ইঞ্জিল ৪: হান্নান 12
12
মাথার চুলদি পাও ফুছা
1আজাদি ইদর ছয়দিন আগে, হজরত ইছা হউ লাছারর গাউ বায়ত-আনিয়াত আইলা, যে লাছাররে তাইন মরা থাকি জিন্দা করছলা। 2ইনো তারা হজরত ইছার লাগি খানির মেজবানি জুইত করলা। ইছার লগে খাওয়াত যেরা বইছিল, এরার লগে লাছারও আছলা আর বিবি মার্থায় খাদিমদারি করলা। 3অউ সময় লাছারর বইন মরিয়মে আধা সের খুব দামি খাটি আতর লইয়া আইলা, আইয়া অউ আতর ইছার পাওয়ো ঢালিয়া নিজর মাথার চুলদি পাও ফুছিয়া দিলা। আতরর খুশবয়ে আস্তা ঘর ভরিগেল।
4ইহুদা ইস্কারিয়াত নামে ইছার এক সাহাবি, যেইন তানরে দুশমনর আতো ধরাই দিবা, এইন কইলা, 5“ইস, ই আতর ফুটিন বেচিলে তো তিনশো দিনার পাইয়া গরিব অকলরে বিলাই দেওয়া গেলো অনে।” 6আসলে ইহুদায় গরিব অকলর কথা চিন্তা করিয়া ইখান কইছে না। হে আছিল চুর। টেকার থলি তার গেছে থাকতো, আর জমা টেকা থাকি হে চুরি করতো, এরলাগি অলা কইছে। 7ইছায় কইলা, “তুমরা ই বেটিগুর মনো দুখ দিও না। আমার দাফন-কাফনর লাগি তাইন ই ফুটাইন থইছলা। 8গরিব অকল তো হামেশাউ তুমরার মাজে আছইন, অইলে আমারে হামেশা পাইতায় নায়।”
9হজরত ইছা বায়ত-আনিয়াত আইছইন হুনিয়া, ইহুদি জাতির বউত মানুষ অনো আইলা। তারা খালি ইছার লাগি নায়, হউ যে লাছাররে ইছায় মরা থাকি জিন্দা করছলা, তারেও দেখাত আইলা। 10অউ সময় বড় ইমাম অকলে নিয়ত করলা লাছাররেও মারিলিতা। 11কারন লাছারর লাগি বউত ইহুদি মানষে নেতা অকলর লগ ছাড়িয়া, ইছার উপরে ইমান আনছিলা।
হজরত ইছা জেরুজালেমো আইলা
12ইদর নিয়তে দলে দলে যত মানুষ আইছইন, তারা বাদর দিন হুনলা, হজরত ইছায় জেরুজালেমো তশরিফ আনরা। 13অউ তারা খেজুরর খেছমা ডাল লইয়া তানরে আগুয়াইয়া আনাত গেলা আর মিছিল দিয়া কইলা,
“মারহাবা! মাবুদর নামে যেইন তশরিফ আনরা,
তান তারিফ অউক,
তাইনউ ইছরাইলর বাদশা!”
