Amavesi eBhayibheli adumile avela kokuthi যোহন 6

Dlulisela

যীশু তাদের বললেন, আমিই সেই জীবনদায়ী খাদ্য। যে আমার কাছে আসবে সে কখনও ক্ষুধার্ত হবে না। যে আমায় বিশ্বাস করবে, তৃষ্ণার্ত সে হবে না কখনও।

একমাত্র ঈশ্বরের আত্মাই জীবনদায়ী। মানুষের শক্তির কোন সার্থকতা নেই। আমার মুখনিঃসৃত বাণীই একাধারে আত্মা ও জীবন।

নশ্বর খাদ্যের জন্য নয়, বরং অনন্তজীবনদায়ী অবিনশ্বর খাদ্যের জন্য পরিশ্রম কর। মানবপুত্র তোমাদের সেই খাদ্য দান করবেন। কারণ পিতা ঈশ্বর তাঁকেই সেই অধিকার দিয়েছেন।

আমার পিতার অভিপ্রায় এই যে ‘পুত্রের’ দিকে যে কেউ প্রত্যাশাভরে তাকাবে এবং তাঁকে বিশ্বাস করবে, সে-ই লাভ করবে শাশ্বত জীবন এবং আমি তাকে অন্তিম দিনে পুনরুত্থিত করব।

যীশু বললেন, ঈশ্বরের কাজ করতে হলে তাঁর প্রেরিতপুরুষকে বিশ্বাস করতে হবে।

পিতা যাদের আমাকে দেন তারাই আমার কাছে আসে এবং যে আমার কাছে আসে তাকে আমি কখনও পরিত্যাগ করব না।

শিমোন পিতর বললেন, প্রভু কার কাছে আমরা যাব? আপনার কাছেই আছে শাশ্বতজীবনের বাণী।

আমিই স্বর্গ থেকে অবতীর্ণ সেই জীবনদায়ী খাদ্য। এই খাদ্য যে গ্রহণ করবে সে হবে চিরজীবী। যে খাদ্য আমি দান করব, তা হল আমারই দেহ। জগদ্বাসীর জীবনলাভের জন্যই আমি এই দেহ দান করব।

আমার প্রেরণকর্তা পিতা যাকে আকর্ষণ করেন সে-ই শুধু আমার কাছে আসতে পারে। অন্তিম দিনে আমি তাকে পুনরুত্থিত করব।

ঈশ্বর যে খাদ্য দেন তা স্বর্গ থেকে নেমে আসে এবং পৃথিবীতে জীবন সঞ্চার করে।

আমিই জীবনদায়ী খাদ্য।

যীশু রুটিগুলি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। তারপর উপবিষ্ট লোকদের মধ্যে সেগুলি পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের দিলেন। মাছের বেলাতেও তিনি তাই-ই করলেন। যে যত চাইল, পেল। যথেষ্ট পরিমাণে সকলের খাওয়া হলে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, এবার যা কিছু পড়ে আছে সব জড়ো কর যেন কিছুই নষ্ট না হয়। তাঁরা তখন সব জড়ো করলেন।

নৌকা বেয়ে তাঁরা প্রায় তিনচার মাইল যেতেই দেখতে পেলেন যীশু সাগরজলের উপর দিয়ে হেঁটে আসছেন তাঁদের নৌকার দিকে। দেখে তাঁরা ভয়ে পেয়ে গেলেন। যীশু তাঁদের বললেনঃ ভয় নেই, এ আমি।