YouVersion Logo
Search Icon

ইঞ্জিল ৪: হান্নান 7

7
হজরত ইছার আপন ভাইয়াইন
1এরবাদ থাকি হজরত ইছা গালিল জিলার ভিতরেউ চলা-ফিরা করলা। ইহুদি নেতা অকলে তানরে জানে মারিলিতো চাইছিল, এরলাগি তাইন আর এহুদিয়া জিলাত যাইতা চাইলা না। 2অউ সময় ইহুদি অকলর ডেরা-ঘরর ইদর দিন ঘনাই আইছিল। 3এরলাগি ইছার ভাইয়াইন্তে তানরে কইলা, “তুমি ইন থনে এহুদিয়া জিলাত যাওগি, তেউ তুমি যেতা কাম করছো, অতা তুমার উম্মত অকলেও দেখবা। 4কেউ যুদি নিজরে মানষর গেছে জাইর করতো চায়, তে হে লুকাইয়া কুন্তা করে না। তুমিও যেবলা অমন কাম কররায়, তে নিজরে মানষর গেছে জাইর করো।” 5আসলে ইছার ভাইয়াইন্তেও তান উপরে ইমান আনছইন না।
6ইছায় তারারে কইলা, “আমার সময় অখনও অইছে না, অইলে তুমরার তো সময় অসময় কুন্তা নাই। 7দুনিয়ার মানষে তুমরারে ঘিন্নাইতো নায়, অইলে আমারে ঘিন করে। আমি তো তারার বেয়াপারে কইয়ার, তারার হকল কামউ খারাপ। 8তে তুমরা যাওগি, গিয়া ইদ করো। আমার সময় অখনও পুরা অইছে না, এরলাগি আমি অখন যাইতাম নায়।” 9অখান কইয়া তাইন গালিল জিলাত রইগেলা।
10তান ভাইয়াইন ইদর মাহফিলো গিয়া হারলে তাইনও গেলা, অইলে খুলা-মেলা না গিয়া লুকাইয়া গেলা। 11ইদর কালো ইহুদি নেতা অকলে তান তালাশ করাত রইলা, আর কইলা, “হউ মানুষটা কুয়াই।” 12ভিড়র মাজে ইছার বেয়াপারে মানষে মাতা-মাতি করলা। কেউ কেউ কইলো, “এইন তো বড় ভালা মানুষ।” আর কেউ কেউ কইলো, “না, না, হে তো মানষরে বে-পথি বানাইলার।” 13অইলে ইহুদি নেতা অকলরে ডরাইয়া, মুখ খুলিয়া তান বেয়াপারে কেউ কুন্তা মাতিলো না।
ইদর সময় হজরত ইছার তালিম
14অউ ইদর মাজামাজি সময় হজরত ইছা বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফো গিয়া তালিম দিলা। 15তান তালিম হুনিয়া তাইজ্জুব অইয়া ইহুদি নেতা অকলে কইলা, “ই মানষে মাদ্রাসাত না পড়িয়া অতো ইলিম পাইলো কিলা?” 16ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি যে তালিম দেই, ইতা আমার নিজর নায়, যেইন আমারে বেজিছইন, ইতা তো তানউ তালিম। 17কেউ যুদি তান মর্জি যুগাইয়া চলতো চায়, তে হে বুজবো, ই তালিম আল্লার গেছ থাকি আইছে, না আমার মুখ থাকি দিরাম। 18যে জনে নিজর মন থাকি মাতে, হে খালি নিজর তারিফ পাইতো চায়। অইলে যে জনে তার পাঠানেআলা মালিকর তারিফ করার চেষ্টা করে, হে হামেশা হক-হালাল থাকে, তার মনো কুনু ধুকাবাজি নাই।
19“তুমরা কুনু মুছা নবীর শরিয়ত পাইছো না নি? অইলে তুমরা একজনেও তো শরিয়তর হুকুম-আহকাম মানরায় না। তে তুমরা কেনে আমারে মারিলিতায় চাইরায়?” 20তেউ তারা কইলা, “তুমারে ভুতে পাইছে, তুমারে কে মারতো চার?”
21ইছায় তারারে কইলা, “আমি খালি একখান কাম করলাম, আর তুমরা তাইজ্জুব অইগেলায়। 22হজরত মুছায় তো তুমরারে মছলমানি কাম করানির নিয়ম দিছলা, আর জুম্মাবারেও তুমরা অউ কাম করাও। আসলে, ই নিয়ম মুছা নবীর গেছ থাকি আইছে না, বরং আগর ময়-মুরব্বির গেছ থাকিউ আইছে। 23ঠিক আছে, মুছা নবীর নিয়ম চালু রাখার লাগি জুম্মাবারেও যুদি মছলমানি কাম করাইল যায়, তে আমি জুম্মাবারে একজন বেমারিরে ভালা করছি দেখিয়া আমার উপরে গুছা কররায় কেনে? 24হক-ইনছাফ করো, খালি বারগালা দেখিয়া বিচার করিও না।”
আল-মসী কে?
25অউ সময় জেরুজালেম টাউনর কিছু মানষে কইলো, “নেতা অকলে যারে মারিলতা চাইরা, অগু কিতা হউ মানুষ নায় নি? 26তে হে তো দেখি খুলা-মেলা মাতের, তা-ও তারা দেখি কুন্তা কইরা না। তাইলে তারা কিতা হাছা কথা বুজিলিছইন নি, অউ মানুষউ আল-মসী? 27আর আমরা তো জানি, অগু কুয়াই থাকি আইছে। অইলে আল-মসী যেবলা আইবা, অউ সময় কেউ জানতো নায়, তাইন কুয়াই থাকি আইছইন।”
