YouVersion Logo
Search Icon

১ বংশাবলি ভূমিকা

ভূমিকা
প্রথম ও দ্বিতীয় বংশাবলি বই দু’টি প্রথমে একটা বই ছিল। বংশাবলিতে শমূয়েল ও রাজাবলির মত একই বিষয় বলা হয়েছে। বংশাবলি জোর দিয়েছে আত্মিক বিষয়ের উপর আর শমুয়েল ও রাজাবলি জোর দিয়েছে ইতিহাসের উপর। দায়ূদের রাজত্বকালের বিষয়ে, যাঁরা তাঁর পরে রাজা হয়েছিলেন তাঁদের বিষয়ে এবং উপাসনা-ঘর ও সেখানকার উপাসনার বিষয়ের উপর বংশাবলিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পুরোহিতদের, লেবীয়দের, যারা বাজনা বাজায় তাদের, গায়কদের এবং উপাসনা-ঘরের রক্ষীদের বিষয়ে খুঁটিনাটি প্রথম ও দ্বিতীয় বংশাবলিতে আছে যা অন্য কোন বইয়ে পাওয়া যায় না। সাক্ষ্য-সিন্ধুক কিভাবে যিরূশালেমে আনা হয়েছিল তার বর্ণনা, উপাসনা-ঘর তৈরীর প্রস্তুতি এবং যিহূদার কয়েকজন ভাল রাজার অধীনে কিভাবে সংস্কারের কাজ করা হয়েছিল তা বংশাবলিতে পাওয়া যায়। বংশাবলির লেখক উত্তরের রাজ্য সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলেন নি; কেবল দায়ূদের বংশধরদের সংগে তাদের ব্যবহার সম্বন্ধে কিছুটা উল্লেখ করেছেন। যে সময় বংশাবলি লেখা হয় তখন ইস্রায়েল জাতির রাজা বলতে কেউ ছিল না এবং বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা ইস্রায়েলীয়দের আত্মিক জীবনের কেন্দ্র ছিল উপাসনা-ঘর ও সেখানকার সমস্ত কাজকর্ম। রাজা দায়ূদের বংশধর মশীহ্‌ যিনি তখনও আসেন নি, তাঁর আগমনের প্রস্তুতির জন্য রাজবংশ যতদূর পর্যন্ত গিয়েছিল ততদূর পর্যন্ত বংশাবলিতে লেখা আছে। বংশাবলি হল আদম থেকে শুরু করে বাবিলের বন্দীদশা থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত পুরোহিতদের ব্যাখ্যা করা যিহূদী জাতির ইতিহাস।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) আদম থেকে রাজা শৌল পর্যন্ত বংশ-তালিকা (১-৯ অধ্যায়)
(খ) রাজা শৌলের মৃত্যু (১০ অধ্যায়)
(গ) রাজা দায়ূদের ইতিহাস (১১-২৯ অধ্যায়)

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in