দ্বিতীয় বিবরণ ১৪
১৪
1 তোমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সন্তান; তোমরা মৃত লোকদের জন্য আপন আপন শরীর কাটকুট করিবে না, এবং ভ্রুরুর মধ্যস্থল ক্ষৌরি করিবে না। 2 কেননা তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা; ভূমণ্ডলস্থ সমস্ত জাতির মধ্য হইতে সদাপ্রভু আপনার নিজস্ব প্রজা করণার্থে তোমাকেই মনোনীত করিয়াছেন।
3 তুমি কোন ঘৃণার্হ দ্রব্য ভোজন করিবে না। 4 এই সকল পশু ভোজন করিতে পার; গরু, মেষ এবং ছাগল, 5 হরিণ, কৃষ্ণসার এবং বনগরু, বনছাগল, বাতপ্রমী, পৃষত এবং সম্বর। 6 আর পশুগণের মধ্যে যত পশু সম্পূর্ণ দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, সেই সকল তোমরা ভোজন করিতে পার। 7 কিন্তু যাহারা জাবর কাটে, কিম্বা দ্বিখণ্ড খুর বিশিষ্ট, তাহাদের মধ্যে এইগুলি ভোজন করিবে না; উষ্ট্র, শশক ও শাফন; কেননা তাহারা জাবর কাটে বটে, কিন্তু দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট নয়, তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি; 8 আর শূকর দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না, সে তোমাদের পক্ষে অশুচি; তোমরা তাহাদের মাংস ভোজন করিবে না, তাহাদের শব স্পর্শও করিবে না।
9 জলচর সকলের মধ্যে এই সকল তোমাদের খাদ্য; যাহাদের ডানা ও আঁইস আছে, তাহাদিগকে ভোজন করিতে পার। 10 কিন্তু যাহাদের ডানা ও আঁইস নাই, তাহাদিগকে ভোজন করিবে না, তাহারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
11 তোমরা সকল প্রকার শুচি পক্ষী ভোজন করিতে পার। 12 কিন্তু এইগুলি ভোজন করিবে না; ঈগল, হাড়গিলা ও কূরল, 13 গৃধ্র, চিল ও আপন আপন জাতি অনুসারে শঙ্করচিল, 14 আর আপন আপন জাতি অনুসারে সকল প্রকার কাক, 15 আর উষ্ট্রপক্ষী, রাত্রিশ্যেন, গাংচিল ও 16 আপন আপন জাতি অনুসারে শ্যেন, 17 এবং পেচক, মহাপেচক ও দীর্ঘগল হংস; 18 ক্ষুদ্র পানি-ভেলা, শকুনী ও মাছরাঙ্গা, এবং সারস ও আপন আপন জাতি অনুসারে বক, টিট্রিভ ও বাদুড়। 19 আর পক্ষবিশিষ্ট যাবতীয় পোকাও তোমাদের পক্ষে অশুচি; এই সকল অখাদ্য। 20 তোমরা সমস্ত শুচি পক্ষী ভোজন করিতে পার।
21 তোমরা স্বয়ংমৃত কোন প্রাণীর মাংস ভোজন করিবে না; তোমার নগর দ্বারের মধ্যবর্তী কোন বিদেশীকে ভোজনার্থে তাহা দিতে পার, কিম্বা বিজাতীয় লোকের কাছে বিক্রয় করিতে পার; কেননা তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা। তুমি ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে পাক করিবে না।
দশমাংশ, অগ্রিমাংশ ও মোচন-বৎসরের নিয়ম
22 তুমি তোমার বীজ হইতে উৎপন্ন যাবতীয় শস্যের, বৎসর বৎসর যাহা ক্ষেত্রে উৎপন্ন হয়, তাহার দশমাংশ পৃথক করিবে। 23 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে তুমি আপন শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের দশমাংশ, এবং গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে তাঁহার সম্মুখে ভোজন করিবে; এইরূপে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সর্বদা ভয় করিতে শিক্ষা করিবে। 24 সেই যাত্রা যদি তোমার পক্ষে বড় দীর্ঘ হয় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নাম স্থাপনার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, তাহার দূরত্ব প্রযুক্ত যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদে প্রাপ্ত দ্রব্য তথায় লইয়া যাইতে না পার, 25 তবে সেই দ্রব্য টাকায় রূপান্তর করিয়া সেই টাকা বাঁধিয়া হস্তে লইয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে যাইবে। 26 পরে সেই টাকা দিয়া তোমার প্রাণের অভিলাষানুসারে গরু কি মেষ কি দ্রাক্ষারস কি মদ্য, বা যে কোন দ্রব্যে তোমার প্রাণের বাঞ্ছা হয়, তাহা ক্রয় করিয়া সেই স্থানে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে ভোজন করিয়া সপরিবারে আনন্দ করিবে। 27 আর তোমার নগর দ্বারের মধ্যবর্তী লেবীয়কে ত্যাগ করিবে না, কেননা তোমার যেমন আছে তেমনই তাহাদের কোন অংশ কি অধিকার নাই।
28 তৃতীয় বৎসরের শেষে তুমি সেই বৎসরে উৎপন্ন আপন শস্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বাহির করিয়া আনিয়া আপন নগর-দ্বারের ভিতরে সঞ্চয় করিয়া রাখিবে; 29 তাহাতে তোমার সহিত যাহার কোন অংশ কি অধিকার নাই, সেই লেবীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবর্তী এই সকল লোক আসিয়া ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে; এইরূপে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
Currently Selected:
দ্বিতীয় বিবরণ ১৪: বিবিএস
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.