনকলাপ সম্মুখে রাখিয়াছি।
31আমি তোমার সাক্ষ্যসমূহে আসক্ত;
সদাপ্রভু, আমাকে লজ্জিত করিও না।
32আমি তোমার আজ্ঞা-পথে দৌড়িব,
কেননা তুমি আমার হৃদয় প্রশস্ত করিতেছ।
হে।
33সদাপ্রভু, তোমার বিধি-পথ আমাকে দেখাও,
আর আমি শেষ পর্য্যন্ত তাহা পালন করিব।
34আমাকে বিবেচনা দেও, আমি তোমার ব্যবস্থা মানিব,
সর্ব্বান্তঃকরণে তাহা পালন করিব।
35তোমার আজ্ঞা-পথে আমাকে গমন করাও,
কারণ তাহাতেই আমার প্রীতি।
36তোমার সাক্ষ্যকলাপের প্রতি আমার হৃদয় ফিরাও,
লোভের প্রতি ফিরাইও না।
37অলীকতা দর্শন হইতে আমার চক্ষু ফিরাও,
তোমার পথে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
38তোমার দাসের পক্ষে সফল কর তোমার বচন,
যাহা তোমার প্রতি ভয় সম্বন্ধীয়।
39দূর কর আমার দুর্নাম, যাহার বিষয় আমি ভয় করি,
কেননা তোমার শাসনকলাপ উত্তম।
40দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকলের আকাঙ্ক্ষা করিয়া আসিতেছি,
তোমার ধর্ম্মশীলতায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।
বৌ।
41আমার প্রতি তোমার দয়া বর্ত্তুক, হে সদাপ্রভু,
তোমার বচনানুসারে তোমার পরিত্রাণ বর্ত্তুক।
42তবে আমি আমার দুর্নামকারীকে উত্তর দিতে পারিব,
কেননা আমি তোমার বাক্যে নির্ভর করিতেছ।
43আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না,
কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।
44আমি সতত তোমার ব্যবস্থা পালন করিব,
যুগে যুগে চিরকাল করিব।
45আর আমি প্রশস্ত স্থানে গতায়াত করিব, কেননা আমি তোমার নিদেশ সকলের অন্বেষণ করিয়াছি।
46আমি রাজগণের সাক্ষাতেও তোমার সাক্ষ্যকলাপের কথা বলিব,
আর আমি লজ্জিত হইব না।
47আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব,
সে সকল আমি ভালবাসি।
48আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব,
সে সকল আমি ভালবাসি,
আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।
49তোমার দাসের পক্ষে সেই বাক্য স্মরণ কর,
যদ্দ্বারা তুমি আমাকে প্রত্যাশাযুক্ত করিয়াছ।
50দুঃখের সময়ে ইহাই আমার সান্ত্বনা,
তোমার বচন আমাকে সঞ্জীবিত করিয়াছে।
51অহঙ্কারিগণ আমাকে অতিশয় বিদ্রূপ করিয়াছে,
তোমার ব্যবস্থা হইতে আমি বিমুখ হই নাই।
52সদাপ্রভু, আমি তোমার পূর্ব্বকালের শাসনকলাপ স্মরণ করিয়াছি,
আর সান্ত্বনা পাইয়াছি।
53দুষ্টদের বিষয়ে আমার ক্রোধ জ্বলিয়া উঠিল,
কেননা তাহারা তোমার ব্যবস্থা ত্যাগ করে।
54তোমার বিধিকলাপ হইয়াছে আমার গীত
আমার প্রবাস-গৃহে।
55সদাপ্রভু, আমি রাত্রিকালে তোমার নাম স্মরণ করিয়াছি,
ও তোমার ব্যবস্থা পালন করিয়াছি।
56আমি ইহাই পাইয়াছি,
তোমার নির্দেশ সকল পালন করিয়াছি।
হেৎ।
57সদাপ্রভু আমার অধিকার;
আমি বলিয়াছি, আমি তোমার বাক্য সকল পালন করিব।
58আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা চেষ্টা করিয়াছি;
তোমার বচনানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর।
