মথি ভূমিকা

ভূমিকা
সাধু মথির লিখিত সুসমাচারে এই শুভ সংবাদ দেওয়া হইয়াছে যে, যীশু হইলেন সেই প্রতিশ্রুত পরিত্রাতা যাঁহার মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁহার প্রজা ইস্রায়েলীয়দের সহিত পুরাতন নিয়মে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিয়াছেন। যে জাতির মধ্যে যীশু জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং বাস করিয়াছিলেন এই শুভ সংবাদ শুধু তাহাদেরই জন্য নয়, এই শুভ সংবাদ সারা পৃথিবীর জন্য।
সাধু মথির এই সুসমাচার অতি সাবধানে লিখিত হইয়াছে। যীশুর জন্ম কাহিনী দিয়া ইহা শুরু হইয়াছে, তারপর তাঁহার বাপ্তিস্ম ও প্রলোভনের ঘটনা বর্ণনা করা হইয়াছে। তারপর গালীল প্রদেশে যীশুর প্রচার, শিক্ষাদান এবং আরোগ্য দানের ঘটনা বর্ণিত হইয়াছে। এরপর বর্ণিত হইয়াছে গালীল হইতে যীশুর যিরূশালেমে গমন এবং যীশুর জীবনের শেষ সপ্তাহে যে সমস্ত ঘটনা ঘটিয়াছিল- তাঁহার ক্রুশ-মৃত্যু ও পুনরুত্থানে যাহার পরিসমাপ্তি- তাহারই বিবরণ।
এই সুসমাচার যীশুকে এমন এক মহান শিক্ষকরূপে তুলিয়া ধরিয়াছে, ঈশ্বরের ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করিবার পূর্ণ অধিকার যাঁহার রহিয়াছে এবং যিনি ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে শিক্ষা দান করিতেন। এই পুস্তকে যীশুর সমস্ত শিক্ষার বক্তব্য বিষয় অনুযায়ী পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হইয়াছে।
(১) যীশুর পর্বতে প্রদত্ত উপদেশ, যাহাতে চরিত্র, কর্তব্য, সুযোগ-সুবিধা এবং স্বর্গরাজ্যের অধিবাসীদের অবস্থা (৫-৭ অধ্যায়) সম্বন্ধে বলা হইয়াছে।
(২) বারো জন শিষ্যকে সুসমাচার পরিচর্যার নির্দেশ দান (১০ অধ্যায়)।
(৩) স্বর্গরাজ্য সম্বন্ধে রূপক কাহিনী (১৩ অধ্যায়)।
(৪) শিষ্যত্বের অর্থ সম্বন্ধে শিক্ষা (১৮ অধ্যায়)।
(৫) বর্তমান যুগের শেষ এবং স্বর্গরাজ্যের আগমন সম্বন্ধে শিক্ষা (২৪-২৫ অধ্যায়)।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা ও তাঁহার জন্ম - ১:১—২:২৩
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কার্যাবলি - ৩:১-১২
যীশুর বাপ্তিস্ম ও প্রলোভন - ৩:১৩—৪:১১
গালীল প্রদেশে যীশুর পরিচর্যা কার্য - ৪:১২—১৮:৩৫
গালীল হইতে যিরূশালেম - ১৯:১—২০:৩৪
যিরূশালেমে ও তাহার নিকটবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত শেষ সপ্তাহের ঘটনা - ২১:১—২৭:৬৬
প্রভুর পুনরুত্থান ও নানা স্থানে তাঁহার আবির্ভাব - ২৮:১-২০

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in