YouVersion Logo
Search Icon

যাত্রাপুস্তক ১১

১১
1 আর সদাপ্রভু মোশিকে বলিলেন, আমি ফরৌণের ও মিসরের উপরে আর এক উৎপাত আনিব, তৎপরে সে তোমাদিগকে এই স্থান হইতে ছাড়িয়া দিবে, এবং ছাড়িয়া দিবার সময়ে তোমাদিগকে নিশ্চয়ই এই স্থান হইতে একেবারে তাড়াইয়া দিবে। 2 তুমি লোকদের কর্ণগোচরে বল, আর প্রত্যেক পুরুষ আপন আপন প্রতিবাসী হইতে ও প্রত্যেক স্ত্রী আপন আপন প্রতিবাসিনী হইতে রৌপ্যালংকার ও স্বর্ণালংকার চাহিয়া লউক। 3 আর সদাপ্রভু মিসরীয়দের দৃষ্টিতে লোকদিগকে অনুগ্রহের পাত্র করিলেন। আবার মিসর দেশে মোশি ফরৌণের দাসদের ও প্রজাদের দৃষ্টিতে অতি মহান ব্যক্তি হইয়া উঠিলেন।
4 মোশি আরও কহিলেন, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি মধ্যরাত্রে মিসরের মধ্য দিয়া গমন করিব। 5 তাহাতে সিংহাসনে উপবিষ্ট ফরৌণের প্রথমজাত অবধি যাঁতা পেষণকারিণী দাসীর প্রথমজাত পর্যন্ত মিসর দেশস্থিত সকলের প্রথমজাত মরিবে, এবং পশুদেরও সকল প্রথমজাত মরিবে। 6 আর যাদৃশ কখনও হয় নাই ও হইবে না, সমস্ত মিসর দেশে এমন মহাক্রন্দন হইবে। 7 কিন্তু সমস্ত ইস্রায়েল-সন্তানের মধ্যে মনুষ্যের কি পশুর বিরুদ্ধে একটা কুকুরও জিহ্বা দোলাইবে না, যেন আপনারা জানিতে পারেন যে, সদাপ্রভু মিসরীয়দের ও ইস্রায়েলের মধ্যে প্রভেদ করেন। 8 আর আপনার এই দাসেরা সকলে আমার নিকটে নামিয়া আসিবে, ও প্রণিপাত করিয়া আমাকে বলিবে, তুমি ও তোমার অনুগামী সকল প্রজা বাহির হও; তাহার পর আমি বাহির হইব। তখন তিনি মহা ক্রোধভরে ফরৌণের নিকট হইতে বাহিরে গেলেন।
9 আর সদাপ্রভু মোশিকে বলিয়াছিলেন, ফরৌণ তোমার কথায় মনোযোগ করিবে না, যেন মিসর দেশে আমার অদ্ভুত লক্ষণ বহুসংখ্যক হয়। 10 ফলে মোশি ও হারোণ ফরৌণের সাক্ষাতে এই সকল অদ্ভুত কর্ম করিয়াছিলেন; আর সদাপ্রভু ফরৌণের হৃদয় কঠিন করিলেন, আর তিনি আপন দেশ হইতে ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে ছাড়িয়া দিলেন না।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in