59আমি নিজ পথসমূহ বিবেচনা করিলাম,
ও তোমার সাক্ষ্যকলাপের প্রতি আমার চরণ ফিরাইলাম।
60আমি সত্বর হইলাম, বিলম্ব করিলাম না,
তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিবার জন্য।
61দুষ্টগণের রজ্জু আমাকে জড়াইয়াছে,
আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
62আমি মধ্যরাত্রে তোমার স্তব করিতে উঠিব,
তোমার ধর্ম্মময় শাসনমালার জন্য।
63আমি সেই সকলের সখা, যাহারা তোমাকে ভয় করে,
এবং যাহারা তোমার নিদেশ সকল পালন করে।
64তোমার দয়াতে, হে সদাপ্রভু, পৃথিবী পরিপূর্ণ,
আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।
টেট।
65তুমি আপন দাসের প্রতি মঙ্গল ব্যবহার করিয়াছ,
হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে করিয়াছ।
66উত্তম বিচার ও জ্ঞান আমাকে শিখাও,
কেননা আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে বিশ্বাস করিয়া আসিতেছি।
67দুঃখার্ত্ত হইবার পূর্ব্বে আমি ভ্রান্ত ছিলাম,
কিন্তু এখন তোমার বচন পালন করিতেছি।
68তুমি মঙ্গলময় ও মঙ্গলকারী,
তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
69অহঙ্কারিগণ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রচনা করিয়াছে,
আমি সর্ব্বান্তঃকরণে তোমার নিদেশ সকল পালন করিব।
70উহাদের অন্তঃকরণ মেদের ন্যায় স্থূল;
কিন্তু আমি তোমার ব্যবস্থায় আমোদ করি।
71আমি যে দুঃখার্ত্ত হইয়াছি, এ আমার পক্ষে উত্তম,
যেন আমি তোমার বিধি শিখিতে পাই।
72তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম,
সহস্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
ইয়ুদ।
73তোমার হস্ত আমার গঠন ও স্থিতি করিয়াছে;
আমাকে বিবেচনা দেও, যেন তোমার আজ্ঞা সকল শিখিতে পারি।
74যাহারা তোমাকে ভয় করে, তাহারা আমাকে দেখিয়া আনন্দিত হইবে,
কারণ আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা করিয়াছি।
75হে সদাপ্রভু, আমি জানি, তোমার শাসনকলাপ ধর্ম্মময়,
আর তুমি বিশ্বস্ততায় আমাকে দুঃখ দিয়াছ।
76আহা! তোমার দয়া আমার সান্ত্বনাজনক হউক,
তোমার দাসের প্রতি তোমার বচনানুসারে হউক।
77আমার প্রতি তোমার করুণা বর্ত্তুক, যেন আমি বাঁচি;
কেননা তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।
78অহঙ্কারিগণ লজ্জিত হউক, কেননা তাহারা মিথ্যা বলিয়া আমার সর্ব্বনাশ করিয়াছে;
কিন্তু আমি তোমার নিদেশমালা ধ্যান করিতেছি।
79যাহারা তোমাকে ভয় করে, তাহারা আমার প্রতি ফিরুক,
আর তাহারা তোমার সাক্ষ্যকলাপ বুঝিবে।
80আমার চিত্ত তোমার বিধিতে সিদ্ধ হউক,
যেন আমি লজ্জিত না হই।
কফ।
81তোমার পরিত্রাণের প্রতীক্ষায় আমার প্রাণ ক্ষীণ হয়,
আমি তোমার বাক্যের অপেক্ষা করি।
82তোমার বচনের প্রতীক্ষায় আমার চক্ষু ক্ষীণ হয়,
আমি বলি, তুমি কখন আমাকে সান্ত্বনা করিবে?
83কারণ আমি ধূমস্থ কুপার সদৃশ হইয়াছি;
তথাপি তোমার বিধি ভুলিয়া যাই নাই।
84তোমার দাসের দিন কত?
কবে আমার তাড়নাকারিগণের বিচার করিবে?
85অহঙ্কারিগণ আমার নিমিত্ত গর্ত্ত খুঁড়িয়াছে,
তাহারা তোমার ব্যবস্থানুগামী নয়।
86তোমার সমস্ত আজ্ঞা বিশ্বসনীয়;
লোকে মিথ্যা বলিয়া আমাকে তাড়না করে; আমার সাহায্য কর।
87উহারা পৃথিবীতে আমাকে প্রায় নিঃশেষ করিয়াছিল,
কিন্তু আমি তোমার নিদেশমালা ত্যাগ করি নাই।
88তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর,
তাহাতে আমি তোমার মুখের সাক্ষ্য পালন করিব।
লামদ।
89অনন্তকালের নিমিত্ত, হে সদাপ্রভু,
তোমার বাক্য স্বর্গে সংস্থাপিত।
90তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী;
তুমি পৃথিবীকে স্থাপন করিয়াছ, তাহা স্থির রহিয়াছে।
91অদ্যাপি তোমার শাসনানুসারে সকলই স্থির রহিয়াছে,
কেননা সমস্তই তোমার দাস।
92যদি তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক না হইত,
তবে ইতিপূর্ব্বে আমি আপন দুঃখে বিনষ্ট হইতাম।
93আমি তোমার নিদেশমালা কখনও ভুলিয়া যাইব না,
কারণ তদ্দ্বারা তুমি আমাকে সঞ্জীবিত করিয়াছ।
94আমি তোমারই, আমাকে পরিত্রাণ কর;
কারণ আমি তব নিদেশমালার অন্বেষণ করিয়াছি।
95দুষ্টগণ আমাকে বিনষ্ট করিবার জন্য আমার অপেক্ষা করিয়াছে;
আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ আলোচনা করিব।
96আমি সমস্ত সিদ্ধির অন্ত দেখিয়াছি;
তোমার আজ্ঞা অতিশয় প্রশস্ত।
মেম।
97আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি!
তাহা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।
98তোমার আজ্ঞা সকল আমাকে শত্রুগণ অপেক্ষা জ্ঞানবান করে;
কারণ সেই সকল চিরকাল আমার।
99আমার সমস্ত গুরু অপেক্ষা আমি জ্ঞানবান,
কেননা আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ধ্যান করি।
100প্রাচীন লোক হইতেও আমি বুদ্ধিমান,
কারণ আমি তোমার নিদেশ সকল পালন করিয়াছি।
101আমি সমস্ত কুপথ হইতে আপন চরণ নিবৃত্ত করিয়াছি,
যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।
102আমি তোমার শাসনপথ হইতে ফিরি নাই,
কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।
103তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে!
তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!
104তোমার নিদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়,
তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
নূন।
105তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ,
আমার পথের আলোক।
106আমি শপথ করিয়াছি, স্থির করিয়াছি,
তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপ পালন করিব।
107আমি অতিশয় দুঃখার্ত্ত;
হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
108সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর,
ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
109আমার প্রাণ নিরন্তর আমার করতলে,
তথাপি আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
110দুষ্টগণ আমার নিমিত্ত ফাঁদ পাতিয়াছে,
কিন্তু আমি তোমার নিদেশপথ হইতে বিপথগামী হই না।
111তোমার সাক্ষ্যকলাপ আমি চিরতরে অধিকার করিয়াছি,
কারণ সে সকল আমার চিত্তের হর্ষজনক।
112আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিতে মনকে লওয়াইয়াছি,
চিরকালের জন্য, শেষ পর্য্যন্ত।
সামক।
113আমি দ্বিমনাদিগকে ঘৃণা করি,
কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি
114তুমি আমার অন্তরাল ও আমার ঢাল;
আমি তোমার বাক্যে প্রত্যাশা রাখি।
115দুরাচারগণ, আমার নিকট হইতে দূর হও;