28এরবাদে ইছায় বায়তুল-মুকাদ্দছো তালিম দেওয়ার সময় জুরে জুরে বয়ান করলা, “আপনারা আমারেও চিনইন, আর আমি কুয়াই থাকি আইছি ইখানও জানইন। হুনউক্কা, আমি নিজ থাকি আইছি না, হক আল্লা পাকেউ আমারে পাঠাইছইন। 29আপনারা তানরে চিনইন না, অইলে আমি চিনি। কারন আমি তান গেছ থাকিউ আইছি আর তাইনউ আমারে পাঠাইছইন।”
30ইখান হুনিয়া মানষে ইছারে ধরিলিতো চাইলো, অইলে তান সময় পুরা অইছে না গতিকে কেউ তান গতরো আত তুললো না। 31আর এরার মাজর বউতে তান উপরে ইমান আনিয়া কইলো, “এইন তো বউত কেরামতি দেখাইছইন, আল-মসী আইয়া কুনু এর চাইতে বেশি কেরামতি দেখাইবা নি?”
32ইতা লইয়া মানষে কানা-কানি কররা, ইখান ফরিশি অকলে হুনলা। হুনিয়া বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে ইছারে ধরার লাগি কয়জন পারাদার-সিপাই পাঠাইলা। 33ইছায় কইলা, “হুনো, আমি আর বেশি দিন তুমরার মাজে নায়। আমি তো তান গেছে যাইমুগি, যেইন আমারে পাঠাইছইন। 34তুমরা আমারে তুকাইয়া পাইতায় নায়, আর আমি যে জাগাত রইমু, তুমরা কেউ হিনো আইতায়ও পারতায় নায়।”
35হজরত ইছার ইতা মাত হুনিয়া ইহুদি নেতা অকলে একে-অইন্যে জিকাইলা, “হে কুয়াই যাইবোগি, যেখানো আমরা তারে তুকাইয়া পাইতাম নায়? হে কিতা ইউনানি অকলর দেশো যেতা ইহুদি আছইন, হনো রইয়া ইউনানি অতারেও তালিম দিবো নি? 36হে তো কইলো, তুমরা আমারে তুকাইয়া পাইতায় নায়, আর আমি যেখানো যাইমু, তুমরা হিনো আইতায় পারতায় নায়। তার ই মাতর মানি কিতা?”
37ইদর আখেরি দিন হজরত ইছা উবাইয়া জুরে জুরে বয়ান করলা, “কুনু মানষর পিয়াছে ধরলে, হে আমার গেছে আইয়া পানি খাউক। 38যে জনে আমার উপরে ইমান আনে, পাক কিতাবর আয়াত মাফিক তার দিল থাকি জিন্দা পানির গাং বার অইবো।” 39ইছার উপরে ইমান আনিয়া যেরা পাক রুহরে পাইবা, হউ পাক রুহর বেয়াপারে তাইন অউ কথা কইলা। তারার গেছে পাক রুহরে অখনও দেওয়া অইছে না, কারন ইছায় তান মহিমা অখনও হাছিল করছইন না।
হজরত ইছারে লইয়া দলাদলি
40ইতা হুনিয়া কিছু মানষে কইলো, “আসলে এইনউ হউ ওয়াদা করা নবী।” 41আর কয়জনে কইলো, “এইনউ আল-মসী।” অইলে কেউ কেউ কইলো, “আল-মসী কুনু গালিল জিলা থাকি আইবা নি? 42পাক কিতাবে তো বাতায়, আল-মসীয়ে জনম লইবা দাউদ নবীর বংশত, দাউদ নবীর বেথেলহাম গাউত।” 43অউ লাখান ইছারে লইয়া মানষর মাজে দলাদলি লাগি গেল। 44এরমাজে কয়জনে তানরে ধরিলিতো চাইলো, অইলে কেউ তান গতরো আত তুললো না।
45ইছারে ধরার লাগি যে পারাদার-সিপাই অকলরে পাঠানি অইছিল, তারা ফিরত আইলে বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে জিকাইলা, “তারে ধরিয়া আনলায় না কেনে?” 46এরা কইলা, “ই মানষে যেলা মাত মাতে, ইলা মাত কেউ কুনুদিন মাতিছে না।” 47তেউ ফরিশি অকলে সিপাই অকলরে কইলা, “হে তুমরারেও টগিলিলো নি? 48দেখছো নি, নেতা বা ফরিশি সমাজর কেউ তার উপরে ইমান আনছে নি? 49খালি অউ যেতায় শরিয়তর কুন্তাউ জানইন না, অতাউ তো। ইতার উপরে লান্নত আছে।”
50ফরিশি অকলর মাজে একজনর নাম আছিল মৌলানা নীকদীম, এইন আগে ইছার গেছে গেছলা। 51নীকদীমে কইলা, “কেউরর মুখর কথা না হুনিয়া বা তার অপরাধ না জানিয়া, তারে সাজা দেওয়ার নিয়ম কুনু আমরার শরিয়তো আছে নি?” 52-53ইখান হুনিয়া ফরিশি অকলে নীকদীমরে কইলা, “তুমিও কিতা গালিল জিলার মানুষ নি? পাক কিতাবো চাইয়া দেখো না, গালিলো কুনু নবীর জনম অয় না।”

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in