14আল্লার কালামর আয়াত মাফিক হজরত ইছায় একটা গাধা দেখিয়া তার উপরে ছওয়ার অইলা। কিতাবো লেখা আছে, 15“ও ছিয়ন-কইনা জেরুজালেম, ডরাইও না। চাইয়া দেখো, গাধার বাইচ্চা চড়িয়া তুমার বাদশা আইরা।”
16সাহাবি অকলে পয়লা ইতার কুনু মানি বুজলা না। বাদে হজরত ইছার কুদরতি মহিমা জাইর অইয়া হারলে, পাক কিতাবর কথা তারার মনো অইলো, অউ আয়াতো তান বেয়াপারেউ লেখা আছিল, আর মানষে তান লাগিউ অততা করছে। 17কয়বর থাকি লাছাররে ডাকিয়া জিন্দা করি তুলার সময় যেতা মানুষ ইছার লগে আছলা, তারাও অউ বেয়াপারে হামেশা মাত-কথা মাতিতা। 18এরলাগি মানষে তান অউ কেরামতি কামর খবর হুনিয়া তানরে আগুয়াইয়া আনাত গেছলা। 19ইতা দেখিয়া ফরিশি অকলে একে-অইন্যে কইলো, “আমরার তো কুনু লাভ অর না। দেখরায় নি, আস্তা দুনিয়াউ তার খরে গেছেগি।”
নিজর মউতর আগাম খবর
20আজাদি ইদো যেরা এবাদত করাত আইছলা, তারার মাজে কয়জন ইউনানি মানুষও আছলা। 21তারা গালিল জিলার বায়ত-ছয়দা গাউর ফিলিফরে আইয়া মিনত করলা, “ছাব, আমরা হুজুর ইছারে দেখতাম চাই।” 22ফিলিফে ইখান আন্দ্রিয়াছরে কইলা। বাদে আন্দ্রিয়াছ আর ফিলিফে গিয়া ইছারে জানাইলা।
23ইছায় তারারে কইলা, “আমি বিন-আদমর মহিমা জাইর অওয়ার সময় আইচ্ছে। 24আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, ধানর বিচ মাটিত পড়িয়া যুদি না মরে, তে একটাউ থাকে, আর মাটিত মরলে বউত ফসল ফলে। 25অলা যে জনে নিজর জানরে বেশি মায়া করে, হে তার আসল জিন্দেগি খুয়াইলায়, অইলে যে জনে ই দুনিয়াত নিজর জানরে তুচ্ছ মনো করে, হে তার আসল জিন্দেগি, মানি আখেরাতর লাগি জান বাচায়। 26কেউ যুদি আমার খেজমত করতো চায়, তে আমার পথে চলউক। তেউ আমি যেখানো রইমু আমার খেজমতকারিও অনো রইবো। যে জনে আমার খেজমত করে, আমার গাইবি বাফে তারে ইজ্জত দিবা।
27“আমার মন অখন পেরেশান অইগেছে। তে আমি অখান কইতাম নি, বাবা, যে সময় আইয়া আজিছে, অউ সময়র আত থাকি আমারে বাচাও? অইলে অতার লাগিউ তো আমি অউ সময় পর্যন্ত আইছি। 28বাবা, তুমি তুমার মহিমা জাইর করো।” অউ সময় আছমান থাকি গাইবি আওয়াজ আইলো, “আমি আমার মহিমা জাইর করছি আর হিরবার জাইর করমু।” 29ই আওয়াজ হুনিয়া হিনো যত মানুষ আছলা, তারা কইলা, “ইতা তো মেঘর ডাক।” কেউ কেউ কইলো, “কুনু ফিরিস্তায় তান লগে বাতচিত করছইন।” 30ইখান হুনিয়া ইছায় কইলা, “ই আওয়াজ তো আমার লাগি আইছে না, আপনারার লাগিউ আইছে। 31ই জগতর মানষর বিচারর সময় আইচ্ছে, দুনিয়ার মুনিব ইবলিছর আত থাকি অখন খেমতা কাড়িয়া নেওয়া অইবো। 32আমারে যেবলা জমিন থাকি উপরে তুলা অইবো, অউ সময় আমি হকলরে আমার গেছে টানিয়া তুলমু।” 33তান কিলাখান মউত অইবো, অখান বুজানির লাগি তাইন ইতা কইলা।
34অউ সময় মানষে ইছারে কইলা, “আমরা পাক কিতাব থাকি হুনছি আল-মসী চিরকাল রইবা। তে আপনে কিলা কইরা, বিন-আদমরে উচাত তুলা অইবো? তাইলে ই বিন-আদম কে?” 35তাইন জুয়াপ দিলা, “আর কিছু সময় নুর আপনারার লগে আছে, নুর থাকতে থাকতেউ আটা ধরউক্কা, যেলা আন্দাইরে আইয়া আপনাইন্তরে না বেরে। যে জন আন্দাইর পথে আটে, হে জানে না হে কুয়াই যার। 36নুর আপনারার লগে থাকতে থাকতেউ নুরর উপরে ইমান আনউক্কা, যাতে আপনারাও অউ নুরর মানুষ অইতা পারইন।” এরবাদে ইছা ইনথনে হরিয়া গিয়া, এরার চউখ থাকি নিজরে লুকাইলিলা।
মানষর দিল পাষান
37হজরত ইছায় মানষর ছামনে অতো বেশি কেরামতি নিশানা দেখানির বাদেও তারা তান উপরে ইমান আনলো না। 38ইতা হক্কলতা ঘটিছিল যাতে আগর জমানার নবী ইশায়ার কথা পুরা অয়, তাইন বাতাইছলা,
মাবুদ গো, আমরার তবলিগর উপরে কে একিন করছে?
