YouVersion Logo
Search Icon

বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ। 2

2
ইস্রায়েলীয়দের অবাধ্যতা ও ঈশ্বরীয় শাসন।
1আর সদাপ্রভুর দূত গিল্‌গল হইতে বোখীমে উঠিয়া আসিলেন। তিনি কহিলেন, আমি তোমাদিগকে মিসর হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছি; যে দেশ দিতে তোমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে দিব্য করিয়াছিলাম, সেই দেশে তোমাদিগকে আনিয়াছি, আর এই কথা বলিয়াছি, আমি তোমাদের সহিত আপন নিয়ম কখনও ভঙ্গ করিব না; 2তোমরাও এই দেশ-নিবাসীদের সহিত নিয়ম স্থির করিবে না, তাহাদের যজ্ঞবেদি সকল ভাঙ্গিয়া ফেলিবে। কিন্তু তোমরা আমার রবে কর্ণপাত কর নাই; কেন এমন কর্ম্ম করিয়াছ? 3এই জন্য আমিও কহিলাম, তোমাদের সম্মুখ হইতে আমি এই লোকদিগকে দূর করিব না; তাহারা তোমাদের পার্শ্বে কন্টকস্বরূপ, ও তাহাদের দেবগণ তোমাদের ফাঁদস্বরূপ হইবে। 4তখন সদাপ্রভুর দূত ইস্রায়েল-সন্তান সকলকে এই কথা কহিলে লোকেরা উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে লাগিল। 5আর তাহারা সেই স্থানের নাম বোখীম [রোদনকারিগণ] রাখিল; পরে তাহারা সেই স্থানে সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান করিল।
6যিহোশূয় লোকিদগকে বিদায় করিলে পর ইস্রায়েল-সন্তানগণ দেশ অধিকার করিবার জন্য প্রত্যেকে আপন আপন অধিকারে গিয়াছিল। 7আর যিহোশূয়ের সমস্ত জীবনকালে, এবং যে প্রাচীনবর্গ যিহোশূয়ের মরণের পর জীবিত ছিলেন, ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর কৃত সমস্ত মহাকার্য্য দেখিয়াছিলেন, তাঁহাদেরও সমস্ত জীবনকালে লোকেরা সদাপ্রভুর সেবা করিল। 8পরে নূনের পুত্র সদাপ্রভুর দাস যিহোশূয় এক শত দশ বৎসর বয়সে মরিলেন। 9তাহাতে লোকেরা গাশ পর্ব্বতের উত্তর পর্ব্বতময় ইফ্রয়িম প্রদেশস্থ তিম্নৎ-হেরসে তাঁহার অধিকারের অঞ্চলে তাঁহার কবর দিল। 10আর সেই কালের অন্য সকল লোকও পিতৃলোকদের নিকটে সংগৃহীত হইল, এবং তাহাদের পরে নূতন বংশ উৎপন্ন হইল, ইহারা সদাপ্রভুকে জানিত না, এবং ইস্রায়েলের জন্য তাঁহার কৃত কার্য্য জ্ঞাত ছিল না।
11ইস্রায়েল-সন্তানগণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই করিতে লাগিল; এবং বাল দেবগণের সেবা করিতে লাগিল। 12আর যিনি তাহাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, যিনি তাহাদিগকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছিলেন, সেই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করিয়া অন্য দেবগণের, অর্থাৎ আপনাদের চতুর্দ্দিক্‌স্থিত লোকদের দেবগণের অনুগামী হইয়া তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিতে লাগিল, এইরূপে সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করিল। 13তাহারা সদাপ্রভুকে ত্যাগ করিয়া বাল দেবের ও অষ্টারোৎ দেবীদের সেবা করিত। 14তাহাতে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, আর তিনি তাহাদিগকে লুটকারিগণের হস্তে সমর্পণ করিলেন, তাহারা তাহাদের দ্রব্য লুট করিল; আর তিনি তাহাদের চতুর্দ্দিক্‌স্থ শত্রুগণের হস্তে তাহাদিগকে বিক্রয় করিলেন, তাহাতে তাহারা আপন শত্রুগণের সম্মুখে আর দাঁড়াইতে পারিল না। 15সদাপ্রভু যেমন বলিয়াছিলেন, ও তাহাদের কাছে যেমন দিব্য করিয়াছিলেন, তদনুসারে তাহারা যে কোন স্থানে যাইত, সেই স্থানে অমঙ্গলার্থে সদাপ্রভুর হস্ত তাহাদের বিরোধী ছিল; এইরূপে তাহারা অতিশয় ক্লিষ্ট হইত।
16তখন সদাপ্রভু বিচারকর্ত্তৃগণকে উৎপন্ন করিতেন, আর তাঁহারা লুটকারিগণের হস্ত হইতে তাহাদিগকে নিস্তার করিতেন; 17তথাপি তাহারা আপনাদের বিচারকর্ত্তাদের বাক্যেও কর্ণপাত করিত না, কিন্তু অন্য দেবগণের অনুগমনে ব্যভিচার করিত, ও তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিত; এইরূপে তাহাদের পিতৃপুরুষেরা সদাপ্রভুর আজ্ঞা পালন করিয়া যে পথে গমন করিতেন, তাহারা তদনুসারে না করিয়া সেই পথ হইতে শীঘ্রই ফিরিল। 18আর সদাপ্রভু যখন তাহাদের জন্য বিচারকর্ত্তা উৎপন্ন করিতেন, তখন সদাপ্রভু বিচারকর্ত্তার সঙ্গে সঙ্গে থাকিয়া বিচারকর্ত্তার সমস্ত জীবনকালে শত্রুদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে নিস্তার করিতেন, কারণ উপদ্রব ও তাড়নাকারিগণের সমক্ষে তাহাদের কাতরোক্তি প্রযুক্ত সদাপ্রভু করুণাবিষ্ট হইতেন। 19কিন্তু সেই বিচারকর্ত্তা মরিলেই তাহারা ফিরিত, পিতৃপুরুষদের অপেক্ষা আরও ভ্রষ্ট হইয়া পড়িত, অন্য দেবগণের অনুগামী হইয়া তাহাদের সেবা করিত, ও তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিত; আপন আপন কর্ম্ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কিছুই ছাড়িত না। 20তাহাতে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, তিনি কহিলেন, আমি ইহাদের পিতৃপুরুষদিগকে যে নিয়ম পালনের আজ্ঞা দিয়াছিলাম, এই জাতি তাহা লঙ্ঘন করিয়াছে, আমার রবে কর্ণপাত করে নাই; 21অতএব যিহোশূয় মরণকালে যে যে জাতিকে অবশিষ্ট রাখিয়াছে, আমিও ইহাদের সম্মুখ হইতে তাহাদের কাহাকেও অধিকারচ্যুত করিব না। 22তাহাদের পিতৃপুরুষেরা যেমন সদাপ্রভুর পথে গমন করিয়া তাঁহার আজ্ঞা পালন করিত, তাহারাও তদ্রূপ করিবে কি না, এই বিষয়ে ঐ জাতিগণের দ্বারা ইস্রায়েলের পরীক্ষা লইব। 23এই জন্য সদাপ্রভু সেই জাতিদিগকে শীঘ্র অধিকারচ্যুত না করিয়া অবশিষ্ট রাখিলেন; যিহোশূয়ের হস্তেও সমর্পণ করেন নাই।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

Videos for বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ। 2