যোহন ভূমিকা

ভূমিকা
সাধু যোহনের লিখিত সুসমাচারে যীশুকে “ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্য” রূপে দেখানো হইয়াছে যিনি মানব দেহ ধারণ করিয়া আমাদেরই মাঝে বসবাস করেন। এই পুস্তকটি লিখিবার উদ্দেশ্য পুস্তকটিতেই লিখিত আছে, “কিন্তু এই সকল লিখিত হইয়াছে, যেন তোমরা বিশ্বাস কর যে, যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস করিয়া যেন তাঁহার নামে জীবন প্রাপ্ত হও” (২০:৩১)।
ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্যের সহিত যীশুকে এক করিয়া দেখাইয়া ভূমিকার অবতারণার পর এই সুসমাচারের প্রথম অংশে নানা অলৌকিক ঘটনার কথা বলা হইয়াছে এবং ইহার দ্বারা দেখানো হইয়াছে যে, যীশু হইলেন ঈশ্বরের পুত্র, প্রতিশ্রুত পরিত্রাতা। এই অলৌকিক কাজগুলির মাধ্যমে যে সত্য প্রকাশিত হইয়াছে, আলোচনার মাধ্যমে সেই সত্যতার ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। পুস্তকের এই অংশে বলা হইয়াছে, কিভাবে কিছু লোক যীশুকে বিশ্বাস করিয়াছিল এবং তাঁহার শিষ্য হইয়াছিল, আবার একই সময়ে অন্যেরা তাঁহার বিরোধিতা করিয়াছিল এবং তাঁহাকে বিশ্বাস করিতে অস্বীকার করিয়াছিল।
১৩-১৭ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ হইয়াছে বন্দি হওয়ার রাত্রিতে শিষ্যদের সহিত যীশুর অন্তরঙ্গ সাহচর্য এবং ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালে শিষ্যদের সাহস ও উৎসাহদানের মাধ্যমে মানসিকভাবে প্রস্তুতি পর্বের কথা। শেষের অধ্যায়গুলিতে যীশুর বিচার, তাঁহার ক্রুশারোপণ, মৃত্যু ও পুনরুত্থান এবং পুনরুত্থানের পর শিষ্যদের নিকটে তাঁহার আবির্ভাবের কথা বলা হইয়াছে।
ব্যভিচারে রত নারীর ধরা পড়িবার কাহিনীটি (৮:১-১১) বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া হইয়াছে কারণ অনেক পাণ্ডুলিপিতে ও পূর্বেকার দিনের অনুবাদে এই কাহিনীটি বাদ দেওয়া হইয়াছে, আবার কোন কোন পাণ্ডুলিপিতে এটি অন্য জায়গায় দেওয়া হইয়াছে।
যোহন যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে অনন্ত জীবন দানের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়াছেন, যে দান এখনই লাভ করা যায় এবং তাহারাই এই দান লাভ করিতে পারে যাহারা যীশুকে পথ, সত্য ও জীবন বলিয়া স্বীকার করে ও সাড়া দিয়া আগাইয়া আইসে। যোহনের একটি লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য হইল, যোহন দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ বিষয়বস্তুগুলিকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতীকরূপে ব্যবহার করিয়াছেন, যেমন- জল, রুটি, আলো, মেষ ও মেষপালক এবং দ্রাক্ষালতা ও তাহার ফল।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১-১৮
বাপ্তিস্মদাতা যোহন ও যীশুর প্রথম শিষ্যদল - ১:১৯-৫১
যীশুর পরিচর্যা কার্য - ২:১—১২:৫০
যিরূশালেম ও যিরূশালেমের নিকটে - ১৩:১—১৯:৪২
প্রভুর পুনরুত্থান ও আবির্ভাব - ২০:১-৩১
উপসংহার: গালীলে আবার প্রভুর আবির্ভাব - ২১:১-২৫

Paryškinti

Dalintis

Kopijuoti

None

Norite, kad paryškinimai būtų įrašyti visuose jūsų įrenginiuose? Prisijunkite arba registruokitės