আমি আপন ঈশ্বরের আজ্ঞা সকল পালন করিব।
116তোমার বচনানুসারে আমাকে ধারণ কর, তাহাতে বাঁচিব,
আমাকে নিজ আশার সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে দিও না।
117আমাকে ধরিয়া রাখ, তাহাতে পরিত্রাণ পাইব,
আর তোমার বিধিকলাপ সর্ব্বদা মান্য করিব।
118তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে;
কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।
119তুমি পৃথিবীর সমস্ত দুষ্টকে মলবৎ দূর করিয়া থাক,
তাই আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ভালবাসি।
120তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়,
তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।
অয়িন।
121আমি ন্যায়বিচার ও ধর্ম্মাচরণ করিয়াছি,
আমাকে উপদ্রবীদের হস্তে সমর্পণ করিও না।
122তুমি মঙ্গলের জন্য নিজ দাসের প্রতিভূ হও,
অহঙ্কারীরা আমার প্রতি উপদ্রব না করুক।
123আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য,
ও তোমার ধর্ম্মময় বচনের জন্য।
124তোমার দয়ানুসারে তোমার দাসের সহিত ব্যবহার কর,
আর তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
125আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দেও,
যেন তোমার সাক্ষ্য সকল বুঝিতে পারি।
126সদাপ্রভুর কার্য্য করিবার সময় হইল,
[কেননা] লোকে তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করিয়াছে।
127তজ্জন্য আমি তোমার আজ্ঞা সকল ভালবাসি,
স্বর্ণ হইতে, নির্ম্মল স্বর্ণ হইতেও ভালবাসি।
128তজ্জন্য আমি সর্ব্ব বিষয়ে তোমার সমুদয় নিদেশ ন্যায্য জ্ঞান করি,
সমস্ত মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
পে।
129তোমার সাক্ষ্যকলাপ আশ্চর্য্য,
এই জন্য আমার প্রাণ সে সকল পালন করে।
130তব বাক্যসমূহের বিকাশ আলোক প্রদান করে,
তাহা অমায়িকদিগকে বুদ্ধিমান করে।
131আমি মুখ খুলিয়া শ্বাস ফেলিতেছিলাম,
কেননা তোমার আজ্ঞা সকলের আকাঙ্ক্ষা করিতেছিলাম।
132আমার প্রতি ফির, ও আমার প্রতি কৃপা কর,
যেমন তোমার নামপ্রিয়দের প্রতি করিয়া থাক।
133তোমার বচনে আমার পাদবিক্ষেপ স্থির রাখ,
কোন অধর্ম্ম আমার উপরে কর্ত্তৃত্ব না করুক।
134মনুষ্যের উপদ্রব হইতে আমাকে মুক্ত কর,
তাহাতে আমি তোমার নিদেশমালা পালন করিব।
135তোমার দাসের প্রতি তোমার মুখ উজ্জ্বল কর,
এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শিক্ষা দেও।
136আমার চক্ষু হইতে জলধারা বহিতেছে,
কারণ লোকে তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।
সাদে।
137হে সদাপ্রভু, তুমি ধর্ম্মময়
ও তোমার শাসন সকল ন্যায্য।
138তুমি ধর্ম্মশীলতায়,
এবং অতীব বিশ্বস্ততায় তোমার সাক্ষ্যকলাপ আদেশ করিয়াছ।
139আমার উদ্যোগ আমাকে গ্রাস করিয়াছে,
কারণ আমার বিপক্ষগণ তোমার বাক্য সকল ভুলিয়া গিয়াছে।
140তোমার বচন অতীব পরীক্ষাসিদ্ধ,
তাই তোমার দাস তাহা ভালবাসে।
141আমি ক্ষুদ্র ও অবজ্ঞাত,
[কিন্তু] আমি তোমার নিদেশ সকল ভুলিয়া যাই নাই।
142তোমার ধর্ম্মশীলতা চিরস্থায়ী ধর্ম্মশীলতা,
আর তোমার ব্যবস্থা সত্য।
143সঙ্কট ও দুর্দ্দশা আমাকে পাইয়া বসিয়াছে,
[তথাপি] তোমার আজ্ঞা সকল আমার হর্ষজনক।
144তোমার সাক্ষ্যকলাপ অনন্তকাল ধর্ম্মময়;
আমাকে বুদ্ধি দেও, তাহাতে আমি বাঁচিব।
কূফ।
145আমি সর্ব্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও,
আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।
146আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর,
তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।
147আমি প্রভাতের অগ্রেও আর্ত্তনাদ করিলাম,
আমি তোমার বাক্যসমূহের অপেক্ষাতে ছিলাম।
148আমার চক্ষু রাত্রিযামের পূর্ব্বে উন্মীলিত ছিল,
যেন তোমার বচন ধ্যান করিতে পারি।
149তোমার দয়ানুসারে আমার রব শুন;
হে সদাপ্রভু, তোমার শাসনানুসারে#119:149 (বা) তুমি যেমন করিয়া থাক, তেমনি। আমাকে সঞ্জীবিত কর।
150কুকর্ম্মের অনুগামীরা নিকটবর্ত্তী;
তাহারা তোমার ব্যবস্থা হইতে দূরবর্ত্তী।
151হে সদাপ্রভু, তুমিই নিকটবর্ত্তী,
আর তোমার সমস্ত আজ্ঞা সত্য।
152আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপের দ্বারা পূর্ব্বাবধি জানি,
তুমি চিরতরে সে সমস্ত স্থাপন করিয়াছ।
রেশ।
153আমার দুঃখ দেখ, আমাকে উদ্ধার কর,
কেননা আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
154আমার বিবাদ নিষ্পত্তি কর, আমাকে মুক্ত কর,
তোমার বচনানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
155পরিত্রাণ দুষ্টগণ হইতে দূরবর্ত্তী,
কারণ তাহারা তোমার বিধি সকলের অন্বেষণ করে না।
156হে সদাপ্রভু, তোমার করুণা বহুবিধ;
তোমার শাসনকলাপানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
157আমার তাড়নাকারী ও বিপক্ষ অনেক,
[তথাপি] আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ হইতে বিপথগামী হই নাই।
158আমি বিশ্বাসঘাতকদগিকে দেখিয়া ঘৃণা করিলাম,
কারণ তাহারা তোমার বচন পালন করে না।
159দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকল কেমন ভালবাসি।
সদাপ্রভু, তোমার দয়ানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
160তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য,
তোমার ধর্ম্মময় প্রত্যেক শাসন চিরস্থায়ী।
শিন।
161অধ্যক্ষেরা অকারণে আমাকে তাড়না করিয়াছে,
কিন্তু আমার মন তোমার বাক্যসমূহে ভীত হয়।
162আমি তোমার বচনে আনন্দ করি,
যেমন মহালুট পাইলে লোকে করে।
163আমি মিথ্যাকে দ্বেষ করি, ঘৃণা করি,
তোমার ব্যবস্থাই ভালবাসি।
164আমি দিনে সাত বার তোমার স্তব করি,
তোমার ধর্ম্মময় শাসনকলাপের জন্য।
165যাহারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি,
তাহাদের উছোট লাগে না।
166সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের প্রত্যাশা করিয়াছি,
ও তোমার আজ্ঞা সকল পালন করিয়াছি।
167আমার প্রাণ তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছে,
আমি সে সকল অতিশয় ভালবাসি।
168আমি তোমার নিদেশমালা ও সাক্ষ্যকলাপ পালন করিয়াছি;
কারণ আমার সমস্ত পথ তোমার সম্মুখে।
তৌ।
169সদাপ্রভু, আমার কাকূক্তি তোমার নিকটে উপস্থিত হউক,
তোমার বাক্যানুসারে আমাকে বুদ্ধি দেও।
170আমার বিনতি তোমার সম্মুখে উপস্থিত হউক,
তোমার বচনানুসারে আমাকে নিস্তার কর।
171আমার ওষ্ঠাধর প্রশংসা করিবে,#119:171 (বা) করুক।
কারণ তুমি আমাকে তোমার বিধি সকল শিক্ষা দিতেছ।
172আমার জিহ্বা তোমার বচন কীর্ত্তন করিবে,#119:172 (বা) করুক।
যেহেতু তোমার সমস্ত আজ্ঞা ধর্ম্মময়।
173তোমার হস্ত আমার সহকারী হউক;
কেননা আমি তোমার নিদেশমালা মনোনীত করিয়াছি।
174সদাপ্রভু, আমি তোমার পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি,
এবং তোমার ব্যবস্থা আমার হর্ষজনক।
175আমার প্রাণ জীবিত থাকুক, সে তোমার প্রশংসা করিবে,
আর তোমার শাসনকলাপ আমার সহকারী হউক।
176আমি হারাণ মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর;
কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in