YouVersion Logo
Search Icon

গালাতীয় ২

1 পরে চৌদ্দ বৎসর গত হইলে আমি বার্ণবার সহিত পুনরায় যিরূশালেমে গেলাম, তীতকেও সঙ্গে লইলাম। 2 আর প্রত্যাদেশক্রমে গমন করিলাম, এবং যে সুসমাচার পরজাতিগণের মধ্যে প্রচার করিয়া থাকি, তথাকার লোকদের কাছে তাহার ব্যাখ্যা করিলাম, কিন্তু যাঁহারা গণ্যমান্য, তাঁহাদের কাছে বিরলে করিলাম, পাছে [দেখা যায় যে] আমি বৃথা দৌড়াইতেছি বা দৌড়াইয়াছি। #২:২ (বা) করিলাম, [বলিলাম] আমি কি বৃথা দৌড়াইতেছি, বা দৌড়াইয়াছি? 3 এমন কি, তীত, যিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, তিনি গ্রীক হইলেও তাঁহাকে ত্বক্‌ছেদ স্বীকার করিতে বাধ্য করা গেল না। 4 গুপ্তরূপে আনীত সেই কয়েক জন ভাক্ত ভ্রাতার জন্য এইরূপ হইল; খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের যে স্বাধীনতা আছে, তাহার ছিদ্রান্বেষণ করিবার জন্য তাহারা গুপ্তরূপে প্রবেশ করিয়াছিল, যেন আমাদিগকে দাস করিয়া রাখিতে পারে। 5 আমরা এক দণ্ডমাত্রও অধীনতা স্বীকার দ্বারা তাহাদের বশবর্তী হইলাম না, যেন সুসমাচারের সত্য তোমাদের নিকটে থাকে। 6 আর যাঁহারা গণ্যমান্য বলিয়া খ্যাত- তাঁহারা কি প্রকার লোক ছিলেন, ইহাতে আমার কিছু আইসে যায় না, ঈশ্বর মনুষ্যের মুখাপেক্ষা করেন না- বস্তুতঃ সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে কিছুই দেন নাই; 7 বরং পক্ষান্তরে যখন দেখিলেন, ছিন্নত্বক্‌দের মধ্যে যেমন পিতরকে, তেমনি অচ্ছিন্নত্বক্‌দের মধ্যে আমাকে সুসমাচারের ভার দত্ত হইয়াছে- 8 কারণ ছিন্নত্বক্‌দের কাছে প্রেরিতত্ব-কর্মের নিমিত্তে যিনি পিতর কর্তৃক কার্য সাধন করিলেন, তিনি পরজাতিগণের নিমিত্তে আমা কর্তৃকও কার্য সাধন করিলেন- 9 যখন তাঁহারা আমাকে প্রদত্ত সেই অনুগ্রহ জ্ঞাত হইলেন, তখন যাকোব, কৈফা ও যোহন- যাঁহারা স্তম্ভরূপে মান্য- আমাকে ও বার্ণবাকে সহভাগিতার দক্ষিণ হস্ত দিলেন, যেন আমরা পরজাতিগণের কাছে যাই, আর তাঁহারা ছিন্নত্বক্‌দের কাছে যান; 10 কেবল চাহিলেন যেন আমরা দরিদ্রদিগকে স্মরণ করি; আর তাহাই করিতে আমিও যত্নবান ছিলাম।
বিশ্বাস দ্বারা পরিত্রাণ লাভ
11 কিন্তু কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসিলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁহার প্রতিরোধ করিলাম, কারণ তিনি দোষী হইয়াছিলেন। 12 ফলতঃ যাকোবের নিকট হইতে কয়েক জনের আসিবার পূর্বে তিনি পরজাতীয়দের সহিত আহার ব্যবহার করিতেন, কিন্তু উহারা আসিলে পর তিনি ছিন্নত্বক্‌দের ভয়ে পিছাইয়া পড়িতে ও আপনাকে পৃথক রাখিতে লাগিলেন। 13 আর তাঁহার সহিত অন্য সকল যিহূদীও কপট ব্যবহার করিল; এমন কি, বার্ণবাও তাঁহাদের কাপট্যের টানে আকর্ষিত হইলেন। 14 কিন্তু আমি যখন দেখিলাম, তাঁহারা সুসমাচারের সত্য অনুসারে সরল পথে চলেন না, তখন আমি সকলের সাক্ষাতে কৈফাকে কহিলাম, তুমি নিজে যিহূদী হইয়া যদি যিহূদীদের মত নয়, কিন্তু পরজাতিগণের মত আচরণ কর, তবে কেন পরজাতিগণকে যিহূদীদের মত আচরণ করিতে বাধ্য করিতেছ? 15 আমরা জাতিতে যিহূদী, আমরা পরজাতীয় পাপী নহি; 16 তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না। 17 কিন্তু আমরা খ্রীষ্টে ধার্মিক গণিত হইবার চেষ্টা করিতে গিয়া আপনারাও যদি পাপী বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়া থাকি, তবে তৎপ্রযুক্ত খ্রীষ্ট কি পাপের পরিচারক? তাহা দূরে থাকুক। 18 কারণ আমি যাহা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছি, তাহাই যদি পুনর্বার গাঁথি, তবে আপনাকেই অপরাধী বলিয়া দাঁড় করাই। 19 আমি ত ব্যবস্থার দ্বারা ব্যবস্থার উদ্দেশে মরিয়াছি, যেন ঈশ্বরের উদ্দেশে জীবিত হই। 20 খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন। 21 আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ বিফল করি না; কারণ ব্যবস্থা দ্বারা যদি ধার্মিকতা হয়, তাহা হইলে খ্রীষ্ট অকারণে মরিলেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy