YouVersion Logo
Search Icon

হিতোপ ৩

1 বৎস, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলিও না;
তোমার চিত্ত আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক।
2 কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা,
জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি প্রাপ্ত হইবে।
3 দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক;
তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ,
তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।
4 তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে,
ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
5 তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর;
তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;
6 তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর;
তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
7 আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হইও না;
সদাপ্রভুকে ভয় কর, মন্দ হইতে দূরে যাও।
8 ইহা তোমার দেহের স্বাস্থ্যস্বরূপ হইবে,
তোমার অস্থির মজ্জাস্বরূপ হইবে।
9 তুমি সদাপ্রভুর সম্মান কর আপনার ধনে,
আর তোমার সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশে;
10 তাহাতে তোমার গোলাঘর সকল বহু শস্যে পূর্ণ হইবে,
তোমার কুণ্ডে নূতন দ্রাক্ষারস উথলিয়া পড়িবে।
11 বৎস, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না,
তাঁহার অনুযোগে ক্লান্ত হইও না;
12 কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন,
তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন,
যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন।
13 ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা পায়,
সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;
14 কেননা রৌপ্যের বাণিজ্য অপেক্ষাও তাহার বাণিজ্য উত্তম,
সুবর্ণ অপেক্ষাও প্রজ্ঞা-লাভ উত্তম।
15 তাহা মুক্তা হইতেও বহুমূল্য;
তোমার অভীষ্ট কোন বস্তু তাহার সমান নয়।
16 তাহার দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ পরমায়ু,
তাহার বাম হস্তে ধন ও সম্মান থাকে।
17 তাহার পথ সকল মনোরঞ্জনের পথ,
তাহার সমস্ত মার্গ শান্তিময়।
18 যাহারা তাহাকে ধরিয়া রাখে, তাহাদের কাছে তাহা জীবনবৃক্ষ;
যে কেহ তাহা গ্রহণ করে, সে ধন্য।
19 সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন,
বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;
20 তাঁহার জ্ঞান দ্বারা গভীর জলধি সকল খুলিয়া গেল,
আর আকাশ বিন্দু বিন্দু শিশির বর্ষণ করিল।
21 বৎস, এই সকল তোমার দৃষ্টি-বহির্ভূত না হউক,
তুমি সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও পরিণামদর্শিতা রক্ষা কর।
22 তাহাতে সেই সকল তোমার প্রাণের জীবনস্বরূপ হইবে,
তোমার কণ্ঠের শোভাস্বরূপ হইবে।
23 তখন তুমি নিজ পথে নির্ভয়ে গমন করিবে,
তোমার পায়ে উছোট লাগিবে না।
24 শয়নকালে তুমি ভয় করিবে না,
তুমি শয়ন করিবে, তোমার নিদ্রা সুখদায়িনী হইবে।
25 আকস্মিক বিপদ হইতে ভীত হইও না,
দুষ্টের বিনাশ আসিলে তাহা হইতে ভীত হইও না;
26 কেননা সদাপ্রভু তোমার বিশ্বাসভূমি হইবেন,
ফাঁদ হইতে তোমার চরণ রক্ষা করিবেন।
27 যাহাদের মঙ্গল করা উচিত, তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না,
যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে।
28 তোমার প্রতিবাসীকে বলিও না,
‘যাও, আবার আসিও, আমি কল্য দিব’,
যখন দ্রব্য তোমার হস্তে থাকে।
29 তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে কুসঙ্কল্প করিও না,
সে ত তোমার কাছে নির্ভয়ে বাস করে।
30 অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না,
যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।
31 উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না,
আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;
32 কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র;
কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।
33 দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে,
কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।
34 নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন,
কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,
35 জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে,
কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in