দ্বিতীয় বিবরণ ২৪

২৪
1 কোন পুরুষ কোন স্ত্রীকে গ্রহণ করিয়া বিবাহ করিবার পর যদি তাহাতে কোন প্রকার অনুপযুক্ত ব্যবহার দেখিতে পায়, আর সেই জন্য সেই স্ত্রী তাহার দৃষ্টিতে প্রীতিপাত্র না হয়, তবে সেই পুরুষ তাহার জন্য এক ত্যাগপত্র লিখিয়া তাহার হস্তে দিয়া আপন বাটী হইতে তাহাকে বিদায় করিতে পারিবে। 2 আর সেই স্ত্রী তাহার বাটী হইতে বাহির হইবার পর গিয়া অন্য পুরুষের স্ত্রী হইতে পারে। 3 আর ঐ দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাহাকে ঘৃণা করে, এবং তাহার জন্য ত্যাগপত্র লিখিয়া তাহার হস্তে দিয়া আপন বাটী হইতে তাহাকে বিদায় করে, কিম্বা বিবাহকারী ঐ দ্বিতীয় স্বামী যদি মরিয়া যায়; 4 তবে যে প্রথম স্বামী তাহাকে বিদায় করিয়াছিল, সে তাহার অশুচি হইবার পরে তাহাকে পুনর্বার বিবাহ করিতে পারিবে না; কেননা তাহা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে ঘৃণার্হ কর্ম; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারার্থে যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, তুমি তাহা পাপলিপ্ত করিবে না।
5 কোন ব্যক্তি নূতন বিবাহ করিলে সৈন্যদলে গমন করিবে না, এবং তাহাকে কোন কর্মের ভার দেওয়া যাইবে না; সে এক বৎসর পর্যন্ত আপন গৃহে নিষ্কর্মা থাকিয়া, যে স্ত্রীকে সে গ্রহণ করিয়াছে, তাহার চিত্তরঞ্জন করিবে।
6 কেহ কাহারও যাঁতা কিম্বা তাহার উপরের পাট বন্ধক রাখিবে না; তাহা করিলে প্রাণ বন্ধক রাখা হয়।
7 কোন মনুষ্য যদি আপন ভ্রাতৃগণের- ইস্রায়েল-সন্তানদের- মধ্যে কোন প্রাণীকে চুরি করে, এবং তাহার প্রতি দাসবৎ ব্যবহার করে, বা বিক্রয় করে, এবং ধরা পড়ে, তবে সেই চোর হত হইবে; এইরূপে তুমি আপনার মধ্য হইতে দুষ্টাচার লোপ করিবে।
8 তুমি কুষ্ঠরোগের ঘায়ের বিষয়ে সাবধান হইয়া, লেবীয় যাজকেরা যে সকল উপদেশ দিবে, অতিশয় যত্নপূর্বক তদনুসারে কর্ম করিও; আমি তাহাদিগকে যে যে আজ্ঞা দিয়াছি, তাহা পালন করিতে যত্ন করিবে। 9 মিসর হইতে তোমাদের বাহির হইয়া আসিবার সময়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পথে মরিয়মের প্রতি যাহা করিয়াছিলেন, তাহা স্মরণে রাখিবে।
10 তোমার প্রতিবাসীকে কোন প্রকার কিছু ঋণ দিলে তুমি বন্ধকী দ্রব্য লইবার জন্য তাহার গৃহে প্রবেশ করিবে না। 11 তুমি বাহিরে দাঁড়াইয়া থাকিবে, এবং ঋণী ব্যক্তি বন্ধকী দ্রব্য বাহির করিয়া তোমার নিকটে আনিবে। 12 আর সে যদি দরিদ্র হয়, তবে তুমি তাহার বন্ধকী দ্রব্য রাখিয়া নিদ্রা যাইবে না। 13 সূর্যাস্তকালে তাহার বন্ধকী দ্রব্য তাহাকে অবশ্য ফিরাইয়া দিবে; তাহাতে সে আপন বস্ত্রে শয়ন করিয়া তোমাকে আশীর্বাদ করিবে; আর তাহা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সাক্ষাতে তোমার ধার্মিকতার কার্য হইবে।
14 তোমার ভ্রাতা হউক, কিম্বা তোমার দেশের নগরদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী হউক, দীনদুঃখী বেতনজীবীর প্রতি উপদ্রব করিবে না। 15 কার্যের দিবসে তাহার বেতন তাহাকে দিবে; সূর্যের অস্তগমন পর্যন্ত তাহা রাখিবে না; কেননা সে দরিদ্র, এবং সেই বেতনের উপরে তাহার মন পড়িয়া থাকে; পাছে সে তোমার বিরুদ্ধে সদাপ্রভুকে ডাকে, আর এই বিষয়ে তোমার পাপ হয়।
16 সন্তানের জন্য পিতার, কিম্বা পিতার জন্য সন্তানের প্রাণদণ্ড করা যাইবে না; প্রতিজন আপন আপন পাপপ্রযুক্তই প্রাণদণ্ড ভোগ করিবে।
17 বিদেশীর কিম্বা পিতৃহীনের বিচারে অন্যায় করিবে না, এবং বিধবার বস্ত্র বন্ধক লইবে না। 18 স্মরণে রাখিবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তথা হইতে তোমাকে মুক্ত করিয়াছেন, এই জন্য আমি তোমাকে এই কর্ম করিবার আজ্ঞা দিতেছি।
19 তুমি ক্ষেত্রে আপন শস্য ছেদন কালে যদি এক আটি ক্ষেত্রে ফেলিয়া রাখিয়া আসিয়া থাক, তবে তাহা লইয়া আসিতে ফিরিয়া যাইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
20 যখন তোমার জলপাইবৃক্ষের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার অবশিষ্টের অন্বেষণ করিবে না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে। 21 যখন তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের দ্রাক্ষাফল চয়ন কর, তখন চয়নের পরে আবার কুড়াইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে। 22 স্মরণে রাখিবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, এই জন্য আমি তোমাকে এই কর্ম করিবার আজ্ঞা দিতেছি।

Markierung

Teilen

Kopieren

None

Möchtest du deine gespeicherten Markierungen auf allen deinen Geräten sehen? Erstelle ein kostenloses Konto oder melde dich an.