তুমার কুদরতি আত কার গেছেউ বা জাইর অইছে?
39এরলাগিউ তো ইতা মানষে ইমান আনছে না, কারন ইশায়া নবীয়ে এওখান কইছলা,
40আল্লায় তারার চউখ আন্দা বানাইলিছইন,
তারার দিল পাষান বানাইলিছইন,
যাতে চউখদি না দেখে আর দিলদি না বুজে।
আরনায় কিযানু তারা তৌবা করিলাইন,
আল্লার বায় ফিরিযাইন,
আর আমি তারারে শিফা করিলাই।
41ইশায়া নবীয়ে ইছার মহিমা দেখছলা গতিকে, তান বেয়াপারে অউ কথা কইছলা। 42তেবউ ইহুদি নেতা অকলর মাজ থাকি বউতে তান উপরে ইমান আনলা, অইলে ফরিশি অকলে তারারে সমাজ থাকি বার করি দিলাইবো, অখান ডরাইয়া তারা স্বীকার করলা না। 43তারা আল্লার তারিফ থাকি মানষর তারিফ পাইতে বেশি পছন্দ করতা।
হজরত ইছাউ তরানেআলা
44বাদে ইছায় জুরে জুরে কইলা, “যে জনে আমার উপরে ইমান আনে, হে খালি আমার উপরে নায়, যেইন আমারে পাঠাইছইন তান উপরেও ইমান আনে। 45যে জনে আমারে দেখে, হে আসলে তানরেউ দেখে, যেইন আমারে পাঠাইছইন। 46আমি ই দুনিয়াত নুর হিসাবে আইছি, যাতে আমার উপরে যে ইমান আনে, হে আর আন্দারিত না রয়। 47কেউ যুদি আমার কথা হুনিয়া, অউ মাফিক আমল না করে, তে আমি নিজে তার বিচার করি না, কারন আমি মানষরে দুষি সাইবস্তো করাত আইছি না, বরং মানষরে তরানিত আইছি। 48যে জনে আমারে মানে না আর আমার কথা হুনে না, তার বিচারর লাগি তো একজন আছইন। আমি তারে যে কথা কইছি, অউ কথায়উ কিয়ামতর দিন তারে দুষি সাইবস্তো করবো। 49আমি তো নিজে থাকি কুন্তা কইছি না, খালি আমার যে গাইবি বাফে আমারে বেজিছইন, তাইন নিজেউ হুকুম দিছইন, আমি কিতা কিতা কইতাম। 50আমি জানি, তান হুকুম মানাউ অইলো আখেরি জিন্দেগি। এরলাগি আমি যেতা কই, ইতা আমার গাইবি বাফর হুকমেউ কই।”
Currently Selected:
ইঞ্জিল ৪: হান্নান 12: sylB
Highlight
Share
Copy
![None](/_next/image?url=https%3A%2F%2Fimageproxy.youversionapi.com%2F58%2Fhttps%3A%2F%2Fweb-assets.youversion.com%2Fapp-icons%2Fen.png&w=128&q=75)
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
© Ahle Kitab Society. All rights reserved.